পা পিছলে পুকুরে প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী, মিলল নিথর দেহ
Published: 30th, June 2025 GMT
কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলায় পুকুরে পা পিছলে পড়ে অনন্যা দাস গুপ্তা (৭) নামের এক স্কুলশিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার হ্নীলার মৌলভীবাজার হিন্দুপাড়ার বাসিন্দা প্রবাসী আপন শর্মার মেয়ে এবং নাইক্ষ্যংখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণি শিক্ষার্থী ছিল।
আজ সোমবার বিকেলের দিকে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভীবাজার ২ নম্বর ওয়ার্ডের হিন্দুপাড়া–সংলগ্ন মৌলভীবাজার জমিরিয়া মাদ্রাসার পুকুরে পড়ে যায় অনন্যা। তাকে পুকুর থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত শুক্রবার হ্নীলায় পুকুরে ডুবে একসঙ্গে দুই শিশুর মৃত্যু হয়।
শিশুটির চাচা প্রিতম দাসের বরাত দিয়ে ইউপি সদস্য বেলাল উদ্দিন জানান, অনন্যা প্রতিদিনের মতো দুপুরে স্কুলের ক্লাস শেষ করে বাড়ি ফেরার পর সহপাঠীদের সঙ্গে খেলতে যায়। খেলার এক পর্যায়ে পা পিছলে সে পুকুরে পড়ে যায়। পরে খেলার সহপাঠীরা তাকে দেখতে না পেয়ে দৌড়ে গিয়ে বাড়িতে খবর দিলে স্বজনেরা এসে তাকে পুকুর থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, খবরটি স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে শুনেছেন। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২৭ জুন শুক্রবার দুপুরে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বড় লেচুয়াপ্রাং এলাকায় খেলতে গিয়ে বিলের পানিতে ডুবে মারা গেছে দুই শিশু। তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাইবোন। নিহত দুই শিশু হলো হ্নীলা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বড় লেচুয়াপ্রাং এলাকার মোহাম্মদ আবদুল্লাহর মেয়ে জান্নাত আরা (৮) এবং জিয়াউর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ ফারুক (১০)।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মেসি ফিরলেন, গোল করলেন, দলও জেতালেন
পুরো ম্যাচ খেলেননি, বদলি নেমে মাঠে ছিলেন ৪৫ মিনিট। ম্যাচের এই অর্ধেক সময়েই ব্যবধান গড়ে দিয়েছেন লিওনেল মেসি।
চোটের কারণে দুই সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকা মেসি আজ ইন্টার মায়ামির হয়ে ফিরেই গোল করেছেন, গোল করিয়েছেনও। আর্জেন্টাইন তারকার নৈপুণ্যে মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) খেলায় লস অ্যাঞ্জেলেস গ্যালাক্সিকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে ইন্টার মায়ামি।
গত ২ আগস্ট লিগস কাপে নেকাখসার বিপক্ষে ম্যাচে পায়ে চোট পাওয়ায় ম্যাচের ১১ মিনিটে মাঠ ছেড়ে যেতে হয়েছিল মেসিকে। এরপর খেলতে পারেননি লিগস কাপ ও এমএলএসের দুটি ম্যাচ। আজ ঘরের মাঠ চেজ স্টেডিয়ামে মায়ামি কোচ হাভিয়ের মাচেরানো মেসিকে নামান দ্বিতীয়ার্ধে।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে ৪৩তম মিনিটে জর্দি আলবার গোলে এগিয়ে যায় ইন্টার মায়ামি। তবে ৫৯তম মিনিটে জোসেফ পেইনসিলের গোলে সমতা নিয়ে আসে গ্যালাক্সি। ড্রয়ে পয়েন্ট খোয়ানোর শঙ্কায় থাকা মায়ামি শেষ দিকে ৮৪তম মিনিটে পায় দ্বিতীয় গোলের দেখা। রদ্রিগো দি পলের কাছ থেকে বল পেয়ে বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের নিচু শটে বল জালে জড়ান মেসি। এবারের এমএলএসে এটি মেসির ১৯তম গোল।
এরপর ম্যাচের ৮৯তম মিনিটে মায়ামিকে তৃতীয় গোলেরও ব্যবস্থা করে দেন মেসি। তাঁর চমৎকার ব্যাকহিল থেকে বল পেয়ে গোল করেন লুইস সুয়ারেজ।
এবারের লিগে এটি ইন্টার মায়ামির ১৩তম জয়। ২৪ ম্যাচে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে ইস্টার্ন কনফারেন্স পয়েন্ট তালিকায় চার নম্বরে আছে মায়ামি, শীর্ষে থাকা ফিলাডেলফিয়া ৩ ম্যাচ বেশি গেলে ৬ পয়েন্ট সামনে।
মায়ামির পরের ম্যাচ বুধবার লিগস কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে তাইগ্রেস ইউএএনএলের বিপক্ষে।