স্বল্প ব্যয়ে মজবুত ও নান্দনিক ভবন নির্মাণে প্রকৌশলী ও স্থপতির প্রয়োজন; কিন্তু এ সচেতনতা আজও আমাদের মধে৵ গড়ে ওঠেনি। আমরা অনেকেই ভবনের কাঠামোগত নকশা প্রণয়নে অর্থ বাঁচাতে প্রকৌশলীর শরণাপন্ন হই না। অপর পক্ষে দীর্ঘমেয়াদি একটি স্থাপনা নির্মাণে পরিবেশ ও নান্দনিকতার প্রশ্নে
কোনো স্থপতির সহযোগিতার বিষয়টি আমাদের মাথায় নেই। সচেতনতার অভাবে
রাজমিস্ত্রির মাধ্যমে আমরা ভবন নির্মাণ করি লাখ–কোটি টাকা ব্যয়ে। কেবল দায়সারা গোছের একটি ভবন পেয়েই মালিকপক্ষকে খুশি হতে হয়।

মজবুত পাকা বাড়ি নির্মাণে নির্দেশিত কংক্রিট ও রডের ব্যবহার অপরিহার্য। নির্দিষ্ট অনুপাতে পাথর বা খোয়া, বালু, সিমেন্ট ও পানির মিশ্রণে তৈরি কংক্রিট সংকোচনে সবল, কিন্তু টানে (টেনশন) দুর্বল। কংক্রিটের এই দুর্বলতা পূরণ করতে ঢালাইয়ের কাজে রড বা স্টিল ব্যবহার করা হয়। কারণ, রড বা স্টিল টান বহন করতে সক্ষম ও সবল। পদার্থের এই গুণাগুণকে উপজীব্য করেই মজবুত পাকা বাড়িতে কংক্রিট ও রড বা ইস্পাত ব্যবহারের মাধ্যমে ভিতসহ কাঠামো গড়ে ওঠে। মূলত এই কাঠামোই বায়ুচাপ, ভূমিকম্পসহ সার্বিক লাইভ লোড বহন করে। কাঠামো এসব লোডে সহনশীল হলেই কেবল মজবুত পাকা বাড়ি নির্মাণ করা যায়। তবে অবশ্যই কংক্রিট ও রডের যথাক্রমে আদর্শ সংকোচনশক্তি এবং টানশক্তি পরীক্ষাগারে নিশ্চিত করতে হয়।

মজবুত পাকা বাড়ির জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অবকাঠামো তথা গভীর (ডিপ) ও অগভীর (শ্যালো) ভিত, যা নির্মাণস্থলের মাটির গুণাগুণের ওপর নির্ভর করে বা চূড়ান্ত করা হয়। মাটির গুণাগুণ তথা মাটি পরীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী চূড়ান্ত করা হয়। অবকাঠামো কিংবা উপরিকাঠামো উভয় ক্ষেত্রেই বাড়ি মজবুত করতে বিভিন্ন কোড (বিএনবিস, এসিআই) সমন্বয়ে কংক্রিটের সঙ্গে ব্যবহার করা হয় কাঠামোর বিভিন্ন অঙ্গে নির্দেশিত গ্রেডের বিভিন্ন আকারের রড বা স্টিল।

মো.

আবদুল আজিজ

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: মজব ত প ক ব যবহ র

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে বিএনপি নেতা মুকুলকে মারধর, অভিযোগের তীর ডন বজলুর দিকে

টেন্ডার নিয়ে বিরোধের জেরে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুলকে (৬৮) সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি বজলুর রহমান ওরফে ডান বজলু বাহিনী মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

মারধরের এক পর্যায়ে তাকে দিগম্বর করে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়।  বজলুর রহমান সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিমের অনুসারী বলে জানা গেছে। রোববার বেলা পৌনে ১টায় বন্দরের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের হরিপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের সামনে মুকুলকে মারধরের এ ঘটনা ঘটে।

আহত সাবেক চেয়ারম্যান মুকুল অভিযোগ করে বলেন, ‘বন্দরের হরিপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের শ্রমিক সরবরাহের একটি টেন্ডার আমরা পেয়েছি। আজকে এই কাজের ওয়ার্ক অর্ডার সিগনেচার করার শেষদিন ছিল। এখানে ঝামেলা হতে পারে এই চিন্তা করে আগেই থানায় জিডি করে রাখি ও সঙ্গে চারজন পুলিশ নিয়ে হরিপুর আসি। 

গাড়ি থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গেই সোনারগাঁয়ের বিএনপি নেতা বজলু ও তার ৪০-৫০ জন লোক আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারা মারধর করে আমার জামা-কাপড় ছিঁড়ে ফেলে। সেখানে থাকা দুই পুলিশ সদস্যকেও তারা মারধর করে।’

তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ পাওয়ার পর থেকে ডন বজলু ১৫ লাখ টাকা দাবিতে হুমকি দমকি প্রদান করেছিল। এ ঘটনায় বন্দর থানা ও সেনা ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।

অভিযোগের ব্যাপারে সোনারগাঁ থানা বিএনপির সহসভাপতি বজলুর রহমান বলেন, ‘২৭ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের দোসর আলাউদ্দিন একটি ঠিকাদারি নিয়েছে। তার পক্ষ নিয়ে মুকুল এসেছে কাজ করতে। এতে বিক্ষুব্ধ জনতা তাকে হেনস্তা করেছে। আমার এ বিষয়ে কিছু জানা নেই।’

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, ‘বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি কাজ নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধ থেকে তার (মুকুল) ওপর হামলা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ ছিল, কিন্তু পুলিশ সদস্যদের মারধরের খবর পাইনি। ভুক্তভোগী হাসপাতালে আছেন, সেখান থেকে ফিরে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।’

এ বিষয়ে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) তারেক আল মেহেদী বলেন, ‘কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে কোন মামলা আছে কিনা সে বিষয়টিও আমরা খতিয়ে দেখব। যদি কোন মামলা থাকে তবে সে অনুযায়ী আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব।'
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ