প্রবাসীর স্ত্রীকে ২ লাখ টাকা চুক্তিতে হত্যা: পুলিশ
Published: 3rd, July 2025 GMT
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ২ লাখ টাকা চুক্তিতে ফেরদৌসী বেগম নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে খুন করা হয়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তাররা ব্যক্তিরা চুক্তিতে ওই নারীকে খুন করেছেন বলে জানিয়েছেন বুড়িচং থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজিজুল হক।
পুলিশ জানায়, বুধবার দুপুরে আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- দক্ষিণগ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৫০), একই গ্রামের আনোয়ার (৩০), রুবেল আহমেদ মিন্টু (৩১) ও মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন জিল্লু (২৭)।
ওসি মোহাম্মদ আজিজুল হক জানান, রাজাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ গ্রামের দক্ষিণপাড়ার সৌদিপ্রবাসী শামসুল হক আলমের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম নয়ন ও জা নুরজাহান বেগম মধ্যে বাড়ির পাশের একটি জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ বিষয়ে কোনো সুরহা না হওয়ায় ফেরদৌসী বেগমকে হত্যার পরিকল্পনা করেন নুরজাহান বেগম।
মামলার তদন্ত সূত্র জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী পার্শ্ববর্তী এলাকার মাদকসেবী আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে দুই লাখ টাকায় হত্যার চুক্তি করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী আনোয়ার হোসেন সঙ্গে রুবেল জিল্লু যুক্ত হন। চুক্তি অনুযায়ী গত ২৭ জুন সকালে ফেরদৌসী বেগমকে বাড়ির পাশের একটি নির্জন বাগানে হত্যা করে মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেন তারা। ফেরদৌসী বেগম নিখোঁজের পর থেকেই পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে গত মঙ্গলবার সকালে সেপটিক ট্যাংক থেকে বস্তাবন্দী ফেরদৌসী বেগমের লাশ উদ্ধার করে বুড়িচং থানা পুলিশ। এ ঘটনার পর নিহতের ছেলে ইকরামুল হাসান বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর বুড়িচং থানা পুলিশ প্রথমে নিহতের নুরজাহান বেগম আটক করে। পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে হত্যাকাণ্ডের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেন তিনি। পরে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকায় অভিযান চালিয়ে আরও তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মেসের বারান্দার গ্রিলে ঝুলছিল শিশুর লাশ
নাটোর শহরের আলাইপুরে একটি আবাসিক মেস থেকে ইয়াছিন হোসেন (১৩) নামের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকালে মেসের বারান্দার গ্রিল থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
ইয়াছিনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়। সে নাটোর শহরের আলাইপুরে একটি কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করত।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কোরবানির ঈদের ১৫ দিন পর এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে নাটোর শহরের আলাইপুরে এক কারখানায় কাজে আসে ইয়াছিন। কিছুদিন কাজ করার পর বাড়ি ফিরে যেতে পরিবারের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করে ইয়াছিন। কিন্তু, ব্যর্থ হয়। মা-বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে গত দুদিন ধরে কান্নাকাটি করছিল শিশুটি। বৃহস্পতিবার তার বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, সকালে কাজের বুয়া রান্না করতে এসে দেখেন, বারান্দার গ্রিলে ইয়াছিনের মরদেহ ঝুলছে। থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
ইয়াছিনের সহকর্মী স্বপন বলেন, ‘‘বাড়ি যাওয়ার জন্য ইয়াছিন কান্নাকাটি করছিল। তার বাবা-মাকে ফোন করছিল, কিন্তু তারা মোবাইল রিসিভ করেনি। সকালে কাজ থেকে খাবার খেতে মেসে আসি। সবাই ভাত খেলেও ইয়াছিন খায়নি। খাবার শেষে আমরা আবার কাজে চলে যাই। পরে মেসের খালা এসে দেখেন, বারান্দার গ্রিলে তার মরদেহ ঝুলছে।’’
নাটোর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুর রহমান বলেন, ‘‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, শিশুটি আত্মহত্যা করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। শিশুটির পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এলে মরদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’’
ঢাকা/আরিফুল/রাজীব