ফিনল্যান্ডে ছুরিকাঘাতে কয়েকজন আহত, সন্দেহভাজন গ্রেপ্তার
Published: 4th, July 2025 GMT
ফিনল্যান্ডের তাম্পেরে শহরে বৃহস্পতিবার একটি শপিং সেন্টারের কাছে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে পুলিশ আহতের সংখ্যা এবং অন্যান্য বিস্তারিত তথ্য তাৎক্ষণিক জানাতে পারেনি।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ঘটনার পর পুলিশ এবং অ্যাম্বুলেন্স দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ২৩ মিনিটে তারা ছুরিকাঘাতের খবর পায়। রাটিনা শপিং সেন্টারের বাইরের এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে এবং এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে পুলিশ প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলছে।
তাম্পেরে শহরে প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার মানুষ বাস করেন। এটি ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিঙ্কির থেকে প্রায় ১৮০ কিলোমিটার (১১২ মাইল) উত্তরে অবস্থিত।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুরাদনগরে নারী নির্যাতন ও ভিডিও ছড়ানোর নেপথ্যে ‘দুই ভাইয়ের বিরোধ’
কুমিল্লার মুরাদনগরে নারীকে ‘ধর্ষণ’ ও নির্যাতন এবং এর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার নেপথ্যে রয়েছে প্রধান হোতা শাহ পরান এবং তার ভাই ফজর আলীর দীর্ঘদিনের বিরোধ। ফজর আলীকে বিপদে ফেলে প্রতিশোধ নিতেই শাহ পরান এ কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন চাঞ্চল্যকর এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, পূর্বশত্রুতার জেরে ধরে বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে ছোট ভাই শাহ পরান জনতাকে উস্কে দিয়ে ভুক্তভোগী ও অভিযুক্ত ধর্ষককে নির্যাতন, শ্লীলতাহানি এবং অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। বাহেরচর গ্রামের শহিদের বড় ছেলে ফজর আলী এবং ছোট ছেলে শাহ পরান দীর্ঘদিন ধরে ভুক্তভোগী নারীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। প্রায় দুই মাস আগে দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। পরে গ্রাম্য শালিসে ফজর আলী তার ছোট ভাই শাহ পরানকে চড় মারেন। এ অপমানের প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ খুঁজছিলেন শাহ পরান।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে অপহৃত কিশোরী উদ্ধার
ছাত্রীকে যৌনপল্লীতে বিক্রি, যুবক গ্রেপ্তার
র্যাব-১১ এর অধিনায়ক জানান, শালিসের কিছুদিন পর ভুক্তভোগী নারীর মা ফজর আলীর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ভুক্তভোগীর বাবা-মায়ের অনুপস্থিতিতে ফজর আলী সুদের টাকা আদায়ের অজুহাতে ভুক্তভোগীর শয়নকক্ষে প্রবেশ করেন। এর ২০ মিনিট পর পূর্বপরিকল্পিতভাবে ভুক্তভোগীর বাড়ির আশপাশে অবস্থানরত শাহ পরান এবং একই গ্রামের আবুল কালাম, অনিক, আরিফ, সুমন, রমজান ও অজ্ঞাত ৮-১০ জন ব্যক্তি দরজা ভেঙে ভুক্তভোগীর শয়নকক্ষে প্রবেশ করেন। তারা ভুক্তভোগীকে শারীরিক নির্যাতন ও শ্লীলতাহানি করেন এবং অশ্লীল ভিডিও ধারণ করেন। তা পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন, এ ঘটনা সমাজে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে।
ঢাকা/এমআর/রফিক