ভারতের ফুটবল কোচ হতে জাভির আবেদন, খারিজ করে দিয়েছে ফেডারেশন
Published: 25th, July 2025 GMT
কোচ মানোলো মার্কুয়েজের বিদায়ের পর ভারত জাতীয় দলের জন্য নতুন কোচ খুঁজছে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ)। এ জন্য আগ্রহীদের আবেদন করতে বলেছিল তারা। অনেকে আগ্রহ প্রকাশ করে আবেদনও করেছেন। সেখানে একটি নাম বিস্মিত করেছে এআইএফএফ কর্তাদের।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, কোচ হওয়ার আগ্রহ প্রকাশকারীদের দীর্ঘ তালিকায় ছিল স্পেন ও বার্সেলোনা কিংবদন্তি এবং ক্লাবটির সাবেক কোচ জাভি হার্নান্দেজের নামও। শুধু তা–ই নয়, ভারতের সাবেক কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন, লিভারপুলের সাবেক খেলোয়াড় হ্যারি কিউয়েল, ভারতীয় কোচ খালিদ জামিলসহ আরও অনেকেই আবেদন করেছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাভি নিজেই তাঁর মেইল আইডি থেকে এই আবেদন পাঠিয়েছেন। যদিও অন্য প্রার্থীদের মতো তাঁর আবেদনপত্রে যোগাযোগ নম্বরের ঘর পূরণ করা ছিল না। টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জাভির আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারত জাতীয় ফুটবল দলের পরিচালক সুব্রত পাল, ‘হ্যাঁ, জাভির নাম তালিকায় ছিল। এআইএফএফ-কে মেইলের মাধ্যমে আবেদন পাঠানো হয়েছে।’
আরও পড়ুনম্যারাডোনা–মেসি থেকে জাভি: বার্সায় কিংবদন্তি হওয়া কি অভিশাপ২৫ মে ২০২৪তবে শেষ পর্যন্ত জাভির আবেদন খারিজ হয়ে গেছে। এ বিষয়ে এআইএফএফের টেকনিক্যাল কমিটির এক সদস্য টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেছেন, ‘ধরে নিলাম জাভি সত্যিই ভারতীয় ফুটবলে আগ্রহী এবং তাকে রাজিও করানো সম্ভব। কিন্তু এই পদে তাকে আনতে আমাদের বিশাল অঙ্কের অর্থের দরকার হতো।’ এর আগে এক সাক্ষাৎকারে জাভি জানিয়েছিলেন, ভারতে অনেক স্প্যানিশ কোচ কাজ করছেন বলে তিনি ভারতীয় ফুটবলকে অনুসরণ করেন।
বার্সেলোনার ডাগআউটে জাভি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
চাঁদার দাবিতে পিটিয়ে হত্যা, দুই ভাইয়ের যাবজ্জীবন
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে চাঁদার দাবিতে সিরাজুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় দুই ভাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মোমিনুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা অনুপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পাপ্পু (৪০) ও তার ভাই শুক্কুর (৩৭)। তারা উভয় সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি বাতানপাড়া এলাকার আফজাল হোসেনের ছেলে।
আরো পড়ুন:
ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিটের ভূমি অধিগ্রহণে জালিয়াতি, মামলার অনুমোদন
ফেনীতে ছাত্র হত্যা: শেখ হাসিনাসহ ২২১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান বলেন, ‘‘সৌদি প্রবাসী জাকির হোসেনের নির্মাণাধীন ভবনের কাজের তদারকি করতেন সিরাজুল ইসলাম। সে সময় শুক্কুর ও তার ভাই পাপ্পুসহ কয়েকজন সিরাজুলের কাছে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় ২০১৫ সালের ২৩ জুলাই তাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ এ রায় ঘোষণা করেছেন।’’
ঢাকা/অনিক/রাজীব