পঞ্চগড় সীমান্ত দিয়ে ১৫ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তাদের মধ্যে পাঁচজন জন পুরুষ, পাঁচজন মহিলা ও পাঁচজন শিশু।

শুক্রবার (৪ জুলাই) রাতে পঞ্চগড় সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়ন ও অমরখানা ইউনিয়ন সীমান্ত দিয়ে ওই ১৫ জনকে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে পাঠানো হয়। তাদেরকে আটক করে পঞ্চগড় সদর থানায় হস্তান্তর করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

শুক্রবার রাতে চাকলাহাট ইউনিয়নের খুনিয়া পাড়া সীমান্তের মেইন পিলার ৭৬৪ এর ১৯ নম্বর সাব-পিলার এলাকা দিয়ে ১০ জনকে ঠেলে পাঠান বিএসএফের ৯৩ ব্যাটালিয়নের কৈলাশ ক্যাম্পের সদস্যরা। পরে সীমান্তের ১৫০ গজ বাংলাদেশের ভিতর থেকে বিজিবির শিং রোড বিওপির সদস্যরা তাদেরকে আটক করেন। 

একই রাতে অমরখানা সীমান্তের মেইন পিলার ৭৪৩ এর ৩ নম্বর সাব-পিলার দিয়ে দুই নারী, এক পুরুষ ও দুই শিশুসহ ৫ জনকে ঠেলে পাঠান বিএসএফের ৪৬ ব্যাটলিয়নের বালাচান ক্যাম্পের সদস্যরা। বিজিবির অমরখানা বিওপি সদস্যরা বাংলাদেশের আড়াই কিলোমিটার অভ্যন্তরে বোর্ড বাজার এলাকায় তাদেরকে আটক করেন।

আটক ১৫ জন বাংলাদেশের খুলনা, বাগেরহাট, যশোর ও নড়াইল জেলার বাসিন্দা। তারা দীর্ঘদিন ধরে ভারতে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।

পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ হিল জামান বলেছেন, সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করা ব্যক্তিদের আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে বিজিবি। আমরা আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের হস্তান্তর করব। হস্তান্তর পর্যন্ত তারা উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে থাকবেন। 

ঢাকা/নাঈম/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ র সদস

এছাড়াও পড়ুন:

সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী

অবৈধভাবে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশের অভিযোগে ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের উত্তাল নদীতে দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে তাদের আটক করা হয়।  ধৃত মৎসজীবীরা বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার পুরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। মাছ ধরার ট্রলার ও জালসহ তাদেরকে আটক করা হয়। 

আরো পড়ুন:

কলকাতায় সম্মিলিত সেনা সম্মেলন উদ্বোধন নরেন্দ্র মোদির

অবৈধ অভিবাসীদের প্রতি নরম হওয়ার দিন শেষ: ট্রাম্প

বিএসএফ জানায়, রবিবার সীমান্তের সুন্দরবন অংশে রুটিন টহল দেয়ার সময় গোসাবা রেঞ্জের বাঘমারি জঙ্গল এলাকায় বাংলাদেশি অবৈধ ট্রলারের উপস্থিতি নজরে আসে বিএসএফ জওয়ানদের। বিএসএফ জওয়ানদের পেট্রোল বোট ট্রলারটির কাছে যাওয়ার চেষ্টা করতেই ট্রলারটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। দ্রুততার সঙ্গে ট্রলারের পিছু ধাওয়া করা হয়। দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে পরবর্তীতে পাকড়াও করা হয় বাংলাদেশি ট্রলারটিকে। অবৈধ অনুপ্রবেশ এর অভিযোগে আটক করা হয় এতে থাকা ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে। বাজেয়াপ্ত করা হয় ট্রলারটি।

বিএসএফ আরো জানায়, আটকের পর দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগের বিপরীতে কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখাতে পারেনি। ফলে জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাদের স্থানীয় সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আজ সোমবার তাদের আলিপুর আদালতে তোলা হবে।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল বিএসএফ
  • সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর
  • সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী