ন্যায্য দামে সার না পেয়ে রাজশাহীর কাঁকনহাটে কৃষকদের বিক্ষোভ
Published: 24th, July 2025 GMT
ন্যায্য দামে সার না পেয়ে বিক্ষোভ করেছেন রাজশাহীর কাঁকনহাটের কৃষকেরা। সমাবেশ থেকে কাঁকনহাটের বিসিআইসি ডিলার ‘মেসার্স জি কে ট্রেডার্সের’ লাইসেন্স বাতিলের দাবি জানানো হয়। কৃষকদের অভিযোগ, ডিলার বেশি টাকা না দিলে সার দিচ্ছেন না। ওই সার তিনি অন্য উপজেলায় পাচার করছেন।
বৃহস্পতিবার কৃষকেরা এ কর্মসূচি পালন করেন। এদিকে অভিযোগের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি অভিযোগ তদন্ত করেছে। তদন্ত কমিটি উভয় পক্ষের কথা শুনেছেন। এখন তাঁরা প্রতিবেদন দেওয়ার অপেক্ষায় আছেন। ডিলারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
স্থানীয় কৃষকেরা জানান, সরকার নির্ধারিত এক বস্তা ডিএপি সারের দাম ১ হাজার ৫০ টাকা। কিন্তু ডিলার নেন ১ হাজার ৪০০ থেকে দেড় হাজার টাকা। টিএসপির দাম ১ হাজার ৩৫০ টাকা হলেও নেওয়া হচ্ছে দেড় হাজার টাকা। এ ছাড়া ১ হাজার টাকার পটাশের দাম ১ হাজার ২০০ টাকা নিচ্ছে। প্রায় দুই বছর ধরে ডিলার তুহীনা আক্তার কৃষকদের জিম্মি করে বাড়তি টাকা নিচ্ছেন। তাঁরা দাবি করেন, বাড়তি টাকা নেওয়ার প্রতিবাদ করলে নারী নির্যাতন মামলা দেওয়ার হুমকি দেন। ফলে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পান না।
এ নিয়ে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিক্ষোভকারীরা কাঁকনহাট বাজারে সড়ক অবরোধ করেন। এতে পৌর শহরে তীব্র যানজট শুরু হয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁদের সড়ক ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করলে তাঁরা বিক্ষোভ মিছিল করে কর্মসূচি শেষ করেন। সমাবেশে কাঁকনহাট ও আশপাশ এলাকার দুই শতাধিক কৃষক অংশ নেন।
সমাবেশে এলাকার কৃষক মেহেদী হাসান বলেন, জি কে ট্রেডার্স পরিচালনা করেন তুহীনা আক্তার নামের এক নারী। তিনি বাড়তি টাকা ছাড়া সার দেন না। বাড়তি টাকা নেওয়ায় তিনি সার বিক্রির কোনো রসিদ দেন না। বাধ্য হয়ে কৃষকদের সার নিতে হয়। আবার পাঁচ বস্তা সার চাইলে তিনি ১০ কেজি দিয়ে ফিরিয়ে দেন। আবার অনেককে সার না দিয়েই ফিরিয়ে দেন। আটকে রাখা সার তিনি তানোর উপজেলায় বেশি দামে সরবরাহ করেন।
মিনারুল ইসলাম নামের আরেক কৃষক বলেন, ‘আমি নিজে চাষাবাদের পাশাপাশি ট্রাক থেকে মাল নামাই। নিজে শত শত বস্তা সার তুহীনা আক্তারের গুদামে ঢোকাই। কিন্তু দুদিন পরই তিনি বলতে থাকেন, কোনো সার নেই। তিনি নাকি বাইরে থেকে বেশি দামে সার আনেন। এ কথা বলে তিনি কৃষকদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা আদায় করেন।’
অভিযোগের বিষয়ে কথা বলেন তুহীনা আক্তারের বাবা তাহাসেন আলী। তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাঁরা ন্যায্য দামেই কৃষকদের কাছে সার বিক্রি করেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফয়সাল আহমেদ বলেন, গত সপ্তাহে জি কে ট্রেডার্সের বিরুদ্ধে কৃষকদের লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। এরপর তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে দেন। তদন্ত কমিটি গতকাল শুনানি করেছে। উভয় পক্ষের বক্তব্য নিয়েছে। এর ভিত্তিতে কমিটি প্রতিবেদন দেবে। প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক ষকদ র
এছাড়াও পড়ুন:
একটি ষড়যন্ত্রমূলক দল ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে পুনর্বাসনের অপপ্রচেষ্টায় লিপ্ত : সজল
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল বলেছেন, বর্তমান সময়ে একটি ষড়যন্ত্রমূলক দল ও বিভিন্ন সংগঠনের সাথে জড়িত হয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে পুনর্বাসনের অপপ্রচেষ্টায় লিপ্ত।
শুধু তাই না তারা দেশে একটি জাতি নির্বাচন আগে গণভোটের চিন্তা করছে। আমরা মহানগর যুবদলের পক্ষ থেকে এ ধরনের হটকারী সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আওতাধীন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদলের উদ্যোগে ১০নং ওয়ার্ডস্থ চিত্তরঞ্জন পুকুরে মৎসপোনা অবমুক্তকরন ও পুকুর পাড়ে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন, আমরা বলতে চাই একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য কিন্তু আমরা দীর্ঘ ১৭টি বছর রাজপথে লড়াই সংগ্রাম করেছি। আর বিগত ১৫টি বছরের তিনটি নির্বাচনে বাংলাদেশের যুব ও তরুণ সমজ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারে নাই। আমরা সেই যুবক ও তরুণ ৪ কোটি ভোটার ভোটারের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরাও ঐক্যবদ্ধ।
আমরা কিন্তু অতীতের যেকোন ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করে সফল হয়েছি। ইনশাল্লাহ আগামী দিনও যেকোনো ষড়যন্ত্র হোক না কেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল নারায়ণগঞ্জ মহানগর সকল ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে সফল হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ঘোষিত কর্মসূচী অংশ হিসেবে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদলের উদ্যোগে মৎস্য পোনা অবমুক্তকরণ ও বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি পালন করেছি।
আপনারা জাতীয়তাবাদী যুবদলের নির্দেশ ও আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জননেতা তারেক রহমান যেভাবে এদেশের মাটি ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন উনার প্রতিটি নির্দেশনা যুবদলের নেতাকর্মীদেরকে মেনে চলার আহবান করছি।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. আরমান হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ। এছাড়াও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরে এলাহী সোহাগ, যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন কমল, যুগ্ম, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোফাজ্জল হোসেন আনোয়ার, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল আলম সজিব, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রাফি উদ্দিন রিয়াদ,ওয়াদুদ ভূইয়া সাগর, মোঃ আরমান হোসেন, সাইফুল ইসলাম আপন, আশিকুর রহমান অনি, বাদশা খান, শাহীন শরীফ, ফয়েজ উল্লাহ সজল, ফয়সাল আহমেদ, আরিফ খান, হাবিবুর রহমান মাসুদ, মাহফুজুর রহমান ফয়সাল,সিদ্ধিরগঞ্জ যুবদল নেতা মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু,আরাফাত রহমান মো. মিন্টু, রাশেদুল ইসলাম, সজল হোসেন, খায়রুল ইসলাম মৃদুলসহ যুবদলের নেতৃবৃন্দ।