বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ফজলুর রহমানকে থামতে বললেন কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী ইসরাইল মিঞা। আজ বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট দিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।

এর আগে ফজলুর রহমানের সাম্প্রতিক বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে পোস্ট দিয়েছিলেন কিশোরগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি নুসরাত জাহান।

ইসরাইল মিঞা ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘প্লিজ! ভাই এবার থামুন। অত্যন্ত বিনয়ের সাথে আপনাকে অনুরোধ করে বলছি, আপনি এবার থামুন। আপনি ভালো বলতে পারেন, সেটা কিশোরগঞ্জসহ দেশবাসী ভালো করেই জানে। এটা আপনার গুণ। আপনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, এর জন্য আপনাকে সহস্রবার স্যালুট করি। কিন্তু আপনার সাবেক দলের নেতার প্রতি দেওয়া অতিভক্তিপূর্ণ বক্তব্য এখন মানুষের সহ্যসীমা লঙ্ঘন করছে।’

দীর্ঘ পোস্টে ইসরাইল মিঞা লেখেন, ‘আপনি যাকে দেবতুল্য বানাবার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন, তিনিই সর্বপ্রথম জাতির সাথে চরম বিশ্বাসঘাতকতা করে চরম দুঃসময়ে সমগ্র নিরস্ত্র জাতিকে অস্ত্রের মুখে ঠেলে দিয়ে নিজের এবং পরিবারের সবাইকে সুরক্ষা করেছিলেন। ৩০ লক্ষ শহীদের রক্ত, দুই লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমে কেনা স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের কবর রচনা করে একদলীয় বাকশাল গঠন করেছিলেন। মানুষের ভোট এবং ভাতের অধিকার হরণ করেছিলেন।’

জেলা বিএনপির এই নেতা আরও লেখেন, ‘চব্বিশের ছাত্র-গণ-আন্দোলনের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট অবস্থান নিয়ে এর নেতৃত্বকে চরমভাবে ঠাট্টা-বিদ্রূপ অকথ্য গালাগাল করছেন এবং দলের অবস্থানের সাথে দূরত্ব তৈরির পথ সুগম করছেন। আমার জানামতে, আমার দলের স্ট্যান্ডের বাইরে গিয়ে মনগড়া বক্তব্য দিয়ে যারা জন্মের পর থেকে বিএনপি এবং এর প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়ে আসছেন, সেই ভোট ব্যাংকে চরম আঘাত এবং ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছেন।’ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি এড়াতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের অবিলম্বে ফজলুর রহমানের বিষয়ে একটা সুস্পষ্ট সিদ্ধান্তে আসা উচিত বলে অভিমত দেন ইসরাইল মিঞা।

জানতে চাইলে হাজী ইসরাইল মিঞা প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান সম্প্রতি আলেম-ওলামা, চব্বিশের আন্দোলনকারী ও শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে যেসব বক্তব্য দিচ্ছেন, সেগুলো তাঁর দলের অবস্থান না। ওনার এসব বক্তব্যের কারণে দলের ক্ষতি হচ্ছে। এসব বক্তব্য না দিতে আগেও তাঁকে কয়েকবার অনুরোধ করা হয়েছে। এরপরও তিনি থামছেন না। তাই মনের কষ্ট থেকে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। এ জন্য দল থেকে কেউ তাঁকে কিছু বলেনি।

এ বিষয়ে বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, ‘ফেসবুকে কে কী স্ট্যাটাস দিল, এসব দেখার আমার কোনো টাইম নাই। এ সম্পর্কে আমি কিছু বলতে চাই না।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফজল র রহম ন ব এনপ র ফ সব ক করছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ব্লাঙ্কোসদের তছনছ করে ফাইনালে পিএসজি

শূন্য হাতে মৌসুম শেষ করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। নতুন কোচ জাবি আলোনসোর অধীনে ক্লাব বিশ্বকাপ জিততে মুখিয়ে ছিল লস ব্লাঙ্কোসরা। কিন্তু সেমিফাইনালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী পিএসজি পরীক্ষার সামনে পড়েন আলোনসো। ওই পরীক্ষায় বাজেভাবে হেরেছে রিয়াল মাদ্রিদ। তাদের ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে গেছে লুইস এনরিকের পিএসজি।

বুধবার মেটলাইফ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ইউরোপিয়ান ক্লাসিকোর ভাগ্য ২৪ মিনিটেই গড়ে ফেলে লা প্যারিসিয়ানরা। ডিফেন্ডার রাউল অ্যাসেনসিওর ভুলে ৬ মিনিটে  প্রথম লিড নেয় পিএসজি৷ গোলটি করেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার ফ্যাবিয়ান রুইজ।

তিন মিনিট পরে আবারো রিয়াল ডিফেন্ডারের ভুল। এবার অভিজ্ঞ অ্যান্তোনি রুডিগার বল হারান। যা ধরে গতির সঙ্গে রিয়ালের বক্সে ঢুকে ব্যবধান ২-০ করেন উসমান ডেম্বেলে। 

ফ্যাবিয়ান রুইজ ২৪ মিনিটে দলের তৃতীয় ও নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন। শুরুতেই রিয়ালের রক্ষণভাগ তছনছ করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি হাতে নেয় লা প্যারিসিয়ানরা। বদলি নামা গঞ্জালো রামোস ম্যাচের শেষদিকে অর্থাৎ, ৮৭ মিনিটে রিয়ালের জালে গোলের হালি পূর্ণ করেন।

আলোনসোর কৌশলে ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদ যেন পুরোপুরি বোতলবন্দী ছিলেন। ভিনিসিয়াস জুনিয়রকে তিনি রাইট উইঙ্গে খেলান। অস্বস্তির ওই পজিশনে ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গারকে খুঁজেই পাওয়া যায়নি। তিনি গোলে না পেরেছেন শট নিতে, না পেরেছেন সুযোগ তৈরি করে দিতে। ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদ মাত্র ৩১ শতাংশ বল পায়ে রাখতে পেরেছিল। যা খুবই বেমানান। গোলে শট নিতে পেরেছিল মাত্র দুটি। যা পিএসজি গোলরক্ষক দোন্নারুমার জন্য ফেরাতে না পারার কারণই ছিল না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ