রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কাঙ্ক্ষিত সংস্কারের নয় দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (২৯ জুন) সকাল ১১টায় প্যারিস রোড থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন তারা। পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন। 

এ সময় তারা ‘আপোষ না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘আমাদের দাবি আমাদের দাবি, মানতে হবে মানতে হবে’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’, ‘এক দুই তিন চার হল আমার অধিকার’, ‘সিন্ডিকেটের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘গড়িমাসি চলবে না, চলবে না চলবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

আরো পড়ুন:

রবিবার পরীক্ষায় অংশ নেবেন সেই আনিসা

চবিতে শিবিরের কোরআন অলিম্পিয়াড ও বইপাঠ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ

বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন।

আন্দোলনকারীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই এই নয় দফা দাবি জানিয়ে আসছেন তারা। তবে প্রশাসনের নিরব ভূমিকার কারণে এবার তারা কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

তাদের দাবিগুলো হলো, পূর্ণাঙ্গ আবাসিকতার রোডম্যাপ ঘোষণা; পরীক্ষায় রোলবিহীন খাতা মূল্যায়ন ও খাতা চ্যালেঞ্জের সুযোগ; ক্যাম্পাসে সপ্তাহে ৭ দিন, ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা ব্যবস্থা; মেডিকেল সেন্টারকে ৫০ শয্যার পূর্ণাঙ্গ মেডিকেলে উন্নীতকরণ; প্রশাসনিক সব কার্যক্রম ডিজিটাল ও অনলাইনভিত্তিক করা; হল ডাইনিংয়ে মানসম্মত খাবারের জন্য পর্যাপ্ত ভর্তুকি; কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের অবকাঠামোগত ও প্রযুক্তিগত সংস্কার; পূর্ণাঙ্গ টিএসসিসি কার্যকর করা এবং রাকসুর পূর্ণাঙ্গ তফসিল দ্রুত ঘোষণা।

সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, “এই নয় দফা শিক্ষার্থীদের ন্যায্য ও সময়োপযোগী দাবি। এগুলো বাস্তবায়ন করতে শুধু সদিচ্ছা ও প্রশাসনিক উদ্যোগই যথেষ্ট। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সতর্ক করছি, দ্রুত দাবি না মানলে আরো কঠোর কর্মসূচি আসবে।

শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, “আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। প্রয়োজনে আরো কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করব।”

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইভিএম ক্রয়ে অনিয়ম: ইসির ৬ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব

ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ক্রয়ে অনিয়মের অভি‌যো‌গে নির্বাচন কমিশনের ৬ কর্মকর্তাকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধান টিমের প্রধান মো. রাকিবুল হায়াত সই করা এ সংক্রান্ত চিঠি থেকে বিষয়টি জানা গেছে।

দুদকের চিঠিতে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদাসহ অন্যান্যের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও সরকারী আর্থিক বিধি বিধান লঙ্ঘনপূর্বক সমীক্ষা ছাড়াই প্রকল্প গ্রহণপূর্বক টেন্ডার ব্যতিত বাজার মূল্যের চেয়ে ১০ গুণ বেশি দামে দেড় লাখ নিম্নমানের ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ক্রয় করে সরকারের প্রায় ৩ হাজার ১৭২ কোটি টাকা ক্ষতিসাধনের অভিযোগ রয়েছে।

আরো পড়ুন:

স্ত্রী-ছেলেসহ দুদকের মামলায় আসামি রাজশাহীর আ.লীগ নেতা বেন্টু

রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুদকের অভিযান

এজন্য ইসি সচিবালয়ের উপপ্রধান মো. সাইফুল হক চৌধুরী, সহকারী প্রধান মো. মাহফুজুল হক, ইসির আইডিয়া প্রকল্পের আইটি সিস্টেম কনসালটেন্ট এএইচএম আব্দুর রহিম খান, উপসচিব ফরহাদ হোসেন, সিস্টেম এনালিস্ট ফারজানা আখতার এবং ওই সময়ের সিনিয়র মেইন্টেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেনকে বক্তব্য নেওয়া প্রয়োজন।

চিঠিতে ওই ছয় কর্মকর্তাকে আগামী বুধবার (২ জুলাই) দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য প্রদান করতে বলা হয়েছে।

২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে তড়িঘড়ি করে ওই মেশিনগুলো কিনেছিল ইসি। যদিও সেই ভোটে সীমিত পরিসরে মেশিনগুলো ব্যবহার হয়। অর্ধেকের বেশি মেশিন নষ্ট হওয়ায় সম্প্রতি প্রকল্পটি বাতিল করেছে ইসি।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ