নেইমার গোল করলেন, রবিনিওর ছেলে গোল করালেন
Published: 11th, July 2025 GMT
সান্তোসের সঙ্গে চুক্তি নবায়নের পর মাঠে নেমেই আলো ছড়ালেন নেইমার। দেসপোর্তিভা ফেরোভিয়ারিয়া বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে গোলের পাশাপাশি গোল করিয়েছেন তিনি। নেইমারের জ্বলে ওঠার ম্যাচে সান্তোস জিতেছে ৩–১ গোলের বড় ব্যবধানে।
চোটের সঙ্গে সমার্থক হয়ে যাওয়া নেইমার সাম্প্রতিক সময়ে খুব কমই মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছেন। ফলে তাঁর মাঠে নামা ম্যাচগুলোতেও আলাদাভাবেই চোখ থাকে ভক্ত–সমর্থকদের। বিশেষ করে বিশ্বকাপের আগে নেইমার ফিট থেকে মাঠে কেমন পারফরম্যান্স করছেন, তা নিয়ে কৌতূহল রয়েছে অনেকেরই। আজকের ম্যাচটি নেইমারের সেই সব কৌতূহলী ভক্ত–সমর্থকদের কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে।
কারিয়াসিকার ক্লেবের আন্দ্রাদে স্টেডিয়ামে শুরু থেকে খেলেন নেইমার। চুলের স্টাইল বদলে নতুন রূপ ধারণ করা সান্তোস তারকাকে শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের কড়া ট্যাকলের মধ্যে পড়তে হয়। প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের একের পর এক ট্যাকলে কখনো কখনো খানিকটা উদ্বিগ্নও মনে হয়েছে তাঁকে।
আরও পড়ুননেইমার কাঁদলেন, সবচেয়ে ভয়ের ব্যাপারটিও জানালেন৩০ জুন ২০২৫এসবে অবশ্য দমে যাননি নেইমার। বল পায়ে নিজের চিরচেনা কিছু ঝলক ঠিকই দেখিয়েছেন। ম্যাচের ২০ মিনিটে ট্রেডমার্ক পেনাল্টি শটে দলের প্রথম গোলটা করেন। সান্তোসে যোগ দেওয়ার পর এটি নেইমারের চতুর্থ গোল। ৩১ মিনিটে গিয়ের্মের করা গোলেও সহায়তা ছিল তাঁর। বিরতির পর অবশ্য আর মাঠে ফেরেননি নেইমার। তাঁর বদলি হিসেবে মাঠে নামেন পাদুলা।
প্রথমার্ধ শেষে বিরতির সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নেইমার। প্রীতি ম্যাচ হলেও এ ম্যাচ কেন গুরুত্বপূর্ণ, তা ব্যাখ্যা করে নেইমার বলেছেন, ‘এ ধরনের প্রীতি ম্যাচ খেলার গুরুত্ব হচ্ছে ছন্দে ফেরা। আমরা বেশ কিছুদিন খেলার বাইরে ছিলাম। ব্রাজিলিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে আবার শুরু করার জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি এখন অনেক ভালো অনুভব করছি। যখন প্রথম এসেছিলাম, তখনকার সঙ্গে এখনকার তুলনাই হয় না। ধীরে ধীরে শারীরিকভাবে উন্নতি করছি, ভালো লাগছে। আর এটা আমাকে আনন্দও দিচ্ছে।’
সান্তোসের মূল দলের হয়ে এটা প্রথম ম্যাচ ছিল ক্লাবটির কিংবদন্তি ও সাবেক ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রবিনিওর ছেলে রবিনিও জুনিয়রের। ১৭ বছর বয়সী রবিনিও জুনিয়র বাবার ৭ নম্বর জার্সি পরে নিজের প্রথম ম্যাচ খেললেন।
আরও পড়ুন‘হৃদয়ের ডাক শুনে’ ১০ কোটি টাকা বেতনে ৬ মাসের জন্য ভবিষ্যৎ ঠিক করলেন নেইমার২৫ জুন ২০২৫পাশাপাশি দিয়েগো পিতুচার গোলে সহায়তা করে অভিষেকও রাঙিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি অবশ্য নির্ধারিত সময়ে শেষ করা যায়নি। দর্শকেরা একাধিকবার মাঠে ঢুকে পড়ায় দ্বিতীয়ার্ধের ৪০ মিনিটেই থামিয়ে দিতে হয় খেলা।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
এ প্লাস না পাওয়ার মিষ্টি
আগের পর্বআরও পড়ুনআবহাওয়ার পূর্বাভাস দেখতে গিয়ে...৮ মিনিট আগে