প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখতে বৃক্ষরোপণের বিকল্প নেই
Published: 25th, July 2025 GMT
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, “গাছ শুধু অক্সিজেনই দেয় না, এটি জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করে, মাটি রক্ষা করে, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব কমায় এবং অর্থনৈতিকভাবে মানুষকে স্বাবলম্বী করে তোলে। প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখতে বৃক্ষরোপণের বিকল্প নেই।”
শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে মাসব্যাপী চলমান জাতীয় বৃক্ষমেলা পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মেলায় পরিদর্শনকালে উপদেষ্টা বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন এবং পরিবেশবান্ধব চারা উৎপাদন ও বিপণনে নিয়োজিত নার্সারি মালিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
তিনি বলেন, “জাতীয় বৃক্ষমেলার মতো উদ্যোগ প্রকৃতিপ্রেম ও পরিবেশসচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।”
স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে এই মেলায় এসে বৃক্ষরোপণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানার আহ্বান জানান তিনি।
বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো.
জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান এবং বৃক্ষমেলার মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষায় জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে উপদেষ্টা দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বন অধিদপ্তরের আয়োজনে আয়োজিত এই মেলা চলবে আগামী ২৭ জুলাই পর্যন্ত।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইউনিয়ন পরিষদের পরিত্যক্ত ভবনের টয়লেট থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের পরিত্যক্ত ভবনের টয়লেট থেকে আল হাবিব নামে ৬ বছর বয়সী এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাতে ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আল হাবিব একই ইউনিয়নের শিলাইকুঠি এলাকার আশরাফুল ইসলামের ছেলে।
আশরাফুল ইসলাম ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ছিলেন। দুর্ঘটনায় আহত হওয়ায় এখন ঠিকভাবে চলাফেরা করতে পারেন না তিনি।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিকেলে খেলতে বের হয়ে আর বাড়িতে ফেরেনি আল হাবিব। দীর্ঘ সময় ধরে খোঁজা-খুঁজির পর রাতে ইউনিয়ন পরিষদের পরিত্যক্ত ভবনের টয়লেটে শিশুটির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। পরে তারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এলাকাবাসীর সহায়তায় মরদেহটি উদ্ধার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, মরদেহটি ভাঙা টয়লেটের ছড়ানো ইটের ওপর পড়ে ছিল। গলায় নিজের পরনের শার্ট পেঁচানো ছিল। মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্নও আছে। ধারণা করা হচ্ছে, হত্যার পর তাকে এখানে ফেলে গেছে ঘাতকরা। তবে কারা এবং কেন হত্যা করেছে, তা এখনো জানা যায়নি।
বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারেক হোসেন বলেছেন, ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে পরিত্যক্ত ভবনে বাচ্চাটিকে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা ও গ্রাম পুলিশ আমাদেরকে খবর দেয়। তারপর আমরা পুলিশকে খবর দিই।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুসা মিয়া বলেছেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে৷ এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে৷
ঢাকা/নাঈম/রফিক