গল্প
একটু একটু কথা ছিল
মিষ্টিমধুর ছোঁয়া
একটু একটু আগুন ছিল
মিহি মিহি ধোঁয়া
একটু একটু ইলশেগুঁড়ি
আড় নয়নের দেখা
একটু একটু শীতবসন্ত
গোপন পত্র লেখা
একটু একটু রাগ–অভিমান
চোখের কোণে পানি
একটু একটু যা ছিল সব
আজও আছে জানি
বেলা যখন হেলে পড়ে
ছায়ার মাপে বুঝি
হারানো দিন হারানো রাত
নিজের ভেতর খুঁজি
বয়স ছিল বয়স হলো
বয়স যাচ্ছে চলে
যাওয়ার আগে চাওয়া-পাওয়ার
গল্প গেলাম বলে
বিস্মরণযেখানেই হাত রাখি—আগুন
তবু আমি ডুবে যাই জলে
নিশ্বাসে–প্রশ্বাসে অবিশ্বাস
আমার পৃথিবী পোড়ে তবু বিশ্বাসের অনলে
ঘর থেকে বাইরে গেলেই পিছলায় পা
যে যায় সে আর ঘরে ফেরে না
প্রবঞ্চিত হতে হতে ভুলে গেছি প্রাপ্তির মানে
সাঁইজিআবছায়া ভোরের উন্মোচন
ভালোমন্দে চিরতার জল গলাধঃকরণ
পরমানন্দে রুপালি পিয়ালির ঝোলে উদরপূর্তি সম্পাদন
মেঘের অলস পায়চারি
আলস্যের বাড়াবাড়ি
অপরাহ্ণের নিদ্রান্তে গরমাগরম কচুরি জিলিপি সেবন
আচম্বিতে পেয়াদার আগমন
এ যে বড্ড শক্ত গেরোর বাঁধন
সাঁইজির মন চনমন
চরাচরে ভাবের পার্বণ
অন্তঃকরণে বাতাবরণে শিহরণে
নিরিখ বান্ধো রে দুই নয়নে
অরূপ জালযখন রোদ আগুন হয়ে জ্বলে
নদীর জল পাতালপানে চলে
তখন শুনি নিদাঘ-কাল বলে
আজ বৃষ্টি আসবে
বারো মাসের গল্প তেরো মাস
জমিনজুড়ে অলীক চাষবাস
আকাশপারে সুনীল সন্ত্রাস
আষাঢ় মেঘে ভাসবে
তোর কাহিনি শ্রাবণে শোনা মানা
উল্টোরথে রাজপথে দোটানা
অরূপ জাল অলক্ষণে জানা
তবু মন ফাঁসবে
ছোট পাখিপ্রেমে ঝড়
বেদনায় নীলিমা ধূসর
অভিমানে বৃষ্টি
রাগে বিজলি চমকিত দৃষ্টি
অনুযোগে অশান্ত হাওয়া
অনুরাগে অবশেষে প্রশান্ত পাওয়া
ছোট পাখি
তুই আমার কালবৈশাখী
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কুপিয়ে জখমের প্রতিবাদে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
যশোরের ঝিকরগাছায় কুপিয়ে আহত করার পর পাল্টা হামলায় একজনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে উপজেলার হাজিরবাগ ইউনিয়নের সোনাকুড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রফিকুল ইসলাম (৫০) ওই গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে।
তবে স্থানীয়দের দাবি করেন, তিনি মাদক সেবন ও কারবারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এছাড়া আগেও তিনি বিভিন্ন মানুষকে কারণে-অকারণে মারধর করে আহত করেন।
এলাকাবাসী জানান, বুধবার সকালে সোনাকুড় গ্রামের আজগার আলীর বাড়ি থেকে তার জামাতা জহর আলী (৪০) মোটরসাইকেলযোগে বাঁকড়া বাজারে যাচ্ছিলেন। পথে শ্বশুরের চায়ের দোকানের সামনে পৌঁছালে হঠাৎ প্রতিবেশী রফিকুল ইসলাম তার মাথায় দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করেন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন উত্তেজিত হয়ে রফিকুল ইসলামকে দড়ি দিয়ে বেঁধে গণপিটুনি দেন। একপর্যায়ে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
জহর আলীর স্ত্রী নাজমা খাতুন বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে প্রতিবেশী রফিকুলের ব্যক্তিগত অথবা পারিবারিক কোনো শত্রুতা ছিল না। টাকা-পয়সারও কোনো লেনদেন নেই। কি কারণে আমার স্বামীকে কুপিয়েছে বুঝতে পারছি না।’ তিনি জানান, কিছুদিন আগে মাদকসেবী রফিকুল সোনাকুড় গ্রামের হিন্দুপাড়ায় একজনের ঘাড়ে কোপ দেন। তবে ঘাড়ে না লেগে তার একটি আঙুল কেটে যায়।
নিহত রফিকুল ইসলামের জামাতা বাপ্পারাজ বলেন, ‘জহর আলীর সঙ্গে আমার শ্বশুর বাড়ির কোনো বিরোধ ছিল না। লোকমুখে শুনলাম আমার শ্বশুর নাকি জহর আলীকে কুপিয়েছে। পরে গ্রামবাসী তাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে পেটালে তিনি মারা যান। এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হবে।’
বাঁকড়া তদন্ত কেন্দ্রের এসআই সাহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে সোনাকুড় থেকে রফিকুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। লাশের পাশে দড়ি পাওয়া গেছে বলেও তিনি জানান।
ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর মোহাম্মদ গাজী বলেন, ‘নিহত রফিকুল ইসলাম মাদকাসক্ত ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। তিনি জহর আলী নামে এক ব্যক্তিকে দা দিয়ে আঘাত করায় উত্তেজিত জনতা তাকে পিটুনি দেন। একপর্যায়ে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’