মানিকগঞ্জে দাড়ি টেনে ব্যবসায়ীকে মারধরের মামলায় গ্রেপ্তার ১
Published: 27th, June 2025 GMT
মানিকগঞ্জের ঘিওরে এক ব্যবসায়ীকে দাড়ি ধরে টেনে মারধরের অভিযোগে দায়ের করা মামলার একমাত্র আসামি নাসিম ভূইয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ জুন) দুপুরে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আটক নাসিম ভূইয়া ঘিওর উপজেলা সদর ইউনিয়নের মোশাররফ হোসেন ওরফে বাচ্চু ভূইয়ার ছেলে।
সোমবার (২৩ জুন) সন্ধ্যায় ঘিওর উপজেলা সদরে ‘মানিক কম্পিউটার‘-এর স্বত্বাধিকারী আলী আজম মানিকের সঙ্গে নাসিম ভূইয়ার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আলী আজম মানিকের দাড়ি ধরে টানাটানিসহ মারধর করেন নাসিম ভূইয়া। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ঘিওর থানায় মামলা দায়ের করেন। এর পর থেকে আসামি নাসিম ভূইয়া পলাতক ছিলেন। অভিযান চালিয়ে ঢাকার আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ মাহমুদ বলেছেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নাসিম ভূইয়াকে আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা/চন্দন/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ন কগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
সাবধান! ভুয়া চাকরির প্রলোভনে ম্যালওয়্যার ছড়াচ্ছে হ্যাকাররা
লিংকডইনসহ পেশাদার কর্মীদের বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে ভুয়া চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে নতুন করে কম্পিউটারে ক্ষতিকর ম্যালওয়্যার ছড়াচ্ছে উত্তর কোরিয়ার একদল হ্যাকার। ‘বিভারটেইল’ ও ‘ইনভিজিবলফেরেট’ নামের ম্যালওয়্যারগুলো কাজে লাগিয়ে দূর থেকে সুপরিকল্পিতভাবে নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের কম্পিউটার থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করছে তারা।
সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সকেট থ্রেট রিসার্চ জানিয়েছে, ভুয়া চাকরির প্রলোভনে এ ম্যালওয়্যার ছড়ানো হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে হ্যাকাররা প্রথমে নিজেদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিয়োগকর্তা পরিচয় দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা সফটওয়্যার নির্মাতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এরপর ‘টেস্ট প্রজেক্ট’ বা ‘কোডিং অ্যাসাইনমেন্ট’–এর নামে একটি গুগল ডক ফাইল পাঠায়। ফাইলটিতে ওপেন সোর্স মাধ্যম এনপিএমে (নোড প্যাকেজ ম্যানেজার) ৩৫টি ক্ষতিকর প্যাকেজ যুক্ত থাকায় নামালেই কম্পিউটারে বিভারটেইল ও ইনভিজিবলফেরেট ম্যালওয়্যার ইনস্টল হয়ে যায়। এরপর স্বয়ংক্রিয়ভাবে কম্পিউটারে থাকা সব তথ্য সংগ্রহ করে হ্যাকারদের কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সার্ভারে পাঠাতে থাকে ম্যালওয়্যারগুলো।
বিভারটেইল ম্যালওয়্যার মূলত ব্রাউজারে সংরক্ষিত কুকি, পাসওয়ার্ড ও ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেটের তথ্য চুরি করার পাশাপাশি নতুন ম্যালওয়্যার ইনস্টলের সুযোগ তৈরি করে। ফলে সহজেই দূর থেকে কম্পিউটারে থাকা ফাইল সংগ্রহ, পর্দার ছবি তোলা, কি-বোর্ডের ব্যবহার নজরদারি করাসহ পুরো কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, হ্যাকাররা ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনা না করেই বড় পরিসরে আক্রমণ চালাচ্ছে। তাই এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। ম্যালওয়্যার হামলা থেকে নিরাপদে থাকতে অচেনা উৎস থেকে পাওয়া কোনো কোড বা সফটওয়্যার সরাসরি নিজেদের কম্পিউটারে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
সূত্র: ব্লিপিং কম্পিউটার