অপরাধীদের শাস্তির ব্যবস্থা করুন, অন্যথায় জাতি ক্ষমা করবে না: মির্জা ফখরুল
Published: 12th, July 2025 GMT
অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর দ্রুত তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তির ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় জাতি আপনাদের ক্ষমা করবে না।
শনিবার রাজধানীর গুলশানে লেক শোর গ্র্যান্ড হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। ছাত্রদলের আয়োজনে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে সংগঠনটির শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠান হয়।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনারা যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন, আর কিছুদিন ধৈর্যের সঙ্গে আপনারা অপেক্ষা করুন গণতন্ত্রের জন্য। কেউ যেন অন্যায় কাজ করতে না পারে সেজন্য সবাইকে বিরত রাখুন। বিএনপি কোনোদিন কোনো অন্যায়কে সমর্থন করেনি।
শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন ও আহত ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়াতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, বিএনপি ভবিষ্যতে সরকার গঠন করলে প্রথমে শহীদ পরিবারের দাবি পূরণ করা হবে।
জুলাই সনদের কথা বিএনপি তিন মাস আগেই সরকারকে জানিয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এর মধ্যে যতটুকু পরিবর্তন-পরিবর্ধন দরকার, তার জন্য অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে সরকারকে সহযোগিতা করা হচ্ছে।
ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল বক্তব্য রাখেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে কক্সবাজারে শহীদ তানভীর সিদ্দিকীর বাবা বাদশা মিয়া, বরিশালে শহীদ তাহিদুল ইসলামের বোন ইশরাত জাহান, ঢাকা কাফরুলে শহীদ আকরাম খান রাব্বীর বাবা মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র জন ত ম র জ ফখর ল অন ষ ঠ ন ল ইসল ম সরক র ফখর ল ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
যশোর শহরের ষষ্ঠীতলাপাড়ায় আশরাফুল ইসলাম বিপুল (২৭) নামে এক যুবক কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে তিনি মারা যান।
নিহতের পরিবারের দাবি, বন্ধুর তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে বিয়ে করায় একই এলাকার বাপ্পী নামে আরেক যুবক বিপুলকে কুপিয়ে হত্যার করেছেন। কৌশলে ফোন করে ডেকে নিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়।
নিহত আশরাফুল ইসলাম বিপুল যশোর শহরতলীর শেখহাটি জামরুলতলা এলাকার আখতার হোসেনের ছেলে। তিনি এসিআই গ্রুপের যশোর ডিপোতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। বাপ্পী ষষ্ঠীতলাপাড়ার স্যানিটারি মিস্ত্রি আব্দুল খালেকের ছেলে। বাপ্পী ও বিপুল বন্ধু ছিলেন।
নিহতের বাবা আখতার হোসেন বলেন, ‘মাদক সেবন ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত থাকায় বাপ্পীকে বছরখানেক আগে তালাক দেন সুমাইয়া। এরপর সুমাইয়াকে বিয়ে করে বিপুল। এতে বাপ্পী ক্ষিপ্ত হন এবং বিপুল ও সুমাইয়াকে হত্যার হুমকি দেন। এরপর বিভিন্ন সময় বাড়ির সামনে বোমাবাজির ঘটনাও ঘটান তিনি। শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কৌশলে ফোন করে ডেকে নিয়ে বিপুলকে কুপিয়ে জখম করেন বাপ্পী ও তার সহযোগীরা। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করার কিছু সময় পর বিপুল মারা যায়।’
হাসপাতাল চত্বরে আহাজারি করতে দেখা যায় নিহত বিপুলের স্ত্রী সুমাইয়া। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘বাপ্পী অনেক খারাপ ছেলে। তার সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় আমাদের ডিভোর্স হয়। পরে বিপুলের সঙ্গে পরিচয় হয় ও আমরা বিয়ে করি। বিয়ের পর বাপ্পী ও তার পরিবার বিভিন্ন সময়ে আমাকে উত্ত্যক্ত করত। ফোন করে আজেবাজে কথা বলত। কয়েক মাস আগে আমার স্বামীকে লক্ষ্য করে বোমাও ছোড়ে। সে সময় সে প্রাণে বেঁচে যায়। কয়েকবার থানাতে অভিযোগ দিলেও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।’
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ শাকিরুল ইসলাম বলেন, ‘বিপুলের শরীরের একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাকে ভর্তি করে ওয়ার্ডে পাঠানোর পর তিনি মারা যান।’ অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন এ চিকিৎসক।
যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি আবুল হাসনাত জানান, খবর পেয়ে পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে যায়। হামলাকারী তথ্য নিয়ে অভিযান শুরু হয়েছে পুলিশ এবং মামলা প্রক্রিয়াধীন।