দ্বিতীয় দিনের মতো জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) চলছে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ও ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি। ফলে চট্টগ্রাম বন্দর, বেনাপোল বন্দর, ঢাকা কাস্টম হাউসসহ সব কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশনে কার্যক্রম বন্ধ। এতে শুল্ক-কর আদায় কার্যত বন্ধ, বিঘ্নিত হচ্ছে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম।
রবিবার (২৯ জুন) সকাল থেকে আগারগাঁও এনবিআর ভবনের সামনে পূর্ব ঘোষিত কমপ্লিট শাটডাউন-মার্চ টু এনবিআর কর্মসূচি পালন করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ সময় আগের দিনের মতোই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হাতে নানা ধরনের লেখা প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে।
প্ল্যাকার্ডগুলোর মধ্যে লেখা রয়েছে- ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খানের অপসারণ চাই’, ‘আলোচনার পূর্বশর্ত এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণ’, ‘আব্দুর রহমান খানকে চেয়ারম্যান রেখে কোনো আলোচনা নয়’, ‘রাষ্টের স্বার্থে এনবিআর বিলুপ্তি রোধে ও একটি টেকসই রাজস্ব ব্যবস্থাপনা গড়ার লক্ষ্যে কমপ্লিট শাটডাউন ও মার্চ টু এনবিআর’।
আরো পড়ুন:
এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ রবিবারও চলবে
এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’: ব্যবসায়ীদের ৫ পরামর্শ
এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি অতিরিক্ত কমিশনার হাছান মুহাম্মদ তারেক রিকাবদার এবং মহাসচিব সেহেলা সিদ্দিকা কর্মসূচিতে আজও অংশগ্রহণ করেছেন। বিকেলে পরবতী কর্মসূচি সম্পর্কে জানাবে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।
এদিকে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও রয়েছেন সতর্ক অবস্থানে।
এনবিআরে সংস্কার উদ্যোগ বাস্তবায়নকে কেন্দ্র করে গত ১২ মের পর থেকে আন্দোলন করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ফলে সরকারের হয়ে রাজস্ব আদায়কারী সংস্থাটিতে একধরনের অচলাবস্থা চলছে। এতে সেবায় বিঘ্ন ঘটছে। ভোগান্তি হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। এমন অবস্থায় শীর্ষ ১৩টি ব্যবসায়ী সংগঠনের বর্তমান ও সাবেক নেতারা গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে আলোচনার মাধ্যমে রাজস্ব খাতের সংস্কারের পক্ষে অবস্থান তুলে ধরেন। তবে এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবি সমর্থন করেন না বলে জানান তারা।
ঢাকা/নাজমুল/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এনব আর কর মকর ত ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা
দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
আরো পড়ুন:
চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন
১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা
পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।
বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ