প্রভাবশালী রক তারকা ওজি ওসবার্ন মারা গেছেন
Published: 23rd, July 2025 GMT
রকসংগীতের অন্যতম প্রভাবশালী তারকা ওজি ওসবার্ন মারা গেছেন। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকালে যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। খবর বিবিসির।
ওজির মৃত্যুর খবর জানিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে তার পরিবার। এ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমাদের প্রিয় ওজি ওসবার্ন আজ (মঙ্গলবার) সকালে আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। মৃত্যুর সময় তার পাশে ছিলেন পরিবারের সদস্যরা। তিনি ছিলেন ভালোবাসায় ঘেরা। আমাদের পরিবারের প্রতি সম্মান জানিয়ে এই মুহূর্তে প্রাইভেসি রক্ষা করার অনুরোধ করছি।”
তবে এ বিবৃতিতে ওসবার্নের মৃত্যুর কারণ উল্লেখ করা হয়নি। গত কয়েক বছর ধরে ওজি নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। ২০১৯ সালে ওসবার্নের পারকিনসন রোগ ধরা পড়ে।
আরো পড়ুন:
অসম বিয়ে: স্বামীর সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্কের মূলমন্ত্র জানালেন প্রিয়াঙ্কা
প্রেমিকের সঙ্গে সেলেনার বিয়ে!
১৯৪৮ সালের ৩ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন ওজি। তার আসল নাম জন মাইকেল ওসবার্ন। ১৫ বছর বয়সে স্কুল ছেড়ে নানা অস্থায়ী কাজ করেছেন তিনি। এমনকি চুরি করেও কিছুদিন জেলে ছিলেন। তারপর ঝুঁকে পড়েন সংগীতের দিকে।
ষাটের দশকের শেষ দিকে গিটারিস্ট টনি ইয়োমি, বেসিস্ট গিজার বাটলার ও ড্রামার বিল ওয়ার্ডের সঙ্গে ওসবার্ন গড়ে তোলেন ব্যান্ড ব্ল্যাক সাবাথ। ব্লুজঘেঁষা অথচ ভারী, ধীর ও গা ছমছমে সংগীতে উঠে আসে অতিপ্রাকৃত ইঙ্গিত, শুরু হয় হেভি মেটালের পথচলা। ১৯৭০ সালে মুক্তি পায় ব্যান্ডটির ব্ল্যাক সাবাথ। এরপর একে একে আসে ‘প্যারানয়েড’, ‘মাস্টার অব রিয়েলিটি’-এর মতো বহু প্ল্যাটিনাম হিট।
১৯৭৮ সালে ব্যান্ড থেকে বাদ দেওয়া হলে ওসবার্ন একক ক্যারিয়ার শুরু করেন। ১৯৮০ সালে মুক্তি পায় ‘ব্লিজার্ড অব অজ’ নামে অ্যালবাম। এই অ্যালবামে ছিল বিখ্যাত গান ‘ক্রেজি ট্রেইন’। পরের বছর আসে ‘ডায়েরি অব আ ম্যাডম্যান’। বিক্রি হয় ৫০ লাখ কপির বেশি।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্তের আহ্বান সিপিজের
খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্ত করতে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার বৈশ্বিক সংগঠন কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। দোষীদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে বলে উল্লেখ করেছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার সিপিজের এক টুইটে এ আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ডিবিসি নিউজের প্রতিনিধি মিলন ত্রিপুরা ১৭ জুলাই একটি বিক্ষোভের সংবাদ সংগ্রহ করছিলেন। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে মারধর করেন ও ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ মুছে ফেলতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।