বন্দরে শিশু ছাত্রী ধর্ষনের চেষ্টার ঘটনায় আটক নাইটগার্ডকে পুলিশে সোর্পদ
Published: 23rd, July 2025 GMT
বন্দরে ফুল ও টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী (৯)কে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষনের চেষ্টার ঘটনায় উত্তেজিত জনতা সামছুল হক (৬৮) নামে এক লম্পট নাইটগার্ডকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করেছে।
আটককৃত লম্পট নাইটগার্ড সামছুল হক বন্দর থানার কুড়িপাড়া এলাকার মৃত আব্দুর রহমান মিয়ার ছেলে। সে দীর্ঘ দিন ধরে চর ঘারমোড়াস্থ প্রভাতি আধুনিক শিশু শিক্ষালয়ে নাইটগার্ডের দায়িত্ব পালন করে আসছিল।
বুধবার (২৩ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় উল্লেখিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভিতরে এ ধর্ষনের চেষ্টার ঘটনাটি ঘটে। পরে স্থানীয় জনতা আটককৃত লম্পটকে ওই দিন বিকেল ৫টায় মদনগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশে সোর্পদ করে।
এলাকাবাসী তথ্য সূত্রে জানা গেছে, মাদ্রাসার ৩য় শ্রেণীর ক্ষুদে শিক্ষার্থী (৯) বেলা সাড়ে ১১টায় সময় পার্শ্ববর্তী শিক্ষালয়ের সামনে আসে ফুল নেওয়ার জন্য।
পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের লম্পট নাইটগার্ড সামছুল হক ক্ষুদে শিক্ষার্থীকে টাকা ও ফুল দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ভিতরে ডেকে এনে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা চালায়।
ওই সময় শিশুটি চিৎকার করলে স্থানীয় এলাকাবাসী চিৎকারের শব্দ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে লম্পট নাইটগার্ডকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, আটককৃতকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন ইটগ র ড স র পদ
এছাড়াও পড়ুন:
জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক
জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে।
ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি।
অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক।
পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে।
একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক।
সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।
সুচরিতা/শাহেদ