জ্বলে উঠেছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি), ছড়িয়ে পড়েছিল সারা দেশে ছাত্র-জনতার দ্রোহের স্ফুলিঙ্গ। সেই ঐতিহাসিক উদ্দীপনাকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে স্থাপন করা হয়েছে ‘জুলাই-২৪ কর্নার’।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) বেলা ১১টায় এ কর্নার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড.
উদ্বোধনকালে উপাচার্য বলেন, “জুলাই-২৪ শুধু একটি মাস নয়, এটি এ দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতিচ্ছবি, আমাদের সময়ের সত্য ভাষণের এক সাহসী উচ্চারণ। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা জুলাই-২৪-এ যে অন্যায়ের বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছিল, রক্ত দিয়ে লিখেছিল প্রতিরোধের ইতিহাস।”
আরো পড়ুন:
সাতক্ষীরায় নিখোঁজের ৩৬ দিনেও স্কুলছাত্রী উদ্ধার হয়নি
খুবির ২২ শিক্ষার্থী পেলেন ডিনস অ্যাওয়ার্ড
তিনি আরো বলেন, “এই কর্নার হবে সেই গণআন্দোলনের স্মারক যেখানে প্রজন্ম জানতে পারবে, কিভাবে ফ্যাসিবাদের দোসর, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় এক শক্তিমান ছাত্রসমাজ। এই প্রজন্মের দায়িত্ব, সেই চেতনাকে ধারণ করে সামনে এগিয়ে যাওয়া।”
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহা. ফরিদ উদ্দীন খান, রেজিস্ট্রার ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদ, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক মো. আখতার হোসেন মজুমদার এবং কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের প্রশাসক অধ্যাপক মোহাম্মদ হাবিবুল ইসলাম।
জুলাই-২৪ কর্নারে ঐতিহাসিক ছবি, পোস্টার, বিবৃতি ও আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ দলিলসমূহ সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করা হয়েছে, যা বিশ্ববিদ্যালয় সমাজকে গণতান্ত্রিক চেতনার চর্চায় উৎসাহিত করবে।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপ চ র য জ ল ই ২৪ কর ন র
এছাড়াও পড়ুন:
কক্সবাজারে ভবন থেকে পড়ে ব্যবসায়ীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা
কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের লিংক রোড স্টেশন এলাকায় পাঁচতলা একটি ভবনের ছাদ থেকে পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম শেখ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী (৪৮)। আজ বুধবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মেজবাহ উদ্দিনের বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কাতারিয়া এলাকায়। তিনি ওই এলাকার শেখ আমান উদ্দিন চৌধুরীর ছেলে। তিনি কক্সবাজারের লিংক রোড এলাকার বিসিক শিল্পনগরীর কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে জ্বালানি সরবরাহ করতেন। পরিবার নিয়ে ওই ভবনেরই দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন তিনি।
নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের দাবি, আজ ফজরের নামাজ শেষে তিনি বাসার ছাদে গিয়েছিলেন। পরে ভবনের নিচে মেজবাহ উদ্দিনের মরদেহ পাওয়া যায়। কেউ পরিকল্পিতভাবে ধাক্কা দিয়ে ছাদ থেকে নিচে ফেলে মেজবাহকে হত্যা করেছেন।
জানতে চাইলে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইলিয়াস খান প্রথম আলোকে বলেন, নিহত ব্যক্তির পরিবারের দাবি, এটি পরিকল্পিত হত্যা। ভবনের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে মেজবাহ উদ্দিনকে একাই ছাদে উঠতে দেখা গেছে। তাঁর মাথার টুপি, পরনের জামা, প্যান্ট, জুতা সবই ঠিকঠাক ছিল। কেউ পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন কি না, তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে।