অতিবৃষ্টির কারণে সম্প্রতি ফেনী ও নোয়াখালী জেলায় সৃষ্ট বন্যা ও জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) উপদেষ্টা পরিষদের সভায় আলোচনা হয়েছে। সভায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাগণ বন্যা ও তদপরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে মতামত ও করণীয় তুলে ধরেন।

বৈঠকে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে মুসাপুর রেগুলেটর ও বামনি ক্লোজারের নকশা চূড়ান্ত করা, ফেনীতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প চূড়ান্ত করা এবং নোয়াখালীর খাল ও ড্রেনেজ অবমুক্ত করার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে এই দুই জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামত, তীর প্রতিরক্ষা ও পানি নিয়ন্ত্রণ অবকাঠামো মেরামতের কাজ চলছে বলেও উপদেষ্টা পরিষদকে অবহিত করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত

তিস্তায় নিখোঁজের একদিন পর শিশুর লাশ উদ্ধার

উপদেষ্টা পরিষদের সভায় দুই জেলায় চলমান বন্যা ও জলাবদ্ধতা পরিস্থিতিতে ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

ঢাকা/হাসান/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বন য উপদ ষ ট পর স থ ত উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

পদাবলি

উন্মোচন 
ফারুক মাহমুদ 

বাঁচার-প্রবাহে যদি অযাচিত রাত্রি নেমে আসে
তখন অন্ধকারই আখ্যানের গতি-নিয়ন্ত্রক
পথের সকল চলা চলে যায় উল্টো বাঁকা পথে
যতই বলি-না কেন– ‘ভস্ম’ কোনো সম্ভাবনা নয়
এর থেকে আগুনের গুণাগুণ অবিকল রেখে
অন্ত্যমিল পদ্য হতে পারে। অন্যদিক, যথাযথ 
অনুবাদ করা গেলে– আগুনের শরীরে ও মনে
পাওয়া যায় ইচ্ছে-ইচ্ছে শ্রেণিহীন শুভপুণ্য আলো

মরচেপড়া তালা নিয়ে বেশিক্ষণ বিতর্ক চলে না
বড়জোর পরাজিত মানুষের ছোট্ট হাহাকার
ঝুলে থাকে সংশ্লিষ্ট চাবিটির আয়ুপরিসরে
আক্ষেপে সান্ত্বনা নেই। বহুস্তর অর্জনের মতো
সত্যটি দাঁড়িয়ে যায়। আমাদের জানা আবশ্যক
অসার কান্নায় নয়, স্তব্ধতাই বিজ্ঞ উন্মোচন
 

 

আঙুলে আংটি, হাতে গণনা
লোপা মমতাজ

কেউ ধোয়া তুলসী পাতা নয়
যদিও মুখে কপট ঘ্রাণে পবিত্রতার বুলি,
অন্তরে রক্তাক্ত অভিপ্রায়ের ধূলি।

যে বলেছিল– এই পৃথিবী বদলাব
আজ তার আঙুলে ক্ষমতার আংটি,
সে এখন সই করে মৃতদের সংখ্যাটি।

যুদ্ধ নয় শান্তি চাই যে বলেছিল হাটে
তার হাতে আজ শান্তির বোমা ফাটে,

এক হাত যুদ্ধের বিরুদ্ধে বলে,
আর হাত বিক্রি করে বন্দু্ক;

শিশুর দুধ, বুড়োর ওষুধ 
আর মজুরের ভাঙা হাতে
বেদনা জেগে থাকে রাতে

এই যে মা কাঁদে,
এই যে বাবার শার্টে থার্মোবারিক বোমার রক্ত,
এই যে কিশোরীর চোখে ধোঁয়া–
ওদের তো কেউ বিপ্লব শেখায় না,
এখানে বিপ্লব জন্মের ছোঁয়া;

আমি শুধু লিখে যাই–
তুমি পড়ে শোনো রক্তাক্ত দিন ও রাতের ব্যথা।
বোমার শব্দে ভরে উঠছে 
এক একটা বিষণ্ন কবিতা–

 

শাশ্বত সে মুখ 
বহ্নি কুসুম 

নিঃশ্বাসের মতো অনিবার্য 
তোমার মুখটা এসে বসে পড়ে চোখের তারায়  
যেন এই মুখটা ছাড়া ঘোর অমানিশায়
নির্লিপ্ত ঢেকে যাবে চোখের জ্যোতি।
স্মৃতিগুলো জীবন্ত ছবি হয়ে ওঠে–
লুকোচুরি গোধূলিবেলা, সেই বৃষ্টিপ্রহর– জোছনাস্নান।
এমনকি তোমার নীরব শাসনও। 
কী যে অমোঘ বাঁধনে– সে কী কঠোর চাহনি চোখে! 
আমি কুঁকড়ে যেতাম ভয়ে–
অমন আগুন দৃষ্টি মেললে
আমি কী করে তাকাই? 

তুমি কি স্মিত হাসতে?
থরথর আমাকে দেখে? নাহলে
ভালোবাসার আকাশ নিয়ে
দু’হাত যে বাড়াতে?
দীপ্ত সবুজ ও বুকটি ছুঁয়ে– শ্রাবণের মুষল বৃষ্টি
ঝরঝর নামত এ চোখে। 

ভেঙে দিয়ে যৌথ স্বপ্নঘর
কবে যে ছিঁড়ে গেছে তার!


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ