কোচ মানোলো মার্কুয়েজের বিদায়ের পর ভারত জাতীয় দলের জন্য নতুন কোচ খুঁজছে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ)। এ জন্য আগ্রহীদের আবেদন করতে বলেছিল তারা। অনেকে আগ্রহ প্রকাশ করে আবেদনও করেছেন। সেখানে একটি নাম বিস্মিত করেছে এআইএফএফ কর্তাদের।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, কোচ হওয়ার আগ্রহ প্রকাশকারীদের দীর্ঘ তালিকায় ছিল স্পেন ও বার্সেলোনা কিংবদন্তি এবং ক্লাবটির সাবেক কোচ জাভি হার্নান্দেজের নামও। শুধু তা–ই নয়, ভারতের সাবেক কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন, লিভারপুলের সাবেক খেলোয়াড় হ্যারি কিউয়েল, ভারতীয় কোচ খালিদ জামিলসহ আরও অনেকেই আবেদন করেছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাভি নিজেই তাঁর মেইল আইডি থেকে এই আবেদন পাঠিয়েছেন। যদিও অন্য প্রার্থীদের মতো তাঁর আবেদনপত্রে যোগাযোগ নম্বরের ঘর পূরণ করা ছিল না। টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জাভির আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারত জাতীয় ফুটবল দলের পরিচালক সুব্রত পাল, ‘হ্যাঁ, জাভির নাম তালিকায় ছিল। এআইএফএফ-কে মেইলের মাধ্যমে আবেদন পাঠানো হয়েছে।’

আরও পড়ুনম্যারাডোনা–মেসি থেকে জাভি: বার্সায় কিংবদন্তি হওয়া কি অভিশাপ২৫ মে ২০২৪

তবে শেষ পর্যন্ত জাভির আবেদন খারিজ হয়ে গেছে। এ বিষয়ে এআইএফএফের টেকনিক্যাল কমিটির এক সদস্য টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেছেন, ‘ধরে নিলাম জাভি সত্যিই ভারতীয় ফুটবলে আগ্রহী এবং তাকে রাজিও করানো সম্ভব। কিন্তু এই পদে তাকে আনতে আমাদের বিশাল অঙ্কের অর্থের দরকার হতো।’ এর আগে এক সাক্ষাৎকারে জাভি জানিয়েছিলেন, ভারতে অনেক স্প্যানিশ কোচ কাজ করছেন বলে তিনি ভারতীয় ফুটবলকে অনুসরণ করেন।

বার্সেলোনার ডাগআউটে জাভি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে মারাত্মক সংকটে তিস্তা নদী

আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে তিস্তা নদী মারাত্মক সংকটে পড়েছে। আর প্রস্তাবিত তিস্তা প্রকল্প নিয়েও কেউ খোলামেলা কথা বলতে চাইছেন না।

রোববার রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে (পিআইবি) ‘সংকটে তিস্তা নদী: সমাধানের পথ কী?’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন) যৌথভাবে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

মতবিনিময় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপার সহসভাপতি অধ্যাপক মো. খালেকুজ্জমান। প্রবন্ধে তিনি উল্লেখ করেন, ভারতের সঙ্গে কোনো পানিবণ্টন চুক্তি না থাকায় এবং আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে তিস্তা নদী মারাত্মক সংকটে পড়েছে। শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাবে আর বর্ষাকালে নিয়ন্ত্রণহীন পানিনির্গমনের ফলে বাংলাদেশ অংশে বন্যা ও ভাঙনের ঝুঁকি বাড়ছে।

মতবিনিময় সভায় বিশেষজ্ঞরা তিস্তা সমস্যার সমাধানে ভারতের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পৃক্ততা, আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ এবং প্রকল্পে স্থানীয় জনগণের মতামত গ্রহণের ওপর জোর দেন। তাঁরা তিস্তা মহাপরিকল্পনা সম্পর্কে স্বচ্ছতা ও পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানান।

অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘সরকারের কাছে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কোনো তথ্য নেই। বিগত বছরগুলোতে উন্নয়নের নামে দেশের নদীগুলোকে সংকুচিত করা হয়েছে। আমরা আর সংকুচিত করার উন্নয়ন চাই না। নদীকে নদীর মতোই রাখতে হবে।’

আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, দেশের উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যক্তিস্বার্থকে উপেক্ষা করে দেশের স্বার্থকে বড় করে দেখতে হবে। যেসব প্রকল্প দীর্ঘমেয়াদি, সেসব প্রকল্প গ্রহণের আগে অবশ্যই জনগণের মতামত নিতে হবে।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব সামর্থ্য অনুযায়ী প্রকল্প নেওয়া উচিত। নদীকে রক্ষা করতে হবে কিন্তু তাকে খালে পরিণত করে নয়। এই প্রকল্প পুনর্মূল্যায়ন করা প্রয়োজন।

বাপার প্রতিষ্ঠাতা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বাপা কখনো উন্নয়নবিরোধী নয়। আমরাও চাই দেশের উন্নয়ন হোক। কিন্তু সেই উন্নয়ন হতে হবে দেশের প্রাণপ্রকৃতি, পরিবেশ ও নদীকে ঠিক রেখে। তিস্তা প্রকল্প নিয়ে কেউ খোলামেলা কথা বলতে চাইছেন না। সরকার ও বিরোধী দল উভয়ই চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে সংবেদনশীল হওয়ায় এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে।’

বাপার সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, পরিবেশবিদ, গবেষক ও তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা অংশ নেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ