ফতুল্লার বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য দিদার হোসেন এখন সদ্য ঘোষিত ইউনিয়ন বিএনপির ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি যুগ্ম সম্পাদক। তিনি রাধানগর এলাকার জজ মিয়ার ছেলে।

স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের দাবি, সম্প্রতি ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল বারী ভূইয়া বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করেন।

যেখান নজরুল ইসলাম প্রধানকে সভাপতি ও মতিউর রহমান ফকিরকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। কমিটিত যুগ্ম সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগের চিহ্নিত সদস্য রাধারনগর এলাকার দিদার হোসেনকে পদায়ন করা হয়।

ক্ষোভ প্রকাশ করে বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, বিগত ১৭ বছর আন্দোলন-সংগ্রামে যারা ছিলেন না, যারা আওয়ামী লীগর সাথে জড়িত ছিলেন, তারাই আজ বিএনপিতে পদ পাচ্ছেন। আর যারা আন্দোলন করত গিয়ে হামলা-মামলার শিকার হলেন, তারা এখন বঞ্চিত। এ ধরনের কমিটি আমরা বক্তাবলী বিএনপি মেনে নেবো না।

কমিটিত দিদারের অন্তর্ভুক্তি প্রসঙ্গে ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু বলেন, ইউনিয়ন বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্তরা যে তালিকা দিয়েছিল সে তালিকা অনুমোদন করা হয়েছে।

কমিটি অনুমোদনের পর দিদারের বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রমাণিত হলে তার পদ অবশ্যই স্থগিত করা হবে।

সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বারী ভূইয়া বলেন, যারা কমিটিতে পদ পেয়েছেন তারা সবাই ত্যাগী। দুই একজনকে নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে, সেটা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা আওয়ামী দোসরদের কমিটিতেতো পরে, দলের সদস্যও করবো না।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ ন ব এনপ ব এনপ র কম ট ত আওয় ম সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

মুরাদনগরে নারী নির্যাতন: রিমান্ড শেষে চার আসামিকে আদালতে তোলা হবে আজ

কুমিল্লার মুরাদনগরের ধর্ষণ কাণ্ডে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় গ্রেপ্তার ৪ আসামিকে ৩ দিনের রিমান্ড শেষে আজ মঙ্গলবার আদালতে হাজির করা হবে। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে ওই দিন ভুক্তভোগী নারীকে ঘরের ভেতর আটকে নির্যাতন ও ভিডিও ভাইরাল করার বিষয়ে তারা বেশ কিছু তথ্য দিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে আগেই কোনো তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান। তবে মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘রিমান্ডে ঘটনার সময় নির্যাতন ও ভিডিওকারীদের নাম প্রকাশ করেছেন আসামিরা।’

বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লার আমলি আদালত-১১ এর বিচারক মমিনুল হকের আদালতে চারজনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মুরাদনগর থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রুহুল আমিন। আদালত ৪ জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তারা হলেন– রমজান, মোহাম্মদ আলী সুমন, মো. আরিফ ও মো. অনিক। 

মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান গতকাল সমকালকে বলেন, রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হবে। একই মামলায় গ্রেপ্তার আরেক আসামি ও ঘটনার পরিকল্পনাকারী শাহ পরানের রিমান্ড শুনানি হবে বুধবার। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ