ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরো ৮১ ফিলিস্তিনি
Published: 29th, June 2025 GMT
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি তাণ্ডব থামছেই না। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শনিবার (২৮ জুন) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় আরো ৮১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন অন্তত ৪৪২ জন। খবর আনাদোলু এজেন্সির।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, এ নিয়ে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারানো ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬ হাজার ৪১২ জনে। পাশাপাশি এ পর্যন্ত আহত হয়েছেন ১ লাখ ৩৩ হাজার ৫৪ জন ফিলিস্তিনি।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, নিহত ও আহতের প্রকৃত সংখ্যা আরো অনেক বেশি। কারণ ভবনের ধ্বংস্তূপের তলায় অনেকে চাপা পড়ে আছেন। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও জনবলের অভাবে তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না।
আরো পড়ুন:
ত্রাণ নিতে গিয়ে খুনের শিকার: ‘বিশ্বের জন্য মহাকলঙ্কের চেয়ে কম নয়’
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরো ৭৯ ফিলিস্তিনি
আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে হামলার পর গাজা উপত্যকায় গণহত্যামূলক যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েল।
দীর্ঘ ১৫ মাস ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় হামাস ও ইসরায়েল। তবে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় ফের তীব্র হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
গাজায় নতুন করে ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ৮৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ২১ হাজার ১৩ জন আহত হয়েছেন।
জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েলের ব্যাপক সামরিক অভিযানের ফলে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং এটি প্রায় বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
জাতিসংঘের মতে, দীর্ঘ এ সময় ধরে চলা সংঘাতের কারণে মানবিক সংকটে দিন পার করছেন ফিলিস্তিনিরা। খাবার, পানি, ওষুধ ও প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তার অভাবে উপত্যকাটির ২৩ লাখেরও বেশি বাসিন্দা চরম ক্ষুধা ও ভয়াবহ অপুষ্টিতে ভুগছেন।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
ভোট পর্যবেক্ষণ করতে ৩১৮ সংস্থার আবেদন
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে নিবন্ধনের জন্য ৩১৮টি পর্যবেক্ষক সংস্থা নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করেছে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ইসির জনসংযোগ শাখার কর্মকর্তা মো. আশাদুল হক গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, “ভোট পর্যবেক্ষণ করতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পর্যবেক্ষণ সংস্থা হিসেবে ইসির নিবন্ধন পেতে ৩১৮টি সংস্থা আবেদন করেছে। নির্ধারিত সময়ের পর ১৩টি আবেদন এসেছে।”
আরো পড়ুন:
পুরো আসনের ফল বাতিল করতে পারবে ইসি, ফিরছে ‘না’ ভোট
হারল পাকিস্তান, র্যাংকিংয়ে অবনমন বাংলাদেশের!
গত ২৭ জুলাই পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন আবেদন আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ইসি। এক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী আবেদন জমা দেওয়ার জন্য ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল, যা গত রবিবার (১০ আগস্ট) শেষ হয়েছে।
গত ১৭ জুলাই দেশীয় পর্যবেক্ষক নীতিমালা-২০২৫ জারি করা হয়। বাতিল করা হয় ২০২৩ সালের নীতিমালা। পাশাপাশি ওই সময়ের সংস্থাগুলোর নিবন্ধনও বাতিল হয়েছে।
জানা যায়, ২০০৮ সাল থেকে ভোট পর্যবেক্ষণের জন্য পর্যবেক্ষক নিবন্ধন দিচ্ছে ইসি। সে সময় ১৩৮টি সংস্থা নিবন্ধন পেয়েছিল। ২০১৮ সালে ১১৮টি সংস্থাকে নিবন্ধন দেয় ইসি। ২০২৩ সালে ৯৬টি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দেওয়া হয়।
প্রতি সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য দেশীয় সংস্থাগুলোকে নিবন্ধন নেওয়ার জন্য আহ্বান জানায় নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে নিবন্ধন পেয়ে সংস্থাগুলো পরবর্তী পাঁচ বছর স্থানীয় নির্বাচনও পর্যবেক্ষণ করতে পারে।
গত সংসদ নির্বাচনে দেশীয় বিভিন্ন সংস্থার ২০ হাজার ৭৭৩ জন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আবেদন করেন। ইসি কেন্দ্রীয়ভাবে ৪০টি পর্যবেক্ষক সংস্থার ৫১৭ জন এবং স্থানীয়ভাবে ৮৪টি পর্যবেক্ষণ সংস্থার ২০ হাজার ২৫৬ জনকে ভোট পর্যবেক্ষণের অনুমোদন দিয়েছিল।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওআইসি ও কমনওয়েলথ থেকে ৩৮ জন, বিভিন্ন মিশনের ৬৪ জন এবং বাংলাদেশস্থ বিভিন্ন দূতাবাসে বা হাইকমিশনে কর্মরত বাংলাদেশি ৬১ জনসহ মোট ১৬৩ জন পর্যবেক্ষক ভোট পর্যবেক্ষণ করেন।
২০০৮ সাল থেকে ভোট পর্যবেক্ষণের জন্য পর্যবেক্ষক নিবন্ধন দিচ্ছে ইসি। সে সময় ১৩৮টি সংস্থা নিবন্ধন পেয়েছিল। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নতুন নীতিমালার আলোকে নিবন্ধন দেবে সাংবিধানিক সংস্থাটি।
ঢাকা/হাসান/মাসুদ