৯ দফা দাবিতে রাবির প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও
Published: 29th, June 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কাঙ্ক্ষিত সংস্কারের নয় দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (২৯ জুন) সকাল ১১টায় প্যারিস রোড থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন তারা। পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন।
এ সময় তারা ‘আপোষ না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘আমাদের দাবি আমাদের দাবি, মানতে হবে মানতে হবে’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’, ‘এক দুই তিন চার হল আমার অধিকার’, ‘সিন্ডিকেটের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘গড়িমাসি চলবে না, চলবে না চলবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
আরো পড়ুন:
রবিবার পরীক্ষায় অংশ নেবেন সেই আনিসা
চবিতে শিবিরের কোরআন অলিম্পিয়াড ও বইপাঠ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন।
আন্দোলনকারীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই এই নয় দফা দাবি জানিয়ে আসছেন তারা। তবে প্রশাসনের নিরব ভূমিকার কারণে এবার তারা কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
তাদের দাবিগুলো হলো, পূর্ণাঙ্গ আবাসিকতার রোডম্যাপ ঘোষণা; পরীক্ষায় রোলবিহীন খাতা মূল্যায়ন ও খাতা চ্যালেঞ্জের সুযোগ; ক্যাম্পাসে সপ্তাহে ৭ দিন, ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা ব্যবস্থা; মেডিকেল সেন্টারকে ৫০ শয্যার পূর্ণাঙ্গ মেডিকেলে উন্নীতকরণ; প্রশাসনিক সব কার্যক্রম ডিজিটাল ও অনলাইনভিত্তিক করা; হল ডাইনিংয়ে মানসম্মত খাবারের জন্য পর্যাপ্ত ভর্তুকি; কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের অবকাঠামোগত ও প্রযুক্তিগত সংস্কার; পূর্ণাঙ্গ টিএসসিসি কার্যকর করা এবং রাকসুর পূর্ণাঙ্গ তফসিল দ্রুত ঘোষণা।
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, “এই নয় দফা শিক্ষার্থীদের ন্যায্য ও সময়োপযোগী দাবি। এগুলো বাস্তবায়ন করতে শুধু সদিচ্ছা ও প্রশাসনিক উদ্যোগই যথেষ্ট। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সতর্ক করছি, দ্রুত দাবি না মানলে আরো কঠোর কর্মসূচি আসবে।
শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, “আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। প্রয়োজনে আরো কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করব।”
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
৮ ম্যাচে ৮ জয়, ২২ গোল, কোনো গোল খায়নি—বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ইংল্যান্ডের অবিশ্বাস্য রেকর্ড
ম্যাচ ৮
জয় ৮
গোল ২২
বিপক্ষে গোল ০
২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে এমন নিখুঁত পরিসংখ্যান ইংল্যান্ডের।
ওয়েম্বলিতে গত ২১ মার্চ আলবেনিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাই শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। টমাস টুখেলের ইংল্যান্ডের কোচ হিসেবে সেটা ছিল প্রথম ম্যাচ। ২৪০ দিন পর তিরানায় গতকাল রাতে সেই আলবেনিয়াকেই একই স্কোরলাইনে হারিয়ে ইউরোপিয়ান অঞ্চলে নিজেদের বিশ্বকাপ বাছাই শেষ করল টুখেলের দল। ইউরোপের প্রথম দল হিসেবে অক্টোবরেই বিশ্বকাপে খেলার টিকিট তো পেয়েছেই, বাছাইপর্বটা শেষ করার পথে দারুণ এক রেকর্ডও গড়েছে ‘থ্রি লায়ন্স’রা।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের এক আসরে ইউরোপের প্রথম দল হিসেবে সব ম্যাচ জয়ের পাশাপাশি কোনো গোল হজম না করার রেকর্ড গড়েছে ইংল্যান্ড। বাছাইপর্বে অন্তত ছয় ম্যাচ খেলতে হয়েছে—হিসাবটি করা হয়েছে এই বিবেচনায়। তিরানায় আলবেনিয়ার জালে ২ গোল করা ইংল্যান্ড স্ট্রাইকার হ্যারি কেইনও আন্তর্জাতিক ম্যাচে গোলের পরিসংখ্যানে পেছনে ফেলেছেন এডসন অরান্তেস দো নাসিমেন্তোকে। ইংল্যান্ডের হয়ে ১১২ ম্যাচে এ নিয়ে ৭৮ গোল হলো কেইনের। ব্রাজিলের হয়ে নাসিমেন্তোর গোলসংখ্যা ৯২ ম্যাচে ৭৭টি—ওহ ভদ্রলোকের আরেক নাম পেলে!
দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ইংল্যান্ড স্ট্রাইকার কেইন গোল পেয়েছেন