নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় একটি পুকুর থেকে এক বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর নাম রোকেয়া পারভীন। স্থানীয় লোকজনের তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পরশুরামপুর গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির সামনের পুকুর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত নারী সদর উপজেলার কাদির হানিফ ইউনিয়নের লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামের নুরুল মতিনের স্ত্রী।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বোরকা পরা ওই বৃদ্ধার লাশ পুকুরে ভাসছিল। খবর পেয়ে ওই বৃদ্ধার স্বজনেরা এসে লাশটি শনাক্ত করেন। পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য আজ শুক্রবার লাশটি নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, নিহত নারীর ছেলে মনিরুল আহছান জানিয়েছেন, তাঁর মা মানসিক রোগী ছিলেন। গত বুধবার রাতে ঘরে চিৎকার-চেঁচামেচি করেন তিনি। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে ঘর থেকে বের হয়ে যান। ওসি আরও বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদনে ওই নারীর শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে তাঁর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আফগানিস্তানে মধ্যরাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় হিন্দুকুশ অঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। দুই মাস আগেই দেশটিতে এক ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

ইউএসজিএস জানায়, রোববার দিবাগত রাতে আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে মাজার-ই-শরিফ শহরের কাছে খোলম এলাকায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৫৯ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের গভীরতা প্রথমে ১০ কিলোমিটার বলা হয়। পরে তা সংশোধন করে গভীরতা ২৮ কিলোমিটার বলে জানায় সংস্থাটি।

আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।

উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছিল। দেশটির পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান।

আরও পড়ুনআফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২২০৫, খোলা আকাশের নিচে মানুষ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আফগানিস্তানে প্রায়শই ভূমিকম্প আঘাত হানে। বিশেষ করে হিন্দুকুশ পর্বতমালা বরাবর, যেখানে ইউরেশীয় এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটগুলো মিলিত হয়েছে।

ব্রিটিশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার ভূমিকম্পবিদ ব্রায়ান ব্যাপটির দেওয়া তথ্য মতে, ১৯০০ সাল থেকে উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার বেশি ১২টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।

আরও পড়ুন৩৫ বছরে আফগানিস্তানে ভয়াবহ যত ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ