নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ¦ মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেন, অনেক আন্দোলন সংগ্রাম আমরা করেছি স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে। আপনারা জানেন শেখ হাসিনার আমলে অনেক গডফাদার অনেক সন্ত্রাসী তৈরি হয়েছে। তেমনি এক গডফাদার তৈরি হয়েছিল আমাদের নারায়ণগঞ্জে। 

সন্ত্রাসীদের স্বর্গ রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেছিল। গড ফাদারের এক বিশিষ্ট সন্ত্রাসী ছিল এই শিমরাইল এলাকায়। ৭ খুন করেছে। এই খুনের কারণে নারায়ণগঞ্জকে সিদ্ধিরগঞ্জ কে চিনেছে সারা বাংলাদেশের মানুষ। ঘৃণা লজ্জায় আমাদের মাথা হেঁটে করে ফেলেছে। 

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন নাসিক ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য নবায়ন ও সদস্য সংখ্যা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। 

তিনি আরও বলেন, জুয়া, মদ-সেরাব ইত্যাদি নেশা সামগ্রী বিক্রি করে উঠতি বয়সের ছাত্র সমাজের চরিত্র কে সেদিন ধ্বংস করে দিয়েছিল। বিভিন্নভাবে অন্যায় অত্যাচার করেছে মানুষকে। সেদিন মানুষ তার সামনে গিয়ে কথা বলতে পারে নাই তাকে বাধা দিতে পারে নাই ।

এরকম এক সন্ত্রাসী ছিল এবং এই সন্ত্রাসী একটি গরিব ঘরের সন্তান হয়ে কোটি কোটি টাকা অর্থ সম্পদ করেছে ভাই বেরাদার আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে। নারায়ণগঞ্জ চষে বেরিয়েছে।  তারা আজকে কোথায় বন্দী খাঁচায় জেলখানায়।

জেলখানায় থেকেও আজকে তারা অপকর্ম ও লুণ্ঠন করে নেয় তাদের সহযোগী আছে যারা অর্থাৎ সম্পদ সংগ্রহ করে তাদের হাতে তুলে দেয়। সেখানে থেকে তারা ষড়যন্ত্র করে কিভাবে এই এলাকায় হত্যাকান্ড করবে। কিভাবে তারা আবার স্বৈরশাসক নিয়ন্ত্রণ করবে। 

গিয়াসউদ্দিন বলেন, তাদের ভাই ভাতিজা কিভাবে এলাকার লুণ্ঠন করেছে লুটতরাজ করেছে এবং সকল মেইল ফ্যাক্টরি থেকে চাঁদা খেয়েছে । এবং ষড়যন্ত্র করছে কিভাবে এলাকায় সন্ত্রাস করা যায়। তাদের বিরুদ্ধে অনেক মামলা হয়েছে কিন্তু তাদের সাথে থাকা ঝমঝম করত অস্ত্র তা এখনো উদ্ধার হয়নি। তারা পলাতক থাকে কোথায় তা আমরা জানি।

আমরা প্রতিহিংসা পরায়ণ নই। সেজন্য তাদের ঘরগুলো বাড়িগুলো এখনো যে জায়গায় ছিল সে জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। অন্য জায়গায় সেগুলো মাটির সাথে মিশে গেছে আপনারা জানেন। আমি গিয়াস উদ্দিন বলতে পারি প্রতিহিংসার রাজনীতি করি না। 

তিনি আরও বলেন, বর্তমান অন্তর্র্বতী সরকারের কাছে জনগণ কিছু প্রত্যাশা করে। যারা সন্ত্রাসী করেছে লুণ্ঠন করেছে তাদের আইনানিক ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। এটাই আপনাদের থেকে জনগণ প্রত্যাশা করে।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে সাংগঠনিক  সম্পাদক আকবর হোসেনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- থানা বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ মাজেদুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি  মোঃ আব্দুল হাই রাজু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম.

এ হালিম জুয়েল,সহ-সভাপতি জি.এম সাদরিল,সহ-সভাপতি ডি.এইচ বাবুল, সহ-সভাপতি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি এবং মহানগর শ্রমিক দলের আহবায়ক এস. এম আসলাম,সহ-সভাপতি মোঃ মোস্তফা কামাল,সহ-সভাপতি মোহাম্মদ রওশন আলী,সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদুজ্জামান মন্টু,সহ-সভাপতি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন,সহ-সভাপতি মোঃ কামরুল হাসান শরীফ, সহ-সভাপতি মোঃ সেলিম মাহমুদ, ১০ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ আনিস সিকদার, জেলা তরুণ দলের সভাপতি টি এইচ তোফা,৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সাবেক আহ্বায় মমতাজ উদ্দিন মন্তু,মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক মোহাম্মদ সাগর প্রধান,২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ আলী,৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ তৈয়ব হোসেন,৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি  হাজী মোহাম্মদ মোস্তফা,৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাইফুর রহমান বাদল প্রমুখ।

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ র জন ত ব এনপ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ম হ ম মদ

এছাড়াও পড়ুন:

ফতুল্লায় নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের নিচে অবৈধ পাকিংয়ে তীব্র যানজট, জনদুর্ভোগ চরমে

বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো যানজট। এ যানজটের কারণে মাত্র ৫ মিনিটের রাস্তা পেরুতে সময় লেগে যায় ঘন্টার পর ঘন্টা। ফলে প্রতিনিয়ত চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে নারায়ণগঞ্জবাসীকে।

নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিক বিভাগ কিংবা সিটি কর্পোরেশন এ যানজট থেকে জেলাবাসীকে পরিত্রাণ দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে দিন যতই বড়ছে ততই বাড়ছে নারায়ণগঞ্জবাসীর দুর্ভোগ।

নারায়ণগঞ্জে এমন কোন সড়ক নাই সেই সড়কে যানজট নাই। মূল সড়ক থেকে শুরু করে অলি-গলি সব জায়গায়ই যানজট আর যানজট। তবে এ যানজটের পেছনে মূল সড়কের যানজটকেই দায়ি করছেন অনেকে।

তারা বলছেন, মূল সড়ক যদি যানজট মুক্ত থাকতো তাহলে এর আশেপাশের সড়কগুলো যানজটের সুষ্টি হতো না। মূল সড়কে তীব্র যানজটের কারণেই এর প্রভাব পড়ছে অন্য সড়কগুলোতেও।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বর্তমানে শহরের চাইতে চাষাঢ়া-পঞ্চবটি সড়কে যানজট ভয়াবহ আকার ধারণে করেছে। এ সড়ক দিয়ে চলাচলের কথা শুনলেই মানুষ আতকে উঠে। কারণ, যানজটের মাত্র পনেরো মিনিটের রাস্তা পাড় হতে সময় লাগে ঘন্টার পর ঘন্টা। 

এ রাস্তায় এ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ীকেও যানজটে আটতে থাকতে দেখা যায় ঘন্টার পর ঘন্টা। একবার যানজটে আটকা পড়লেই দিন শেষ। কখন বাড়ী কিংবা অফিসে যাবেন তার কোন ঠিক নেই।

অনুসন্ধানে জানাগেছে, এ যানজটের প্রধান কারণ হচ্ছে পঞ্চবটি-মুক্তারপুর ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ। ফ্লাইওভারের কর্মযজ্ঞের ফলে যানবাহনগুলোকে একটু ধীর গতিতে যেতে হয়। ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।

তবে এ যানজটের আরও একটি বড় কারণ চোঁখে পড়ে, আর তা হলো পঞ্চবটি এলাকায় ফ্লাইওভারের নিচে এবং চাষাঢ়া-পঞ্চবটি সড়কের দু’পাশে ট্রাক ও কভার্ডভ্যানগুলো অবৈধভাবে পাকিং করে রাখা। 

এসব যানবাহনগুলো সড়কের দু’পাশে পার্কিং করে রাখার কারণে মূল সড়ক অনেকটাই সরো হয়ে যায়। ফলে এ সড়ক দিয়ে অন্যসব যানবাহনগুলো ঠিকমত চলাচল করতে পারে না। ফলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

অথচ, পঞ্চবটির খুব কাছেই রয়েছে ট্রাক ও কভার্ডভ্যান স্ট্যান্ড। যানবাহনের চালকরা ওই স্ট্যান্ডে গাড়ী না রেখে সড়কের পাশে অবৈধভাবে বাঁকাত্যাঁড়া গাড়ীগুলো রাখছেন। এর ফলে যে, ওই সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে এবং যানজটের কবলে পড়ে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে, এ বিষয়ে যেন তাদের কোন মাথা ব্যথা নেই। 

তাদের ভাব-নমুনা দেখা মনে হয় যে, তারাই যেন এ সড়কটির মূল মালিক। না পুলিশে তাদের কিছু বলে, না তারা জনগণের কোন কথা শোনে। তারা তাদের ইচ্ছেমত গাড়ীগুলো রেখে যানজটের সৃষ্টি করছেন।

চাষাঢ়া-পঞ্চবটি সড়কে চলাচল করা ভুক্তভোগী পথচারিরা বলছেন, এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করাটা বর্তমানে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এত ভয়াবহ যানজট আমরা কখনোই চোঁখে দেখিনি। পঞ্চবটি ফ্লাইওভারের নিচে যেভাবে ট্রাক-কভার্ডভ্যানগুলো রাখা হয় পুরো সড়কটা তারা কিনে নিয়েছে। পুলিশও কিছু বলে না। 

এছাড়া চাষাঢ়া থকে পঞ্চবটি পর্যন্ত পুরো সড়কে দু’পাশেই তারা গাড়ীগুলো রাখছেন। রাস্তাটি পাশে এমনিতেই জায়গা কম, আবার যদি তারা এভাবে গাড়ী রাখেন তাহলে যানজটের সৃষ্টিতো হবেই। এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের সচেতন মহল বলেন, আসলে নিতাইগঞ্জ এলাকা থেকে ট্রাক স্ট্যান্ডটি সরিয়ে নেয়ার জন্য সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আইভী একটি উদ্যোগ গ্রহণ করে। তিনি শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে পঞ্চবটি এলাকাতে সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে একটি ট্রাক স্ট্যান্ড গড়ে তোলেন এবং সেখানে এ স্ট্যান্ডকে স্থানান্তর করেন। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। 

এখন তারা কিছু গাড়ী ওই স্ট্যান্ডে রাখে বাকি গাড়ীগুলো সড়ক দখল করে এলোপাথারিভাবে রাখে। এতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হলেও যেন কারো কোন কিছু বলার নেই। কারণ, এ সমস্যা নিয়ে বহুবার ডিসি-এসপির সাথে বসা হয়েছে, আলোচনা হয়েছে কিন্তু সুরাহা হয় নাই। 

তবে, ৫ আগস্টে দেশে একটি বড় পরিবর্তনের পর আশা করছিলাম এবার হয়তো এর একটা সুরাহা হবে। কিন্তু না। সড়ক দখল করে রাখা ট্রাক-কভার্ডভ্যানগুলো বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত তেমন কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে মানুষকে বাধ্য হয়েই যানজটের মত দুর্ভোগ দুর্দশাময় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে পথ চলতে হচ্ছে।

তারা বলেন, আসলে দেশে শান্তি শৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য সেদিন ছাত্র-জনতা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে এতবড় একটা পরিবর্তন নিয়ে এসেছিলো। কিন্তু দেশের মানুষ যদি সেই শান্তি শৃঙ্খলা ভোগই করতে না পারে, তাহলে এত প্রাণ দিয়ে কি লাভ হলো? 

আমরা জানিন না, প্রশাসন আসলে কাদেরকে খুশি করাতে চাচ্ছেন? মুষ্টিম কিছু চালকদের জন্য হাজার হাজার মানুষের এ কষ্ট কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি করবো, তারা যেন খুব শীঘ্রই এ সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেয়। নারায়ণগঞ্জবাসীকে যেন কিছুটা স্বস্তি দেয়।

এ বিষয়ে টিআই করিম বলেন, ৫ আগস্টের পর নারায়ণগঞ্জে যানজটের যে ভয়াবহতা সৃষ্টি হয়েছিলো বর্তমানে তা কমে আসছে। আশাকরছি, আগামীতে পরিস্থিতি আরও ভালো হবে। পঞ্চবটি সড়কে ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এজন্য এ রুটে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

 এমতাবস্তায় যদি কোন চালক রাস্তা দখল করে অবৈধভাবে গাড়ী পার্কিং করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেবো।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • “শিক্ষার্থীদের উপর হামলা, ইন্ধন থাকতে পারে তৃতীয় পক্ষের”
  • শিক্ষার্থীদের উপর অটো চালকদের হামলা, আহত ২০ (ভিডিও)
  • শিক্ষার্থীদের উপর অটো চালকদের হামলা, আহত ২০
  • ফতুল্লায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে কারখানার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন
  • সোনারগাঁয়ের সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে সিদ্ধিরগঞ্জ বিএনপির চিঠি
  • নারায়ণগঞ্জে বিদেশি পিস্তল-গুলিসহ গ্রেপ্তার ৩
  • সড়ক দুর্ঘটনায় যুবদল নেতা রিয়াদের দুই মেয়ে গুরুতর আহত : দোয়া প্রার্থনা 
  • আড়াইহাজারের সেপটি ট্যাংকির ঝুঁকি ও করণীয় নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা
  • বন্দর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত
  • ফতুল্লায় নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের নিচে অবৈধ পাকিংয়ে তীব্র যানজট, জনদুর্ভোগ চরমে