চট্টগ্রামে ঠিকাদারকে অপহরণ করে চাঁদা আদায়, গ্রেপ্তার ৩
Published: 3rd, July 2025 GMT
চট্টগ্রামে ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএমে শ্রমিক সরবরাহকারী এক ঠিকাদারকে অপহরণ করে চাঁদা আদায়ের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বিকেলে তাদের আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন-মো. রাশেদুল ইসলাম (৪২), মো.
পুলিশ সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার দুপুরে আকবরশাহ থানার সীতাকুণ্ডের সলিমপুর ইউনিয়নের পাক্কা রাস্তার মাথা এলাকায় অবস্থিত বিএসআরএমের কারখানা থেকে চা খেতে বের হন ঠিকাদার পবিত্র চন্দ্র বর্মণ। আগে থেকে উৎপেতে থাকা আসামিরা তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে হালিশহর সাগরপাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে একটি বাসায় আটকে রেখে তার কাছ থেকে বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপস ব্যবহার করে ২ লাখ ১৮ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এছাড়া জোরপূর্বক খালি স্ট্যাম্প ও চেকে স্বাক্ষর নেয়। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বুধবার তিনি থানায় এসে অভিযোগ করেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন পবিত্র চন্দ্র বর্মণ। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেছেন, আসামিরা তার কাছ থেকে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে বিএসআরএমে শ্রমিক সরবরাহের কাজ করতে পারবেন না বলে হুমকি দেন। তিনি রাজি না হলে তাকে অপহরণ করে টাকা আদায় করা হয়।
জানতে চাইলে আকবরশাহ থানার ওসি আরিফুর রহমান বলেন, ‘চাঁদাবাজির অভিযোগ পেয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। আবেদনটি রিমান্ডের পরবর্তীতে শুনানির জন্য অপেক্ষমান রেখে আসামিদের কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছেন।’
সীতাকুণ্ড থানা বিএনপির সদস্যসচিব কাজী মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ‘যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলা হচ্ছে- এই নামে কাউকে আমি চিনি না। তারা বিএনপির কেউ নয়।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
হোয়াইট হাউস থেকে খালি হাতে ফিরলেন জেলেনস্কি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনকে টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করতে প্রস্তুত নন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। সেই সুবাধে ধারণা করা হচ্ছে, হোয়াইট হাউসের বৈঠক থেকে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি খালি হাতে ফিরে এসেছেন। শনিবার বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
শুক্রবার সৌহার্দ্যপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর জেলেনস্কি জানান, তিনি এবং ট্রাম্প দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে কথা বলেছেন। কিন্তু বৈঠকের বিষয়ে কোনো বিবৃতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারণ ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনা বাড়াতে চায় না।’
বৈঠকের পর ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে কিয়েভ এবং মস্কোকে ‘তারা যেখানে আছে সেখানেই থামতে’ এবং যুদ্ধ শেষ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে ফোনে কথা বলার এবং শিগগিরই হাঙ্গেরিতে তার সাথে দেখা করার জন্য সম্মত হওয়ার একদিন পর ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকটি হয়।
জেলেনস্কি বিশ্বাস করেন যে রাশিয়ার তেল ও জ্বালানি সুবিধাগুলোতে হামলা চালানোর জন্য টমাহক ব্যবহার পুতিনের যুদ্ধ অর্থনীতিকে মারাত্মকভাবে দুর্বল করে দেবে।
ট্রাম্প যদিও এটি উড়িয়ে দেননি। শুক্রবার হোয়াইট হাউসে তার সুর ছিল অপ্রতিশ্রুতিপূর্ণ।
তিনি বলেছেন, “আশা করি তাদের এর প্রয়োজন হবে না, আশা করি আমরা টমাহকের কথা না ভেবেই যুদ্ধ শেষ করতে পারব। আমি মনে করি আমরা এর কাছাকাছি চলে এসেছি।”
ট্রাম্প অস্ত্রগুলোকে ‘একটি বড় চুক্তি’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব প্রতিরক্ষার জন্য এগুলো প্রয়োজন। ইউক্রেনে টমাহক সরবরাহের অর্থ সংঘাত আরো তীব্র হতে পারে।
ঢাকা/শাহেদ