Prothomalo:
2025-06-29@13:59:49 GMT

বৃষ্টিদিনে ভবনের যত্ন

Published: 29th, June 2025 GMT

বর্ষা মৌসুমে বাতাসে আর্দ্রতা থাকে সর্বোচ্চ, আর এর সঙ্গে ভবনের বিভিন্ন অংশে যদি পানির অনুপ্রবেশ ঘটে, তখনই শুরু হয় ভবনের ড্যাম্পনেস। বর্ষায় ভেজা স্যাঁতসেঁতে ভবনে বসবাস মানেই স্বাস্থ্যঝুঁকি। ড্যাম্পনেস হচ্ছে ভবনের ক্রনিক ডিজিজ, পুরোপুরি নিরাময়যোগ্য নয়, শুধুই সাময়িক ব্যবস্থাপনা!


প্লিন্থ ও ফাউন্ডেশন

বেজমেন্টবিশিষ্ট ভবনের বেজমেন্ট ফ্লোরে সাম্পপিটে জমা পানি অপসারণের জন্য সার্বক্ষণিক সাম্প-পাম্প ব্যবহার করতে হবে। এ ছাড়া সাম্পপিট সংযোগকারী পাইপ নেটওয়ার্কে ব্লকেড বা জ্যাম থাকলে তা পরিষ্কার করতে হবে। বেজমেন্টের রিটেনিং ওয়াল শতভাগ পানি লিকেজ প্রতিরোধী হতে হবে।

বেজমেন্টবিহীন ভবনের চারপাশের ভূমির ঢাল বা স্লোপ যেন বৃষ্টির পানিকে ভবন থেকে দূরে সরিয়ে দেয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। ভবনের ড্যাম্প প্রুফ কোর্সের উপরিভাগে কোনো লিকেজ আছে কি না, সেটা নিশ্চিত হয়ে প্রয়োজনে মেরামত করতে হবে। ভবনের চারপাশের নর্দমা ও পিটগুলো আবশ্যিকভাবে পরিষ্কার রাখতে হবে।

মাটির নিচের জলাধারের মুখ নিচ্ছিদ্রভাবে বন্ধ রাখতে হবে নতুবা ভারী বর্ষায় বাইরের দূষিত পানি কিংবা ব্যাঙ–পোকামাকড় প্রবেশ করতে পারে।

বাইরের দেয়াল

দেয়ালে ফাটল বা ক্র্যাক দেখা দিলে দ্রুত মেরামত করতে হবে। দেয়ালে কোনো প্রকার গাছ জন্মাতে দেওয়া যাবে না। সানশেড, কার্নিশ বা ড্রোপ ওয়ালের নিচে পানিপ্রতিরোধী জলপট্টি বা ড্রিপ কোর্স রাখতে হবে, যাতে পানি ভবনের দিকে প্রবেশে বাধাগ্রস্ত হয়। ছাদসংলগ্ন প্যারাপেট ওয়ালের টপ ঢাল ভবনের বাইরের দিকে নয়, ছাদের দিকে থাকবে, নতুবা পানি গড়িয়ে বাইরের দেয়ালের রং নষ্টসহ দেয়ালকে ড্যাম্প করে ফেলবে। এ ছাড়া দেয়ালে নির্দিষ্ট উচ্চতা পরপর অনুভূমিক গ্রুভের সংস্থান থাকলে ভবনের বাইরের পানির অবাধ প্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়ে দেয়ালকে ড্যাম্পমুক্ত রাখবে। শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র থেকে নির্গত পানি পাইপের মাধ্যমে নিচের নর্দমায় সংযোগ দিতে হবে। একটি বিশেষ কথা—ভেজা দেয়ালে রং করা যাবে না, প্লাস্টার বা আস্তরের আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ১৬ শতাংশ থাকলেই কেবল দেয়ালে রং করা যাবে। বাজারে সাশ্রয়ী দামে ময়েশ্চার মিটার পাওয়া যায়, সংগ্রহে রাখা যেতে পারে।

অভ্যন্তরীণ বায়ুমান নিশ্চিতকরণ

ভবনে বায়ু চলাচল উপযোগী বা ক্রস ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা রাখুন। বৃষ্টি না থাকলে জানালা খুলে স্বাভাবিক বায়ু চলাচল নিশ্চিত করুন। প্রয়োজনে ভেন্টিলেটর, এগজস্ট ফ্যান বা ডিহিউমিডিফায়ার ব্যবহার ভবনকে শুষ্ক রাখবে। সিলিং কিংবা ওয়ালে ড্যাম্প স্পট দেখা যাওয়া মাত্র এর উৎস চিহ্নিত করুন, বাথরুম/পাকঘরের পানির লাইন কিংবা বাইরের রেইন ডাউন পাইপের সম্ভাব্য লিকেজ মেরামত করুন। ড্যাম্প স্পটের আস্তর ফেলে দিয়ে সময় নিয়ে পুনরায় আস্তর করুন, এরপর সম্পূর্ণ শুকনা মৌসুমে আর্দ্রতা মেপে রং করুন।

আজকাল বাসাবাড়িতে নানা রকম কৃত্রিম বোর্ডের ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন এবং বিল্ট-ইন আসবাব দেখা যায়, বর্ষা মৌসুমে এসব ডেকোরেশন ও আসবাব ড্যাম্প হতে পারে। কাজেই এসব বোর্ডের আসবাব নির্মাণকালে অবশ্যই ভবনের দেয়ালে এনামেল পেইন্ট করে তার ওপরে ৩-৫ মিলিমিটার পিভিসি শিট বসাতে হবে, এর ওপরে বোর্ডের আসবাব ফিক্স করা উচিত, তাহলে এসব আসবাব ও কাপড়চোপড় ড্যাম্পমুক্ত থাকবে।

মোসলেহ উদ্দীন আহাম্মদ অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (অব.

) গণপূর্ত অধিদপ্তর

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ভবন র ব আসব ব

এছাড়াও পড়ুন:

চিকিৎসার জন্য ঢাকায় এসেছিলেন, মারা গেলেন স্বামী–স্ত্রী ও সন্তান

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ থেকে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় এসেছিলেন সৌদিপ্রবাসী মনির হোসেন। গতকাল শনিবার মগবাজারে একটি আবাসিক হোটেলে উঠেছিলেন। রাতে খাবার খেয়ে তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে এক আত্মীয়কে জানান। আজ রোববার দুপুরে নিকটবর্তী একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ বলছে, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, খাবারের বিষক্রিয়ায় তাঁরা মারা গেছেন।

রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন তাঁরা। গতকাল চিকিৎসক দেখাতে পারেননি। তাই মগবাজারে একটি হোটেলে ওঠেন। রাতে বাইরে থেকে খাবার কিনে এনে তিনজন খেয়েছিলেন। সেই খাবার খেয়ে তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁরা একজন আত্মীয়কে খাবার খাওয়ার পর বমি বমি লাগছে বলে জানিয়েছিলেন। আজ ওই আত্মীয় হোটেলে এসে তাঁদের অচেতন অবস্থায় দেখেন। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ সূত্র জানায়, এ ঘটনায় সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটকে ডাকা হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের ভিসারা পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁদের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ