চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিদেশে বৃত্তি পাওয়া ১০২ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা
Published: 24th, July 2025 GMT
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে বৃত্তি পাওয়া ১০২ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের পঞ্চম তলায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ সম্মাননা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল চিটাগং ইউনিভার্সিটি রিসার্চ অ্যান্ড হায়ার স্টাডি সোসাইটি (সিইউআরএইচএস) ও অফিস ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স নামের দুটি সংগঠন।
আয়োজকদের সূত্রে জানা যায়, সংবর্ধনা পাওয়া সবাই বিনা মূল্যে বিদেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাচ্ছেন। তাঁদের বেশির ভাগই প্রাণরসায়ন, আণবিক জীববিজ্ঞান, জৈবপ্রযুক্তি, রসায়ন ও জিন প্রকৌশল নিয়ে পড়াশোনা ও গবেষণার কাজে বিদেশে যাচ্ছেন। এ ছাড়া একজন কমনওয়েলথ, চারজন ইরাসমাস মুন্ডাস, পাঁচজন জাপান নেক্সট, একজন যুক্তরাষ্ট্র ফুল ব্রাইট ও একজন অস্ট্রেলিয়ান সরকারি বৃত্তি পেয়েছেন।
সংবর্ধনার এই অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো.
অনুষ্ঠানে সিইউআরএইচএসের সমন্বয়ক অধ্যাপক আদনান মান্নান বলেন, ‘দেশের কাজের জন্য বিদেশি নয়, আমাদের নিজস্ব জনবল প্রস্তুত করে কাজে লাগাতে হবে। আস্থা ও সঠিক পরিকল্পনা থাকলে দেশ থেকেই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অবদান রাখা সম্ভব।’
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক অলক পাল বলেন, শিখতে হলে বিনয়ী হতে হবে। বিদেশে গিয়ে কোনো রাজনৈতিক মতাদর্শে জড়ানো উচিত নয়। নিজেকে একজন আন্তর্জাতিক গবেষক হিসেবে গড়ে তোলাই সবচেয়ে জরুরি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীরা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে যাচ্ছে। আজ যেমন বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশকে গর্বিত করছে, একদিন তারাই দেশে ফিরে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।’
অফিস ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন এই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক খাদিজা মিতু প্রমুখ।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন
এছাড়াও পড়ুন:
নিউ ইয়র্কে নিহত বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা সম্পর্কে যা জানা গেলো
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের সেন্ট্রাল ম্যানহাটনে একটি বহুতল অফিসে বন্দুক হামলায় নিহত হয়েছেন নিউ ইয়র্ক পুলিশের কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম (৩৬)। জানা গেছে, তিনি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অভিবাসী ছিলেন। খবর রয়টার্সের।
নিহত কর্মকর্তা দিদরুল ইসলামকে একজন ‘বীর বাংলাদেশি অভিবাসী’ হিসেবে উল্লেখ বর্ণনা করেছেন নিউ ইয়র্কের মেয়র এবং নিউ ইয়র্কের পুলিশ কমিশনার। তারা বলেছেন, ওই কর্মকর্তা নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে অন্যদের জীবন রক্ষা করেছিলেন।
সোমবার ম্যানহাটনের মিডটাউন অফিস টাওয়ারের ভেতরে এক বন্দুকধারী হামলা চালিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম (৩৬) সহ চারজনকে হত্যা করে। হামলাকারী পরবর্তীতে আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
পুতিনকে এবার ১২ দিনের আল্টিমেটাম দিলেন ট্রাম্প
নিউ ইয়র্কে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৪
নিউ ইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “ভয়াবহ একটি বন্দুক সহিংসতার ঘটনায় আমরা চারটি প্রাণ হারিয়েছি, যার মধ্যে নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ বিভাগের একজন সদস্য ‘অফিসার ইসলাম’ রয়েছেন।
অ্যাডামস জানান, নিহত অফিসার তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে নিউ ইয়র্ক পুলিশে কর্মরত ছিলেন এবং তিনি বাংলাদেশ থেকে আসা একজন অভিবাসী।
মেয়র বলেন, “হামলার সময় অফিসার ইসলাম অন্যদের জীবন রক্ষা করছিলেন, তিনি নিউ ইয়র্কবাসীদের রক্ষা করছিলেন। তিনি এই শহরকে ভালোবাসতেন এবং আমরা যাদের সাথে কথা বলেছি তারা সবাই বলেছেন যে, তিনি একজন সৎ মানুষ ও ঈশ্বরে বিশ্বাসী ব্যক্তি ছিলেন।”
মেয়র আরো জানিয়েছেন, সোমবার রাতে তিনি অফিসর ইসলামের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন।
মেয়র আরো বলেন, “আমি তাদেরকে বলেছি, অফিসার ইসলাম একজন একজন বীর এবং আমরা তার ত্যাগের প্রশংসা করি।”
নিউ ইয়র্কের পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ সংবাদ সম্মেলনে জানান, অফিসার ইসলাম বিবাহিত ছিলেন এবং তার দুটি সন্তান ছিল। তার স্ত্রী তৃতীয় সন্তানের মা হতে চলেছেন।
পুলিশ কমিশনার বলেন, “অফিসার ইসলাম নিজেকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছিলেন। তিনি চূড়ান্ত ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন, তাকে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।”
ঢাকা/ফিরোজ