পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গাছ লাগানোর পাশাপাশি পরিচর্যা জরুরি। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে সমকাল সুহৃদ সমাবেশ ‘গাছ লাগাই, গাছ বাঁচাই’ প্রতিপাদ্যে প্রতি বছর আয়োজন করে বৃক্ষরোপণ উৎসবের। এর ধারাবাহিকতায় কুড়িগ্রাম, পাবনার ঈশ্বরদী ও ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের সুহৃদরা বিভিন্ন স্থানে ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণ করেন
কুড়িগ্রাম
সুজন মোহন্ত
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বৃক্ষকে বলেছিলেন ‘মহাপ্রাণ’। ‘সৃষ্টির প্রথম বাণী তুমি, হে আলোক–/এ নব তরুতে তব শুভদৃষ্টি হোক।/একদা প্রচুর পুষ্পে হবে সার্থকতা,/উহার প্রচ্ছন্ন প্রাণে রাখো সেই কথা.
এ সময় স্থানীয় রাজনৈতিক সাঈয়েদ আহমেদ বাবুসহ স্থানীয় সুহৃদের মধ্যে কার্যক্রমে অংশ নেন রিফাত হোসেন, জোবায়ের ইসলাম আকাশ, বাইজিদ মুস্তাকিম, একান্ত সেন, মার্জিয়া মেধা, তারেক খান, রাকিবুল ইসলাম প্রমুখ।
সাঈয়েদ আহমেদ বাবু বলেন, ‘বৃক্ষ রোপণের গুরুত্ব অপরিসীম। সুস্থ ও বাসযোগ্য পৃথিবীর জন্য বৃক্ষ রোপণ অব্যাহত রাখতে হবে, কারণ গাছ জীবনের জন্য জরুরি।
কর্মসূচি শেষে সুহৃদরা সাংগঠনিক সভা
করেন। সভায় বৃক্ষ রোপণের পরবর্তী করণীয় নির্ধারিত হয়।’
ঈশ্বরগঞ্জ
বিলকিস জাহান সেতু
ঈশ্বরগঞ্জ সুহৃদ সমাবেশ ২০ জুন সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে কয়েক প্রজাতির বনজ ও ঔষধি গাছ রোপণের মাধ্যমে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করে। নবগঠিত কমিটির সুহৃদদের উপস্থিতিতে কর্মসূচি সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন সুহৃদ সমন্বয়ক মহিউদ্দিন রানা। কর্মসূচি শেষে ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি কলেজের একটি কক্ষে এ বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় গাছ লাগানোর উপকারিতা এবং প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় নিয়ে সুহৃদের বৃক্ষরোপণ উৎসব সফল করতে গাছ লাগানো ও পরিচর্যার ওপর গুরুত্ব আরোপময় করা হয়। v
সুহৃদ, ঈশ্বরগঞ্জ
ঈশ্বরদী
সেলিম সরদার
ঈশ্বরদী সমকাল সুহৃদ সমাবেশ ও ‘সবুজ পৃথিবী’র যৌথ উদ্যোগে সম্প্রতি মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ চত্বরের পুকুর পাড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বৃক্ষ রোপণ করে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবীর কুমার দাশ।
‘সবুজ পৃথিবী’ ঈশ্বরদী উপজেলা শাখার সভাপতি সেলিম সরদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন সুহৃদ ও আমন্ত্রিত অতিথিরা। v
সমন্বয়ক, সুহৃদ সমাবেশ, ঈশ্বরদী
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স হ দর
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরের লৌহিয়া খালটি দখল উৎসবে চলছে
বন্দরের ঐতিহ্যবাহী লৌহিয়া খালটি দখল উৎসবে মেতে উঠেছে চিহ্নিত ভূমিদস্যুরা। যে খাল দিয়ে এক সময় শীতলক্ষা-বহ্মপুত্র নদীতে সংযোগ ছিল।
সেই ঐতিহ্যবাহী খালটি অবৈধভাবে দখল করে পাঁকা স্থাপনা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গার্মেন্টস, ব্যাটারি ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেছে ওই সকল ভূমিদস্যুরা।
খালটি দখল হয়ে যাওয়ার কারনে পয়নিষ্কাশনসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত স্থানীয়রা। বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময়ে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে উল্লেখিত খাল দখল করে নিয়েছে প্রভাবশালীরা ।
এলাকাবাসী ও বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম এ রশিদ ও সানাউল্লাহ সানু এবং বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিনের মদদপুষ্ট হয়ে আদর্শ বিদ্যানিকেতন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করতে গিয়ে খাল দখল করে রাস্তা বানিয়েছে।
তেমনি ভাবে গার্মেন্টস, ব্যাটারি ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে পানি চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া খালটি ভরাট করার কারনে বন্দর ইউনিয়নের ৯ নং ওর্য়াডের কদমতলীসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকা পানিবন্দি হয়ে পড়ে। ড্রেজার দিয়ে ব্যাক্তি মালিকানাধীন জমি ভরাট করতে গিয়ে সরকারি খাল দখল করে নিয়েছে। দেখার যেন কেউ নেই।
বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত হোসেন সৈকত জানান, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিকবার লিখিতভাবে জানিয়েও কোন সুফল পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
প্রভাবশালী মহল ও ভূমিদস্যুদের কর্তৃক দখলকৃত খালটি উদ্ধার করে পয়নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভূক্তভোগী এলাকাবাসী।