ক্যাবরেরাকে বাদ দিতে চেয়ে উল্টো ছাঁটাই শাহীন!
Published: 4th, July 2025 GMT
জাতীয় ফুটবল দলের স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার অপসারণ দাবি করেছিলেন বাফুফে নির্বাহী কমিটির সদস্য সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া শাহীন। কিন্তু কোচ বদলের দাবির বদলে নিজেকেই হারাতে হলো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। জাতীয় দল কমিটির সদস্য পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দিয়েছে বাফুফে।
শুক্রবার বাফুফে সভাপতি ও জাতীয় দল কমিটির চেয়ারম্যান তাবিথ আউয়ালের স্বাক্ষরিত চিঠি পেয়েছেন তিনি। চিঠিতে সরাসরি কোনো কারণ দেখানো হয়নি। বাফুফের চাওয়া তিনি নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে ফুটবল উন্নয়নে ভূমিকা রাখবেন। তবে জাতীয় দল কমিটির সদস্য হিসেবে থাকছেন না।
এই প্রসঙ্গে শাহীন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আজই সভাপতি স্বাক্ষরিত চিঠি পেয়েছি। আমাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে এতে কোনো সমস্যা নেই। নির্বাহী কমিটিতে তো আছি। তবে আমি এখনো মনে করি বাংলাদেশ দলের স্বার্থে হাভিয়ের কাবরেরার পদত্যাগ করা উচিত। এটা আমি মনে করি অনেকেরই দাবি।’
গত ১৪ জুন এক সংবাদ সম্মেলনে স্পষ্টভাবে ক্যাবরেরার পদত্যাগ দাবি করেন তিনি। এরপর থেকেই শুরু হয় গুঞ্জন—তিনি ‘কোড অব কন্ডাক্ট’ ভেঙেছেন। বিষয়টি বাফুফের ভেতরে বিব্রতকর পরিবেশও সৃষ্টি করে।
প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে বাংলাদেশ জাতীয় পুরুষ দলের দায়িত্বে থাকা কোচ ক্যাবরেরা কাঙ্ক্ষিত সাফল্য এনে দিতে পারেননি। ২০২৩ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সেমিফাইনালে ওঠা ছাড়া তার আমলে উল্লেখযোগ্য কিছু নেই। সাম্প্রতিক সময়ে ভারত ও সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে জয় না পাওয়ায় কোচের কৌশল ও খেলোয়াড় বাছাই নিয়ে সমালোচনা বাড়ে। বিশেষ করে হামজা চৌধুরী ও শমিত সোমের মতো ফুটবলারদের যুক্ত করেও প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স না পাওয়ায় ক্ষোভ বেড়েছে ফুটবল অঙ্গনে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: হ য ভ য় র ক য বর র কম ট র সদস য ক য বর র ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।
দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।
ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।
৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।
ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট