পঞ্চগড় সীমান্ত দিয়ে ১৫ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ
Published: 5th, July 2025 GMT
পঞ্চগড় সীমান্ত দিয়ে ১৫ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তাদের মধ্যে পাঁচজন জন পুরুষ, পাঁচজন মহিলা ও পাঁচজন শিশু।
শুক্রবার (৪ জুলাই) রাতে পঞ্চগড় সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়ন ও অমরখানা ইউনিয়ন সীমান্ত দিয়ে ওই ১৫ জনকে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে পাঠানো হয়। তাদেরকে আটক করে পঞ্চগড় সদর থানায় হস্তান্তর করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
শুক্রবার রাতে চাকলাহাট ইউনিয়নের খুনিয়া পাড়া সীমান্তের মেইন পিলার ৭৬৪ এর ১৯ নম্বর সাব-পিলার এলাকা দিয়ে ১০ জনকে ঠেলে পাঠান বিএসএফের ৯৩ ব্যাটালিয়নের কৈলাশ ক্যাম্পের সদস্যরা। পরে সীমান্তের ১৫০ গজ বাংলাদেশের ভিতর থেকে বিজিবির শিং রোড বিওপির সদস্যরা তাদেরকে আটক করেন।
একই রাতে অমরখানা সীমান্তের মেইন পিলার ৭৪৩ এর ৩ নম্বর সাব-পিলার দিয়ে দুই নারী, এক পুরুষ ও দুই শিশুসহ ৫ জনকে ঠেলে পাঠান বিএসএফের ৪৬ ব্যাটলিয়নের বালাচান ক্যাম্পের সদস্যরা। বিজিবির অমরখানা বিওপি সদস্যরা বাংলাদেশের আড়াই কিলোমিটার অভ্যন্তরে বোর্ড বাজার এলাকায় তাদেরকে আটক করেন।
আটক ১৫ জন বাংলাদেশের খুলনা, বাগেরহাট, যশোর ও নড়াইল জেলার বাসিন্দা। তারা দীর্ঘদিন ধরে ভারতে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ হিল জামান বলেছেন, সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করা ব্যক্তিদের আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে বিজিবি। আমরা আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের হস্তান্তর করব। হস্তান্তর পর্যন্ত তারা উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে থাকবেন।
ঢাকা/নাঈম/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ র সদস
এছাড়াও পড়ুন:
জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক
জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে।
ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি।
অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক।
পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে।
একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক।
সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।
সুচরিতা/শাহেদ