রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আলোচিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ‘কবজিকাটা গ্রুপ’-এর অন্যতম সদস্য ও কিশোর গ্যাং নেতা মো. বাবু খান ওরফে টুন্ডা বাবুকে (৩১) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাকারিয়া আজ শুক্রবার প্রথম আলোকে বলেন, বাবু খানকে গ্রেপ্তারের পর র‍্যাব তাঁকে বৃহস্পতিবার রাতে আদাবর থানায় হস্তান্তর করে। বাবু খানের বিরুদ্ধে আদাবর থানায় মারামারি, হত্যাচেষ্টা, ডাকাতি, ছিনতাই, চুরিসহ নয়টি মামলা রয়েছে।

শুক্রবার তাঁকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়। দুটি হত্যাচেষ্টার মামলায় তাঁকে রিমান্ডে নিতে আদালতে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

পুলিশ কর্মকর্তা জাকারিয়া বলেন, আগামী রোববার বাবু খানকে দুটি মামলায় রিমান্ডের আবেদন করা হবে। বাবু খানকে গ্রেপ্তারের কিছুদিন আগে তাঁর দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গত বুধবার গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থেকে বাবু খান ওরফে টুন্ডা বাবুকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-২–এর একটি দল। র‍্যাব বলেছে, বাবু খান মোহাম্মদপুর এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের নিয়ে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ভূমি দখলসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি র‍্যাব কর্মকর্তাদের বলেছেন, মোহাম্মদপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী আনোয়ার ওরফে কবজিকাটা আনোয়ারের প্রধান সহযোগী তিনি।

র‌্যাবের ভাষ্যমতে, কবজিকাটা গ্রুপের প্রধান আনোয়ারের নির্দেশে তিনি মোহাম্মদপুর ও আশপাশের এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ভূমি দখল, চুরি-ছিনতাই, ডাকাতি, হত্যাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে আসছিলেন। সাধারণত দিনের বেলায় তাঁরা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন এলাকার কম জনসমাগমপূর্ণ স্থানে পথচারীদের জিম্মি করেন। এভাবে তাঁরা টাকা, মুঠোফোন, ল্যাপটপ, ভ্যানিটি ব্যাগসহ বিভিন্ন মালামাল ছিনতাই করেন। রাত গভীর হলে তাঁরা বাসাবাড়ি ও ফ্ল্যাটে ঢুকে অস্ত্রের মুখে ডাকাতি করেন। এ ছাড়া তাঁরা গাড়ি থামিয়ে অস্ত্রের মুখে সবকিছু লুট করেন। তিনি ও তাঁর গ্যাংয়ের লোকেরা বিভিন্ন এলাকায় মাদক কারবারে জড়িত।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শ্যামলী হাউজিংয়ের ২ নম্বর প্রজেক্টে বাবুকে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে ধারালো অস্ত্র হাতে দেখা যায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হয়। ২৪ ফেব্রুয়ারি বাবুকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। ৫ মে তিনি কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হন। এরপর তিনি আগের মতোই সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন।

সম্প্রতি মোহাম্মদপুর এলাকায় র‍্যাব-২-এর অভিযানে মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী ভূঁইয়া সোহেল ওরফে বুনিয়া সোহেল, চুয়া সেলিম গ্রুপের প্রধান মো.

সেলিম আশরাফী ওরফে চুয়া সেলিম ওরফে চোরা সেলিম, কবজিকাটা গ্রুপের প্রধান মো. আনোয়ার ওরফে শুটার আনোয়ার ওরফে কবজিকাটা আনোয়ারকে তাঁদের সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর ম হ ম মদপ র কবজ ক ট ছ নত ই এল ক য় ক রব র

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ