Risingbd:
2025-07-31@09:09:03 GMT

যারা পেলেন মহানায়ক সম্মাননা

Published: 25th, July 2025 GMT

যারা পেলেন মহানায়ক সম্মাননা

ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ‘মহানায়ক সম্মান ২০২৫’ প্রদান করা হয়েছে। এবার এই পুরস্কার পেয়েছেন ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্রের মেকআপ শিল্পী সোমনাথ কুণ্ডু, প্রোডাকশন ডিজাইনার আনন্দ আঢ্য, বাংলা চলচ্চিত্র-থিয়েটার-টেলিভিশনের অন্যতম জনপ্রিয় শিল্পী অভিনেত্রী গার্গী রায় চৌধুরী, সংগীতশিল্পী ইমন চক্রবর্তী, রূপঙ্কর বাগচী। 

ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ‘মহানায়ক শ্রেষ্ঠ সম্মান-২০২৫’ প্রদান করা হয় গুণী পরিচালক গৌতম ঘোষকে। পুরস্কার হিসেবে উত্তরীয়, একটি স্মারক এবং নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) মহানায়কের ৪৫ তম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে কলকাতার ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ। এ অনুষ্ঠানে পুরস্কার প্রদান করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।

আরো পড়ুন:

তিশার সিনেমা থেকে সরে দাঁড়ালেন খায়রুল বাসার

চলচ্চিত্রে তিশা, সঙ্গী ‘থ্রি ইডিয়টস’ তারকা যোশি

মহানায়ক উত্তম কুমারকে প্রাণের মানুষ, দেশের গর্ব, জাতির গর্ব, সংস্কৃতির গর্ব, চলচ্চিত্রের গর্ব বলে আখ্যায়িত করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “তার মৃত্যুর ৪৫ বছর পরও আমরা কেউ উত্তম কুমারকে ভুলতে পেরেছি? কোনোদিন পারবও না। নামটাও যেমন উত্তম, কাজেও উত্তম। আমি দেখেছি অনেক বিশিষ্ট শিল্পীরা গানে ঠিকমতো লিপ (ঠোঁট মেলানো) দিতে পারেন না। কিন্তু উত্তম কুমারের গুণ ছিল প্রত্যেকটা গান উনি মুখস্ত করতেন এবং লিপ মেলাতেন। এটাই ওনার বিউটি।”

আফসোস করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমার জীবনে খুব আফসোস যে, সুচিত্রা সেন, মাধবী মুখার্জি, সাবিত্রী মুখার্জি, শর্মিলা ঠাকুর, তনুজা, সৌমিত্র চ্যাটার্জির মতো শিল্পীদের চিনি। তাদের সকলের কাছে আমার আসা-যাওয়া ছিল। কিন্তু উত্তম কুমারের সঙ্গে আমার কোনোদিনই দেখা হয়নি। এই না দেখাটা আমাকে বারবার স্মরণ করিয়ে দেয়।”

ছোটবেলার স্মৃতিচারণ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি তখন চতুর্থ/পঞ্চম শ্রেণিতে পড়তাম, তখন মায়ের হাত ধরে ভবানীপুরের সিনেমা হলে যেতাম। মা-ই আমাকে নিয়ে যেতেন। তখন চানাচুরের প্যাকেট খেতে খেতে আমি হলের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়তাম। আর মা সিনেমা দেখতো। কিন্তু তখনই যে গানগুলো আমি শুনেছিলাম এত অপূর্ব, এত মাধুর্যপূর্ণ সেই গানগুলো আজও আমাদের মুখে ফেরে।”  

এ সময়ের টিভি সিরিয়াল থেকে শুরু করে বাংলা সিনেমায় বাংলা গানের ব্যবহার কম হওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “স্বর্ণযুগের সেই যে বাংলা গানগুলো তার বাজার কিন্তু কোনোদিনও ফুরায় না। বাংলা গানের যে মাধুর্য সংস্কৃতি, কথা, ভাষা সুর…! সেসময় সলিল চৌধুরী, লতা মঙ্গেশকর, আশা ভোঁসলে, বনশ্রী সেনগুপ্ত, নির্মলা মিশ্র, পুলক ব্যানার্জি, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, মান্না দে, শ্যামল মিত্রদের গানগুলো শোনার পর একটা মুখস্ত করার প্রবণতা ছিল। সে সময় অনুরোধের আসর শুনতে আমাদের রেডিওর সামনে বসতেই হতো। একটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু এখন সেসব কোথায়?”   

পাশাপাশি ভারতীয় বাংলা টিভি সিরিয়ালের মান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। সিরিয়াল নির্মাতাদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এখন দেখি সিরিয়ালগুলোতে সারাক্ষণ শুধু এ ওকে বিষ দিচ্ছে, ও তাকে বিষ দিচ্ছে।” 

বাংলা ভাষার উপরে সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর। তার অভিমত—“বাংলা সংস্কৃতিকে আরো বিকশিত, কুসুমিত করতে হবে। কারণ সভ্যতা ও সংস্কৃতি একটা জাতির মেরুদণ্ড। দিন শেষে আমার মুখ দিয়ে মাতৃভাষাটাই বেরোবে। বাংলা ভাষার উপরে আজকে সন্ত্রাস চলছে। বাংলা ভাষায় যারা কথা বলে তাদের উপরও খুব অত্যাচার হচ্ছে। সারা পৃথিবীতে এই বাংলা ভাষা পঞ্চম স্থানে, এশিয়াতে দ্বিতীয় স্থানে। প্রায় ৩০ কোটি মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলেন। সেখানে আজ বাংলা ভাষায় কথা বললেই কারাগারে নিয়ে যাওয়া হবে এটা আমি কিছুতেই মানতে পারছি না। বাংলা আমাদের জন্মভূমি, কর্মভূমি, মাতৃভূমি। এই ভূমিটা আমাদের রক্ষা করতে হবে।”  

পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, সোহম চক্রবর্তী, অম্বরিশ ভট্টাচার্য্য, চিত্রপরিচালক হরনাথ চক্রবর্তী, শ্রীজাত মুখার্জি, অরিন্দম শীল, মন্ত্রী ও গায়ক বাবুল সুপ্রিয়, সংগীতশিল্পী অদিতি মুন্সি, শ্রীরাধা ব্যানার্জি, মনোময় ভট্টাচার্য, রাজ্যের কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অরূপ বিশ্বাস, ইন্দ্রনীল সেন, শোভনদেব চ্যাটার্জি, বিধানসভার স্পিকার বিমান ব্যানার্জি প্রমুখ। 

কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশ, রাশিয়া এবং মিয়ানমারের কনসুল জেনারেলরাও উপস্থিত ছিলেন এ দিনের অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠান শুরুর আগে মহানায়ক উত্তম কুমারের প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান বিশিষ্টরা। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র ম খ যমন ত র চলচ চ ত র অন ষ ঠ ন প রস ক র মন ত র আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

সিওডিলের স্টলে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের উপচে পড়া ভিড়

দেশে তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুই দিনব্যাপী অ্যাস্থেটিক ডার্মাটোলজি বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন। রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের স্পন্সর বাংলাদেশের ১ নম্বর ডার্মা কসমেটিকস ডক্টর রিকমেন্ডেড ব্র্যান্ড সিওডিল। প্রায় ৩ শতাধিক দেশী ও বিদেশী ডার্মাটোলজিস্ট সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন।

অ্যাস্থেটিক ডার্মাটোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশের (এডিএসবি) উদ্যোগে সম্মেলনের প্রথম দিনে ছিলো সায়েন্টিফিক সেশনের পাশাপাশি সেমিনার। আয়োজনের মূল স্পন্সর হওয়ার পাশাপাশি বিশ্ব বাজারে সিওডিলের প্রচলিত পণ্য এবং উদ্ভাবনী গবেষণা কার্যক্রম তুলে ধরতে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রয়েছে সিওডিলের।

ত্বকের যত্নে সিওডিলের নতুন উদ্ভাবনী পণ্য ও কার্যক্রম নিয়ে ডাক্তারদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলো সিওডিলের স্টল। ভিয়েতনাম, মিয়ানমার, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড এবং ভারতের ডার্মাটোলজিস্ট বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা ভিজিট করে সিওডিলের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

ডার্মাটোলজিস্ট ডা. শারমিনা হক বলেন, অ্যাকনি, এজিং, ড্রাইনেস, স্ক্যাল্পের সমস্যাসহ ত্বকের যাবতীয় সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি বিভিন্ন ফলপ্রসূ কর্মসূচির মাধ্যমে নিজের ত্বক সম্পর্কে সচেতন হতে সিওডিল তার ভোক্তাদের উৎসাহিত করছে। আশা করছি সিওডিল বাংরাদেশের অন্যতম একটি গ্লোবাল ব্র্যান্ড হিসেবে দেশের সুনাম বয়ে আনবে।

সিওডিলের হেড অব বিজনেস সুকান্ত দাস জানান, এবারের অ্যাস্থেটিক ২০২৫-এ উদ্ভাবনী পণ্যের তালিকায় অন্যতম আকর্ষণ সিওডিল। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের দ্বারা রেকমেন্ডেড এই ব্র্যান্ডটি সর্বস্তরের ভোক্তাদের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। সিওডিলের এই সুদৃঢ় অবস্থানকে বিশ্বব্যাপী আরও ছড়িয়ে দিতেই সিওডিল চলতি বছরেই দুবাই ডার্মা ও কসমো প্রফ ২০২৫ এ অংশগ্রহণ করে বিশ্বব্যাপী প্রশংসা কুড়িয়েছে। আজকেও বাংলাদেশের এই আয়োজনে যেসব ডাক্তাররা আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশ নিয়েছেন তারা সিওডিলের পণ্যের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ইতোমধ্যে আমেরিকাসহ শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, দুবাই ও ভারতে সিওডিলের পণ্য পাওয়া যাচ্ছে।

আশা করছি খুব শিগগিরেই আমরা মিয়ানমার, ভিয়েতনাম ও পাকিস্তানে আমাদের পণ্যের নতুন বাজার তৈরী করতে পারবো।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে স্কিন কেয়ার ও কসমেটিকসের অথেন্টিক রিটেল শপ হারল্যান স্টোরসহ সব সেলস চ্যানেলে সিওডিল পণ্য পাওয়া যাচ্ছে। সিওডিল এখন স্কিন কেয়ার খাতে শীর্ষ বিক্রীত ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। অন্য দেশে তৈরি পণ্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশি তৈরি পণ্য শক্ত অবস্থান নিশ্চিত করেছে। দামেও সাশ্রয়ী। অন্য দেশের পণ্য আমদানি হয়ে আসতে আসতে মেয়াদ চলে যায়। তাই গুণগতমান নিশ্চিত এবং দামে সাশ্রয়ী হওয়ায় ক্রেতাদের কাছে সিডিলের কদর বাড়ছে।
 

রাহাত//

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধা নিয়ে নির্দেশনা মাউশির, কে কত টাকা পাবেন
  • বাটা সু’র মুনাফা কমেছে ২৬.৮৪ শতাংশ
  • বাংলাদেশের কাছে আবারো ইলিশের জন্য অনুরোধ করেছে ভারত
  • ডাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্যানেল করতে চান উমামা
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (৩১ জুলাই ২০২৫)
  • ঢাকা সিটি কলেজে একাদশে ভর্তি, জেনে নিন বিস্তারিত তথ্য
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (৩০ জুলাই ২০২৫)
  • আইসিসিআর বৃত্তিপ্রাপ্ত ৫৫০ শিক্ষার্থী পেলেন বিদায় সংবর্ধনা
  • রাজউক উত্তরা মডেল কলেজে অভ্যন্তরীণ শিক্ষার্থীদের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি
  • সিওডিলের স্টলে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের উপচে পড়া ভিড়