জুলাই আন্দোলনে শহীদের মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় দোয়া
Published: 3rd, July 2025 GMT
জুলাই আন্দোলনে শহীদের মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থ্যতা কামনায় মডেল গ্রুপ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদুজ্জামান মাসুদে'র সার্বিক সহোযোগিতায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ই জুলাই) বিকেলে নগরীর ১১নং ওয়ার্ড সাবেক ছাত্রদলের আয়োজনে এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
দোয়া মাহফিলে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ, আহত ও পঙ্গত্ব বরণকারীদের জন্য এবং দেশের কল্যাণ কামনা করে বিশেষ দোয়া পরিচালনা শেষে উপস্থিত সকলের মাঝে নেওয়াজ বিতরণ করা হয়।
এসময় দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, ১১নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম দিপু, মহানগর যুবদলের সদস্য সাইফুল ইসলাম আপন, ১১নং ওয়ার্ড যুবদলের কোষাধক্ষ্য মাসুদ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সুমন, যুবদল নেতা আবদুল হালিম, রবিউল, ১১নং ওয়ার্ড ছাত্র দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার হোসেন, প্রচার সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নিলয়, দপ্তর সম্পাদক সাব্বির আহমেদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আযান ও নুরুল হুদা মেহেদী সহ ওয়ার্ডের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ য বদল
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫
টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদে অবৈধভাবে ভ্রমণের সময় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম রিপন আলী (৩৭)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রেলওয়ে পুলিশের টাঙ্গাইল ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর পর ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় ছয়জনকে পাওয়া যায়। আহত যাত্রীরা পুলিশকে জানান, তাঁরা ঢাকা থেকে ট্রেনের ছাদে উঠেছিলেন। টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর ১৫–২০ মিনিট আগে রেলপথের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা একটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নিচের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাঁরা আহত হন।
আহত ছয়জনকে পুলিশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে রিপন আলীর মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে আশরাফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আমিরুল ইসলাম (২৫), আলিম (২৫) ও ফয়সাল (২৭) চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অজ্ঞাতপরিচয়ের এক কিশোর (১৫–১৬) এখনো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, তার হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় শুয়ে আছে। কর্তব্যরত নার্স জানান, ছেলেটি কথা বলতে পারছে না।
এদিকে নিহত রিপন আলীর রাজশাহীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কালিয়ানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহাজারি করছেন। বাইরে রিপনের দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে, কেউ বাঁশ কাটছেন।
রিপনের বাবা ইসরাফিল হোসেন জানান, রিপন ঢাকার একটি ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে চাকরি করত। কয়েক মাস আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন কাজ খুঁজছিল। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে রিপনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তার ছোট ছেলের ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, রিপন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।