মাত্র ১৪ বছর বয়সেই আলোচনায় এসেছিলেন বৈভব সূর্যবংশী। আইপিএলে সেঞ্চুরি করে কিশোর বয়সেই জায়গা করে নেন লাইমলাইটে। এবার জাতীয় বয়সভিত্তিক দলের হয়ে গড়লেন দারুণ এক রেকর্ড। যুব ওয়ানডেতে সবচেয়ে কম বয়সে সেঞ্চুরির মালিক এখন এই ভারতীয় ব্যাটার।

শনিবার ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে ৭৮ বলে ১৪৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন সূর্যবংশী। মাত্র ৫২ বলে স্পর্শ করেন তিন অঙ্ক, যা যুব ওয়ানডে ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড। ইনিংসে ছিল ১৩টি চার আর ১০টি ছক্কা। ভারতের যুব ওয়ানডেতে যা সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ডও বটে।

এই ইনিংসটি খেলার সময় তার বয়স ছিল মাত্র ১৪ বছর ১০০ দিন। এত কম বয়সে যুব ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি আর কেউ করতে পারেননি। পেছনে পড়ে গেছেন বাংলাদেশের নাজমুল হোসেন শান্ত, যিনি ১৪ বছর ২৪১ দিনে করেছিলেন শতরান।

চলতি সফরের আগের ম্যাচেও আলো ছড়িয়েছিলেন সূর্যবংশী। ৩১ বলে খেলেছিলেন ৮৬ রানের বিস্ফোরক ইনিংস, যেখানে ছক্কা ছিল ৯টি। এবার নিজেকেই ছাড়িয়ে গড়লেন নতুন রেকর্ড।

ম্যাচ শেষে এই তরুণ ব্যাটার বলেন, ‘শতক করার পরও জানতাম না যে রেকর্ড করেছি। পরে আমাদের ম্যানেজার আঙ্কিত স্যার এসে বললেন। উদযাপন বলতে কিছুই না, প্রতিটা ম্যাচই আমার কাছে স্বাভাবিক। আজ একটু খুশি, দলের জন্য ভালো কিছু করতে পেরেছি। এখন বাড়িতে আর বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলব।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র কর ড

এছাড়াও পড়ুন:

মেয়েকে নৌকায় বসিয়ে নদীতে ডুব দিয়ে আর উঠতে পারেননি তিনি

চার বছর বয়সী মেয়ে রুসফিয়াকে নিয়ে বাড়ির পাশের করতোয়া নদীতে গোসল করতে গিয়েছিলেন মাসুম আল মামুন (৪২)। নদীর ধারে বেঁধে রাখা নৌকায় মেয়েকে বসিয়ে রেখে পানিতে ডুব দিয়েছিলেন তিনি। বেশ কিছুক্ষণ বাবাকে উঠতে না দেখে দৌড়ে বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি মাকে জানায় রুসফিয়া। পরে শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। পরে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হয়েছে মাসুমের লাশ।

রোববার বিকেলে পঞ্চগড় পৌরসভার আহমদনগর এলাকাসংলগ্ন করতোয়া নদীতে এ ঘটনা ঘটে। মৃত মাসুম আল মামুনের বাড়ি আহমদনগর এলাকায়। তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রেখে গেছেন। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী ছিলেন।

নিহত মাসুম আল মামুনের মামাতো ভাই জাফর আহমদ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা নদীতে নেমে তাঁকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে বিকেল ছয়টার দিকে পানির নিচে মাসুমকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তিনি বলেন, তাঁরা শুনেছেন মাসুমের হৃদ্‌রোগ ছিল। পানিতে ডুব দেওয়ার পর তাঁর হার্ট অ্যাটাক হয়েছে বলে তাঁরা ধারণা করছেন।

পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা তুষার কান্তি রায় বলেন, ‘খবর পেয়ে বিকেল পাঁচটার দিকে আমরা নিখোঁজ ওই ব্যক্তিকে উদ্ধারে নদীতে নামি। এ সময় আমাদের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনও নদীতে নেমেছিলেন। প্রায় ৪৫ মিনিট খোঁজাখুঁজির পর হঠাৎ করেই স্থানীয় একজনের পায়ে মানুষের শরীরের মতো কিছু একটা লাগে। পরে সেখান থেকে মাসুম আল মামুনের লাশ খুঁজে পাই। পরে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি।’

পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লা হিল জামান বলেন, এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ