চট্টগ্রামে নালায় পড়ে নিখোঁজ শিশু উদ্ধার, অবস্থা আশঙ্কাজনক
Published: 9th, July 2025 GMT
চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকায় নালায় পড়ে নিখোঁজ তিন বছর বয়সী এক শিশুকে উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। বুধবার (৯ জুলাই) সোয়া ৪টার দিকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
এর আগে, বেলা ৩টার দিকে শিশুটি নালায় পড়ে নিখোঁজ হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস আগ্রাবাদ স্টেশনের একটি ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাড়ে ৩টা থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
তাৎক্ষণিক শিশুটির নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন:
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে চীনা শ্রমিকের মৃত্যু
সাগরে নিখোঁজ চবির আরেক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
তিনি বলেন, ‘‘শিশুটিকে উদ্ধারের পর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।’’
এর আগেও চট্টগ্রামে উন্মুক্ত নালা-খালে পড়ে বেশ কিছু দুর্ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ গত বছরের ২৭ আগস্ট আগ্রাবাদের রঙ্গীপাড়া এলাকায় উন্মুক্ত নালায় পড়ে ১৮ মাস বয়সী শিশু ইয়াছিন আরাফাত মারা যায়। প্রায় ১৭ ঘণ্টার অভিযানের পর উদ্ধার করা হয় তার মরদেহ।
ঢাকা/রেজাউল/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আফগানিস্তানে মধ্যরাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত
আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় হিন্দুকুশ অঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। দুই মাস আগেই দেশটিতে এক ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
ইউএসজিএস জানায়, রোববার দিবাগত রাতে আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে মাজার-ই-শরিফ শহরের কাছে খোলম এলাকায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৫৯ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের গভীরতা প্রথমে ১০ কিলোমিটার বলা হয়। পরে তা সংশোধন করে গভীরতা ২৮ কিলোমিটার বলে জানায় সংস্থাটি।
আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছিল। দেশটির পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান।
আরও পড়ুনআফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২২০৫, খোলা আকাশের নিচে মানুষ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫আফগানিস্তানে প্রায়শই ভূমিকম্প আঘাত হানে। বিশেষ করে হিন্দুকুশ পর্বতমালা বরাবর, যেখানে ইউরেশীয় এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটগুলো মিলিত হয়েছে।
ব্রিটিশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার ভূমিকম্পবিদ ব্রায়ান ব্যাপটির দেওয়া তথ্য মতে, ১৯০০ সাল থেকে উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার বেশি ১২টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
আরও পড়ুন৩৫ বছরে আফগানিস্তানে ভয়াবহ যত ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫