মজবুত বাড়ি কীভাবে নির্মাণ করা যায়
Published: 29th, June 2025 GMT
স্বল্প ব্যয়ে মজবুত ও নান্দনিক ভবন নির্মাণে প্রকৌশলী ও স্থপতির প্রয়োজন; কিন্তু এ সচেতনতা আজও আমাদের মধে৵ গড়ে ওঠেনি। আমরা অনেকেই ভবনের কাঠামোগত নকশা প্রণয়নে অর্থ বাঁচাতে প্রকৌশলীর শরণাপন্ন হই না। অপর পক্ষে দীর্ঘমেয়াদি একটি স্থাপনা নির্মাণে পরিবেশ ও নান্দনিকতার প্রশ্নে
কোনো স্থপতির সহযোগিতার বিষয়টি আমাদের মাথায় নেই। সচেতনতার অভাবে
রাজমিস্ত্রির মাধ্যমে আমরা ভবন নির্মাণ করি লাখ–কোটি টাকা ব্যয়ে। কেবল দায়সারা গোছের একটি ভবন পেয়েই মালিকপক্ষকে খুশি হতে হয়।
মজবুত পাকা বাড়ি নির্মাণে নির্দেশিত কংক্রিট ও রডের ব্যবহার অপরিহার্য। নির্দিষ্ট অনুপাতে পাথর বা খোয়া, বালু, সিমেন্ট ও পানির মিশ্রণে তৈরি কংক্রিট সংকোচনে সবল, কিন্তু টানে (টেনশন) দুর্বল। কংক্রিটের এই দুর্বলতা পূরণ করতে ঢালাইয়ের কাজে রড বা স্টিল ব্যবহার করা হয়। কারণ, রড বা স্টিল টান বহন করতে সক্ষম ও সবল। পদার্থের এই গুণাগুণকে উপজীব্য করেই মজবুত পাকা বাড়িতে কংক্রিট ও রড বা ইস্পাত ব্যবহারের মাধ্যমে ভিতসহ কাঠামো গড়ে ওঠে। মূলত এই কাঠামোই বায়ুচাপ, ভূমিকম্পসহ সার্বিক লাইভ লোড বহন করে। কাঠামো এসব লোডে সহনশীল হলেই কেবল মজবুত পাকা বাড়ি নির্মাণ করা যায়। তবে অবশ্যই কংক্রিট ও রডের যথাক্রমে আদর্শ সংকোচনশক্তি এবং টানশক্তি পরীক্ষাগারে নিশ্চিত করতে হয়।
মজবুত পাকা বাড়ির জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অবকাঠামো তথা গভীর (ডিপ) ও অগভীর (শ্যালো) ভিত, যা নির্মাণস্থলের মাটির গুণাগুণের ওপর নির্ভর করে বা চূড়ান্ত করা হয়। মাটির গুণাগুণ তথা মাটি পরীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী চূড়ান্ত করা হয়। অবকাঠামো কিংবা উপরিকাঠামো উভয় ক্ষেত্রেই বাড়ি মজবুত করতে বিভিন্ন কোড (বিএনবিস, এসিআই) সমন্বয়ে কংক্রিটের সঙ্গে ব্যবহার করা হয় কাঠামোর বিভিন্ন অঙ্গে নির্দেশিত গ্রেডের বিভিন্ন আকারের রড বা স্টিল।
মো.আবদুল আজিজ
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিটিভিতে আবার শোনা যাবে, ‘আমরা নতুন, আমরা কুঁড়ি...’
প্রায় দুই দশকের দীর্ঘ বিরতির পর আবারও ফিরছে নতুন কুঁড়ি। গত মঙ্গলবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজস্ব পেজে এই তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)। এই খবর শুনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই স্মৃতিকাতর হয়েছেন—কারও মনে পড়েছে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার স্মৃতি, কারও মনে ভেসে উঠেছে শৈশবের প্রিয় অনুষ্ঠানটির দৃশ্য। ফেসবুকে অনেকে ছবিও শেয়ার করেছেন।
১৯৬৬ সালে পাকিস্তান টেলিভিশনে প্রথম প্রচারিত হয় ‘নতুন কুঁড়ি’। অনুষ্ঠানের নাম রাখা হয়েছিল কবি গোলাম মোস্তফার ‘কিশোর’ কবিতা থেকে। যার প্রথম ১৫ লাইন অনুষ্ঠানের সূচনাসংগীত হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
স্বাধীনতার পর ১৯৭৬ সালে মোস্তফা মনোয়ারের প্রযোজনায় আবার শুরু হয় ‘নতুন কুঁড়ি’। সে সময় বিটিভির অন্যতম আলোচিত এই অনুষ্ঠান হয়ে ওঠে শিশু-কিশোরদের স্বপ্নের মঞ্চ। নানা প্রান্ত থেকে উঠে আসা তরুণেরা গান, নাচ, অভিনয়, আবৃত্তি, গল্পবলা, কৌতুকসহ বিভিন্ন শাখায় নিজেদের প্রতিভা মেলে ধরার সুযোগ পান। ২০০৫ সাল পর্যন্ত চলে এ অনুষ্ঠান। পরে নানা কারণে অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয় বিটিভি। ২০২০ সালে অনুষ্ঠানটি আবার শুরু করার খবর শোনা গিয়েছিল। কিন্তু পরে বলা হয়, কোভিড মহামারির কারণে সেটা আর সম্ভব হয়নি।
তিন দশকে নতুন অনেক তারকার জন্ম দিয়েছে নতুন কুঁড়ি। অনেকে চলচ্চিত্র, টেলিভিশন, নাট্যাঙ্গন ও সংগীতজগতে নিজস্ব অবস্থান গড়ে তুলেছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন তারানা হালিম, রুমানা রশিদ ঈশিতা, তারিন জাহান, মেহের আফরোজ শাওন, নুসরাত ইমরোজ তিশাসহ আরও অনেকে। এ তালিকায় আছেন সামিনা চৌধুরীসহ অনেক জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীও।