সিরিজ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে ক্যান্ডিতে মিরাজরা
Published: 6th, July 2025 GMT
কলম্বো থেকে মেহেদী হাসান মিরাজদের ক্যান্ডি পৌঁছাতে পৌঁছাতে সন্ধ্যা। আগের দিন ম্যাচ খেলার ধকল কাটাতে লম্বা বিশ্রাম নিয়ে রাজধানী থেকে ভেলি শহরের উদ্দেশে বিকেল ৩টায় রওনা হন তারা। নিরাপত্তা প্রোটোকলের ব্যাপার থাকায় বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কাকে একসঙ্গেই আসতে হয়েছে। ক্যান্ডি শহরে আসার পর দুটি দলের পথ আলাদা হয়ে গেছে। শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি) এবার ভিন্ন দুটি হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করেছে। পাহাড়ের নির্জন এলাকায় নতুন গড়ে উঠা গোল্ডেন ক্রাউন হোটেলে রাখা হয়েছে বাংলাদেশকে। আর শহরের প্রাণকেন্দ্রে আছে শ্রীলঙ্কা।
শহরে থাকার কারণে আসালঙ্কারা হাত বাড়ালেই সব সুযোগসুবিধা পাবেন। শহরের বাইরে রাখার কারণে মিরাজদের হাতের কাছে সুযোগ সুবিধা একটু কম। অবশ্য এ নিয়ে বাংলাদেশ দলে কোনো আক্ষেপ নেই। কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে শনিবার দ্বিতীয় ওয়ানডে জেতার আনন্দে ফুরফুরে মেজাজে আছেন ক্রিকেটাররা। পারিপার্শ্বিক সব কিছু ভুলে এখন সিরিজ জয়ের স্বপ্ন বুনছেন তারা।
বাংলাদেশ ক্যান্ডিতে ভালো ক্রিকেট খেলে অভ্যস্ত। ২০১২ সালের টি-২০ বিশ্বকাপ ম্যাচে বড় স্কোর করেছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। এই ভেন্যুতে স্বাগতিকদের বিপক্ষেও ওয়ানডে জিতেছে, টেস্ট ম্যাচ ড্র করেছে। এই স্মৃতিগুলো টাইগারদের কাছে এখন প্রেরণা। যদিও কোচিং স্টাফরে কাছে রেকর্ড গুরুত্ব পাচ্ছে উন্নতি। তারা চান ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং তিন বিভাগে ধারাবাহিক উন্নতি করে ম্যাচ জয়কে অভ্যাসে পরিণত করবেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। অধিনায়ক মিরাজও উন্নতিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। বিশেষ করে ব্যাটিং বিভাগে আরও একাগ্রতা দেখতে চান তিনি।
বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম জয়ের ধারাবাহিকতা দেখতে চান। ঢাকা থেকে ফোনে তিনি বলেন, একটি ম্যাচ জিতলে হবে না। এটা সাময়িক স্বস্তি। হ্যাঁ, কলম্বোর জয়ে খেলোয়াড়রা কিছুটা উজ্জীবিত হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে এখন থেকেই ধারাবাহিক হতে হবে। নিয়মিতই ম্যাচ জেতার কৌশল জানতে হবে ক্রিকেটারদের।
বাংলাদেশের ওয়ানডে দলের গড় বয়স কমে গেছে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালরা অবসর নেওয়ায় অপেক্ষাকৃত তরুণরা জায়গা করে নিয়েছেন। এই নবীনদের বেশিরভাগ আবার অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের খেলোয়াড়। ক্রিকেটারদের বয়সের গড় কমে যাওয়া মানে অভিজ্ঞতায়ও পিছিয়ে গেছে। এরমধ্যেও ভালো দিক হলো তরুণরা সাহস নিয়ে খেলতে জানেন। পারভেজ হোসেন ইমন, শামীম হোসেন পাটোয়ারি, শরিফুল ইসলামরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের মতোই খেলেন। ফাহিম মনে করেন এই খেলোয়াড়দের হাত ধরেই ধাপে ধাপে উন্নতির পথ খুঁজে পাবে বাংলাদেশ।
ট্রানজেকশনের ভেতরে থাকায় সাদা বলের ক্রিকেটে খুব একটা ভালো করতে পারছিল না বাংলাদেশ। গত দেড় বছর ধরে ব্যাটিংয়ের দুর্বলতা চোখে পড়ার মতোই। টপঅর্ডারে তানজি হাসান তামিম ছাড়া কেউই ধারাবাহিকতা দেখাতে পারছেন না। তামিম ইকবাল জাতীয় দল থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর ওপেনিং জুটিতে সেভাবে কেউ সেট হতে পারেননি। লিটন কুমার দাস ওপেনিং পজিশন হারিয়েছেন রান করতে না পারায়। মিডল অর্ডারেও ভালো করতে না পারায় একাদশ থেকেও জায়গা হারিয়েছেন। টি-২০ সিরিজে রান করতে ব্যর্থ হলে নেতৃত্ব এবং জাতীয় দল দুই হারাতে হতে পারে তাকে। যদিও টিম ম্যানেজমেন্ট এবং সহ-খেলোয়াড়রা লিটনকে সর্বাত্মক সমর্থন দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এ কারণেই খারাপ করার পরও এবার ওয়ানডে দল থেকে সরানো হয়নি তাকে। তবে তাকে ছাড়াই হয়তো সিরিজের শেষ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। কারণ বিসিবির মেডিক্যাল বিভাগ থেকে জানা গেছে, নাজমুল হোসেন শান্তর উরুর পেশির টান সমস্যা না। তিনি ম্যাচ খেলার জন্য তৈরি আছেন। তবে সব ছাপিয়ে বেশি যেটা চোখে পড়ছে ক্রিকেটারদের জয়ের নেশায় পেয়েছে। তারা পারেন আর নাই পারেন শুধু জিততে চান।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নীল সমুদ্রে দক্ষিণ আফ্রিকার নীল বেদনা, ভারত বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন
অনুমিত চিত্রনাট্যই যেন অনুসরণ করল মুম্বাইয়ের ফাইনাল ম্যাচ। ভারতের জার্সি গায়ে দর্শকে ঠাসা গ্যালারি রূপ নিল নীল সমুদ্রে। ২২ গজে আরও একবার ভারতের আধিপত্য, শাসন। যেন শিরোপার পায়চারি অনেক আগের থেকেই।
ব্যাটিংয়ে পর্বত ছুঁই-ছুঁই রান। এরপর স্পিনে ফুল ফোটালেন স্পিনাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করল সাধ্যের সবটুকু দিয়ে। ব্যাটে-বলে সহজে হাল ছাড়ল না তারাও। হৃদয় জিতলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাত্তাই পেল না। ভারতের শক্তি-সামর্থ্যের গভীরতার কাছে হার মানতেই হলো প্রোটিয়া নারীদের।
আরো পড়ুন:
৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে
কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস
মুম্বাইয়ের নাভি স্টেডিয়ামের নীল সমুদ্রে সব আতশবাজি আজ রাতে ফুটল ভারতের বিশ্বকাপ উদ্যাপনে। প্রথমবার ভারতের নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডেতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। ৫২ রানের বিশাল জয় বুঝিয়ে দেয় হারমানপ্রীত কৌর, জেমিমা রদ্রিগেজ, দীপ্তি শর্মা কিংবা শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, রিচা ঘোষরা ২২ গজকে কতটা আপন করে নিয়েছেন। শিরোপা জয়ের মঞ্চে ছাড় দেননি একটুও। ২০০৫ ও ২০১৭ বিশ্বকাপে যে ভুলগুলো হয়েছিল...সেগুলো আজ ফুল হয়ে ঝরল।
বৃষ্টি বাঁধায় বিঘ্ন ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৯৮ রানের স্কোর পায় ভারত। ৪৫.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান করতে পারে প্রোটিয়া নারীরা। নাডিন ডি ক্লার্ক শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন আউট হলেন, স্টেডিয়ামের প্রায় ষাট হাজার ভারতীয় সমর্থকদের মুখে একটাই স্লোগান, চাক দে ইন্ডিয়া।
ওই জনসমুদ্রের স্লোগান, ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’।
বিস্তারিত আসছে …
ঢাকা/ইয়াসিন