ফেনীতে আয়োজিত এক সুধী সমাবেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘দেশে আর কোনো ফ্যাসিস্ট তৈরি হতে দেওয়া হবে না। সংস্কার কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে হবে। সংস্কার ছাড়া যেনতেন নির্বাচন করা যাবে না। আমাদের সন্তানদের রক্তের সঙ্গে আমরা বেইমানি করব না এবং কাউকে বেইমানি করতেও দেব না।’

আজ শনিবার সন্ধ্যায় শহরের একটি গণমিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শফিকুর রহমান এ কথা বলেন।

শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের সন্তানেরা যে আশা নিয়ে, আকাঙ্ক্ষা নিয়ে রক্ত দিয়েছে, সেই রক্তের মূল্য পরিশোধ করার জন্য আমরা প্রস্তুত। আগামী নির্বাচনে আমরা কোনো ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং দেখতে চাই না। তা–ই যদি হবে, তাহলে এত মানুষ জীবন দিয়েছে কেন? আমরা ফ্যাসিস্ট আমলের আদলে আর কোনো নির্বাচন এ দেশে হতে দেব না। আমরা ন্যায়ের পক্ষে এবং জনগণের অধিকারের পক্ষে আছি। ফ্যাসিবাদের শেষ চিহ্নটুকু যত দিন পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে মুছে না যাবে, তত দিন আমাদের এই লড়াই অব্যাহত থাকবে।’

সুধী সমাবেশে সভাপতিত্ব করে স্বাগত বক্তব্য দেন জামায়াতের ফেনী জেলার আমির মুফতি আবদুল হান্নান। জেলা সেক্রেটারি মুহাম্মদ আবদুর রহীমের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মো.

তাহের, ফেনী–২ আসনের জামায়াতের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী লিয়াকত আলী ভূঁইয়া প্রমুখ।

এর আগে বিকেলে একই স্থানে ফেনী জেলা জামায়াতের রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলটির আমির শফিকুর রহমান।

রুকন সম্মেলনে শফিকুর রহমান বলেন, ‘পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে কালোটাকা, পেশিশক্তির রাস্তা বন্ধ হবে। ফ্যাসিজম সৃষ্টি হবে না। পিআর পদ্ধতি হলে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসিত হবে, এমন চিন্তা একটি বিশেষ দল থেকে প্রচার করা হচ্ছে। শহীদদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগকে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না।’

রুকন সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আবু তাহের মোহাম্মদ মাছুম ও মুহাম্মদ শাহজাহান, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য মোহাম্মদ আলাউদ্দিন ও জেলা নায়েবে আমির অধ্যাপক আবু ইউসুফ।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম হ ম মদ

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ