প্রভাবশালীদের বেড়ায় অবরুদ্ধ মুক্তিযোদ্ধার পরিবার
Published: 27th, June 2025 GMT
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে এক বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। ফলে তিন বছর ধরে প্রায় অবরুদ্ধ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন পরিবারটির সদস্যরা। তাদের দাবি, প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার মেলেনি।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াউদ হোসেন কাশিয়ানী সদরের উত্তরপাড়ায় ১৩ শতাংশ জমি কেনেন। ৪১ বছর ধরে সেখানে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন তিনি। হঠাৎ প্রতিবেশী শাহজাহান মিয়া ও নাগর ফকির বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াউদ হোসেনের পরিবারের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন। এ কারণে বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না তারা। পাশের সরকারি জমি প্রভাবশালীদের দখলে থাকায় তারা সেটিও ব্যবহার করতে পারছেন না।
সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিবেশীরা ঘরের জানালা খোলার জন্য সরু জায়গা রেখেছেন, সেখান দিয়ে কোনো রকম নিচু হয়ে যাতায়াত করছেন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা।
আরো পড়ুন:
অবৈধ বালু ব্যবসায় বাধা, এনসিপি নেতা ও তার স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ
ছাত্রীকে যৌনপল্লীতে বিক্রি, যুবক গ্রেপ্তার
বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এম ইয়াউদ হোসেন বলেন, “একাত্তরের রণাঙ্গনে দেশ স্বাধীন করতে যুদ্ধ করেছিলাম। আজ নিজেই অবরুদ্ধে। প্রতিবেশীরা চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না।”
তিনি বলেন, “প্রতিবেশীদের ঘরের জানালা খোলার জন্য রাখা জায়গা দিয়ে নিচু হয়ে চলাচল করছি। যে কারণে আত্মীয়-স্বজনরা আমার বাড়িতে বেড়াতে আসেন না। কেউ আত্মীয়তা করতে চান না। ছেলে বিয়ে দিতে পারছি না। নির্মাণ সামগ্রী আনতে না পারায় বাড়ি সংস্কার করতে পারছি না। অবরুদ্ধ হয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছি। মুক্তি পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।”
রাস্তা বন্ধের বিষয় সাগর ফকিরের সঙ্গে মোবাইলে কথা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমরা উনার রাস্তা বন্ধ করিনি। মিথ্যা অভিযোগ করছেন তিনি। সরকারি জমি দখলের যে অভিযোগ করেছেন, ওই জমি ভিপি সম্পত্তি। যা আমার বাবার নামে দীর্ঘদিন ধরে বন্দোবস্ত রয়েছে।”
কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা জান্নাত বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/বাদল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ র পর ব র অবর দ ধ
এছাড়াও পড়ুন:
ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আরো ১ মাস বাড়ল
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আরো এক মাস বাড়িয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
কমিশনের মেয়াদ ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে সোমবার (১১ আগস্ট) রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনের সহ-সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজকে।
১৫ অগাস্ট ঐকমত্য কমিশনের প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সময় নির্ধারিত ছিল। তার আগেই আরো এক মাস সময় বাড়ানো হলো।
কমিশনে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের আইয়ুব মিয়া, পুলিশ সংস্কার কমিশন প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন বিচারপতি এমদাদুল হক ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন প্রধান ইফতেখারুজ্জামান।
কমিশন গত শুক্রবার জানিয়েছে, সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের পদ্ধতি নির্ধারণ এবং জুলাই সনদ মানার বাধ্যবাধকতা নিশ্চিতে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আগামী সপ্তাহে তৃতীয় দফায় বসবে ঐকমত্য কমিশন।
ঢাকা/এএএম/ইভা