ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে বিমানে বোমা থাকার ভুয়া তথ্য দেন মা: র্যাব মহাপরিচালক
Published: 12th, July 2025 GMT
‘পরকীয়া প্রেমিকাকে’ সঙ্গে নিয়ে উড়োজাহাজে করে ছেলের কাঠমান্ডু যাওয়া আটকাতে বোমা থাকার ভুয়া তথ্য জানান সেই ছেলেটির মা। এই বিমানযাত্রা ঠেকানোর পরিকল্পনায় ছিলেন ছেলেটির মা ও তাঁর স্ত্রী।
বোমা থাকার ভুয়া তথ্য দেওয়ার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই তিনজন হলেন বোমা থাকার ভুয়া তথ্য জানিয়ে ফোন করা ইমনের মা, স্ত্রী ও ইমনের বন্ধু।
আজ শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুগামী একটি উড়োজাহাজে বোমা থাকার হুমকির পর গতকাল শুক্রবার বিকেলে ওই উড়োজাহাজে ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়। পরে উড়োজাহাজে কোনো বোমা পাওয়া যায়নি। উড়োজাহাজটি নিরাপদে কাঠমান্ডুর উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
এ ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, ‘ইমন নামের এক ব্যক্তি পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে বাংলাদেশের বিমানের একটি এয়ারলাইন্সে করে ঢাকা থেকে নেপালে যাচ্ছিলেন। এটি ইমনের মা এবং তাঁর স্ত্রী জানতে পারেন। ইমনের যাত্রা বন্ধের জন্য তাঁরা প্রচেষ্টা চালান। কিন্তু কোনোভাবে তারা সক্ষম হননি। তখন ইমনের আরেকজন বন্ধু ইমরান পরামর্শ দেয়, যদি বিমানের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারকে জানানো হয়, তাহলে হয়তো বিমানের যাত্রাটি বন্ধ হবে। পরে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারের নম্বরে ফোন করেন ইমনের মা।’
র্যাব মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘বোমা থাকার ভুয়া তথ্য জানানোর ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে তিনজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে র্যাব। ভুয়া বোমা থাকার ঘটনা জানার পর বিমানে তিন থেকে চার ঘণ্টা বিমানটিতে তল্লাশি চালানো হয়। এ ঘটনায় আমাদের জাতীয় এয়ারলাইনসের এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়। এর আগেও বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছিল। পরে দেখা যায়, ঘটনাগুলো ঠিক নয়।’
উড়োজাহাজে বোমা থাকার এমন ভুয়া তথ্য জানালে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে র্যাব মহাপরিচালক বলেন, ‘ভুয়া বোমা থাকার তথ্য দেওয়ার ঘটনা একটি গর্হিত কাজ। দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। আমরা সবাইকে বলব, কেউ যেন কোনোভাবে এমন প্রচেষ্টা না করেন। যদি কেউ এমন ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করেন, তাহলে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইমন র
এছাড়াও পড়ুন:
ওয়ালটনে স্ট্র্যাটেজিক রিকভারি ও রিপোর্টিং এক্সিলেন্স শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালনা করেন ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি হেড ও ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর টি. এম. আবদুল্লাহ-আল-ফুয়াদ।
এই প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য ছিল মাঠপর্যায়ের রিকভারি টিমকে আধুনিক কৌশলভিত্তিক আদায় পদ্ধতি, পেশাদার কমিউনিকেশন টেকনিক, ফলোআপ স্ট্র্যাটেজি এবং কার্যকর রিপোর্টিং কৌশল সম্পর্কে সচেতন ও দক্ষ করে তোলা। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন ১৮ জন রিকভারি কর্মকর্তা, যাদের প্রত্যেকেই সারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দায়িত্বপ্রাপ্ত।
উদ্বোধনী অধিবেশনটি পরিচালনা করেন প্রতিষ্ঠানের লার্নিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের ট্রেইনিং ম্যানেজার মো. রওশন আলী বুলবুল।
তিনি বলেন, “রিকভারি পেশাকে আরো সিস্টেমেটিক, প্রফেশনাল ও সম্মানজনক করতে হলে প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। এ ধরনের ইন-হাউজ প্রশিক্ষণ ওয়ালটনের মূল শক্তিকে আরও সুদৃঢ় করবে।”
মূল সেশনগুলোতে যা ছিল:
• স্ট্র্যাটেজিক রিকভারি ইনসাইট — কৌশলগত ফলোআপ, ধাপে ধাপে রিকভারি পরিকল্পনা
• কমিউনিকেশন ও নেগোশিয়েশন টেকনিক — সময়, ভাষা ও আচরণের প্রভাব
• রিপোর্টিং ও পারফরম্যান্স ট্র্যাকিং— কীভাবে স্পষ্ট, কার্যকর এবং ফলপ্রসূ রিপোর্ট তৈরি করা যায়
• স্মার্ট টুল — মোবাইল, হ্যান্ডনোট, প্রি-ডিজাইন টেমপ্লেট ও রিকভারি ট্র্যাকার
সমাপনী অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও ক্রেডিট রিকভারি বিভাগের প্রধান এস. এম. জাহিদ হাসান।
তিনি বলেন, “ক্রেডিট রিকভারি একটি সম্মানজনক এবং কৌশলগত পেশা। আজকের এই প্রশিক্ষণ আমাদের টিমকে আরো প্রফেশনাল করে তুলবে, এবং রিপোর্টিং-এর মাধ্যমে আমরা ব্যবসার গভীর বিশ্লেষণ করতে পারব।”
তিনি আরো বলেন, “ওয়ালটন চায়—প্রতিটি টিম মেম্বার চিন্তা করুক যেন তারা শুধু রিকভারি করছে না, বরং প্রতিষ্ঠান ও গ্রাহকের মধ্যে স্থায়ী বিশ্বাস ও নৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলছে “
প্রশিক্ষণের শেষে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ‘রিকভারি রিপোর্টিং হ্যান্ডবুক’-এর একটি সংক্ষিপ্ত গাইড কপি প্রদান করা হয় যাতে সবাই নিজ নিজ কাজে সহজে প্রয়োগ করতে পারেন।
ঢাকা/ইভা