ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) অবস্থিত ‘স্বাধীনতা সংগ্রাম’ ভাস্কর্যটি দীর্ঘদিন ধরে ভাঙা অবস্থায় পড়ে থাকায় এর দ্রুত সংস্কারের দাবিতে উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানকে স্মারকলিপি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার স্মারকলিপিটি দেন উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফেরদৌস আলম এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মো.

রিপন আহম্মেদ।

গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে ভাস্কর্যটি ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে। এরপর প্রায় এক বছর কেটে গেলেও ভাস্কর্যটি সংস্কারে কোনো কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।

এই দুই শিক্ষার্থী মনে করেন, ভাস্কর্যটি শুধুমাত্র একটি শৈল্পিক কাঠামো নয়, এটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতীয় পরিচয়ের প্রতীক। ভাস্কর্যটি এভাবে ভাঙা অবস্থায় পড়ে থাকা অত্যন্ত দুঃখজনক ও লজ্জাজনক।

ভাস্কর্যটি দ্রুত সংস্কার কাজ শুরুর পাশাপাশি ভবিষ্যতে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন এই দুই শিক্ষার্থী। তাঁরা মনে করেন, জাতীয় ইতিহাসের প্রতীক এই ভাস্কর্যকে অবহেলা নয়, বরং সংরক্ষণের মধ্য দিয়ে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য আরও জীবন্ত করে তুলতে হবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ভ স কর য অবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

মুরাদনগরে নারী নির্যাতন ও ভিডিও ছড়ানোর নেপথ্যে ‘দুই ভাইয়ের বিরোধ’

কুমিল্লার মুরাদনগরে নারীকে ‘ধর্ষণ’ ও নির্যাতন এবং এর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার নেপথ্যে রয়েছে প্রধান হোতা শাহ পরান এবং তার ভাই ফজর আলীর দীর্ঘদিনের বিরোধ। ফজর আলীকে বিপদে ফেলে প্রতিশোধ নিতেই শাহ পরান এ কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে জানিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংয়ে র‍্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন চাঞ্চল্যকর এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, পূর্বশত্রুতার জেরে ধরে বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে ছোট ভাই শাহ পরান জনতাকে উস্কে দিয়ে ভুক্তভোগী ও অভিযুক্ত ধর্ষককে নির্যাতন, শ্লীলতাহানি এবং অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। বাহেরচর গ্রামের শহিদের বড় ছেলে ফজর আলী এবং ছোট ছেলে শাহ পরান দীর্ঘদিন ধরে ভুক্তভোগী নারীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। প্রায় দুই মাস আগে দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। পরে গ্রাম্য শালিসে ফজর আলী তার ছোট ভাই শাহ পরানকে চড় মারেন। এ অপমানের প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ খুঁজছিলেন শাহ পরান। 

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে অপহৃত কিশোরী উদ্ধার

ছাত্রীকে যৌনপল্লীতে বিক্রি, যুবক গ্রেপ্তার  

র‍্যাব-১১ এর অধিনায়ক জানান, শালিসের কিছুদিন পর ভুক্তভোগী নারীর মা ফজর আলীর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ভুক্তভোগীর বাবা-মায়ের অনুপস্থিতিতে ফজর আলী সুদের টাকা আদায়ের অজুহাতে ভুক্তভোগীর শয়নকক্ষে প্রবেশ করেন। এর ২০ মিনিট পর পূর্বপরিকল্পিতভাবে ভুক্তভোগীর বাড়ির আশপাশে অবস্থানরত শাহ পরান এবং একই গ্রামের আবুল কালাম, অনিক, আরিফ, সুমন, রমজান ও অজ্ঞাত ৮-১০ জন ব্যক্তি দরজা ভেঙে ভুক্তভোগীর শয়নকক্ষে প্রবেশ করেন। তারা ভুক্তভোগীকে শারীরিক নির্যাতন ও শ্লীলতাহানি করেন এবং অশ্লীল ভিডিও ধারণ করেন। তা পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। 

লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন, এ ঘটনা সমাজে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে।

ঢাকা/এমআর/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ