চিরনিদ্রায় শায়িত রাইসা মনি, এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া
Published: 25th, July 2025 GMT
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় নিহত তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী রাইসা মনিকে (১১) তার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বাজড়া গ্রামে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে বাজড়া ঈদগাহ মাঠে তার জানাজা হয়।
গত সোমবার (২১ জুলাই) একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে মাইলস্টোন স্কুলের হায়দার আলী ভবনে আঘাত করলে অনেকে হতাহত হন।
আরো পড়ুন:
মাইলস্টোন ট্র্যাজিডি: বার্ন ইউনিটে আরো ১ শিশুর মৃত্যু
বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি ৪২, আইসিইউতে ৮: পরিচালক
রাইসা মনির বাবা শাহাবুল শেখ সাংবাদিকদের বলেছেন, মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের পরদিন গত মঙ্গলবার ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ডিএনএ ল্যাবের সদস্যরা। নমুনাগুলো বিশ্লেষণ করে আমার মেয়ে রাইসা মনির মরদেহ শনাক্ত করার পর গতকাল আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতেই মেয়ের মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হই। বাড়িতে পৌঁছাতে ভোর হয়ে যায়। আজ (শুক্রবার) সকাল ৯টায় স্থানীয় ঈদগাহ ময়দানে জানাজা শেষে বাজড়া কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
রাইসার অকাল মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ তার মা মিম আক্তার, বড় বোন সিনথিয়া (১৩) ও ছোট ভাই রাফসান শেখসহ (৪) এলাকাবাসী। রাইসার বড় বোন সিনথিয়া উত্তরার মাইলস্টোন স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে।
শাহাবুল শেখ তার মেয়ে রাইসার জন্য দোয়া প্রার্থনা করে বলেছেন, “আমার রাইসা ছিল পরিবারের আলো। ওর হাসি, ওর স্বপ্নগুলোকে আমাদের বাঁচিয়ে রাখত। তার অকাল মৃত্যু আমাদের ভেঙে দিয়েছে। আমি দেশের সবার কাছে দোয়া চাই, যেন আমার মেয়ের আত্মা শান্তি পায় এবং আমরা এই শোক সহ্য করার শক্তি পাই।”
আলফাডাঙ্গা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসেল ইকবাল রাইসার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বলেছেন, “রাইসা মনির মতো একটি কচি প্রাণের এভাবে চলে যাওয়া অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাইসার পরিবারের পাশে আছি এবং তাদের জন্য সব ধরনের সহায়তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করব। আমি রাইসার আত্মার শান্তি কামনা করছি।”
রাইসার মৃত্যুতে হতবিহ্বল আত্মীয়-স্বজনসহ এলাকাবাসী। গ্রামজুড়ে যেন শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ঢাকা/তামিম/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ম ন ব ধ বস ত ন হত ম ইলস ট ন স ক ল
এছাড়াও পড়ুন:
দুবাই থেকে দেশে ফিরে বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার ৫৭ মামলার আসামি
চট্টগ্রামে বাড়ি। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে ৫৭টি মামলা। তবে তিনি প্রায় পাঁচ বছর ধরে পালিয়ে ছিলেন দুবাইয়ে। গ্রেপ্তার এড়াতে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে দেশে ফিরছিলেন। এরপরও তাঁর রক্ষা হয়নি তাঁর। সিলেটে বিমানবন্দর থেকেই পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন পলাতক এই আসামি।
গতকাল শনিবার বিকেল চারটার দিকে গ্রেপ্তার হওয়া এই ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ রুহুল আমিন (৫৫)। বিমানবন্দরে নিয়োজিত ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রামের পটিয়া থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। আজ রোববার সকালে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মোহাম্মদ রুহুল আমিনের বাড়ি পটিয়া উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের পাইরোল গ্রামে। তাঁর বাবার নাম আবদুস সালাম। চট্টগ্রাম নগরের চাক্তাইয়ে ফিশারিঘাটে মাছের আড়ত ছিল রুহুল আমিনের।
পুলিশ জানায়, মোহাম্মদ রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে হওয়া মামলাগুলোর বেশির ভাগই চেক প্রতারণার অভিযোগে করা। এর মধ্যে ১০টি মামলায় তাঁর সাজা হয়েছে। বাকি মামলা বিচারাধীন। বিদেশভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও পরোয়ানাভুক্ত এই আসামি সাজা ও গ্রেপ্তার এড়াতে দুবাইয়ে পালিয়ে যান। পাঁচ বছর পর সেখান থেকে গোপনে সিলেট হয়ে দেশে ফিরছিলেন তিনি।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুজ্জামান আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, পটিয়া থানার পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার রুহুল আমিনকে গতকাল রাতেই সিলেট থেকে পটিয়ায় নিয়ে আসা হয়। এরপর আজ সকালে পটিয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।