বর্তমানের যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খান। সেখানে ছোট ছেলে শেহজাদ খানের সঙ্গে সময় কাটাবেন তিনি। তাদের সঙ্গে থাকবেন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীও। এজন্য চলতি মাসের শেষের দিকে পুত্র শেহজাদকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে উড়ে যাবেন বুবলী। 

একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে শবনম বুবলী বলেন, “শেহজাদের জন্মের পর আর যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া হয়নি। শেহজাদের জন্ম যেহেতু যুক্তরাষ্ট্রে, তাই ওর কাগজপত্র হালনাগাদ করার কিছু ইস্যু রয়েছে। এগুলো সেরে নিতে চাই। তাই যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া খুবই প্রয়োজন। বেশ কিছুদিন সেখানে থেকে শেহজাদের যাবতীয় কাগজপত্র ঠিকঠাক করার কাজটি সেরে নেব।” 

শাকিব খানও একই তথ্য জানিয়েছেন। গণমাধ্যমটিকে তিনি বলেন, “শেহজাদের মা তাদের যুক্তরাষ্ট্রে আসার কথা জানিয়েছে। শেহজাদের কিছু প্রয়োজনীয় কাজ আছে, তার মায়েরও আছে। আমি যেহেতু এই সময়টায় এখানে আছি, আমাদের বাবা-ছেলের একসঙ্গে ঘোরাঘুরি হবে। কাজের ব্যস্ততায় তো সেভাবে সন্তানদের সময় দিতে পারি না। তাই চেষ্টা করব শেহজাদকে সুন্দর স্মৃতি উপহার দেওয়ার, যেমনটা এর আগে এখানে আব্রাহামকে দিয়েছিলাম।” 

আরো পড়ুন:

উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত: তারকাদের প্রার্থনা

বন্দী শাকিব, চোখে পানি!

সবার কাছে প্রিয় তারকা হলেও আব্রাহাম ও শেহজাদের বাবা শাকিব খান। তা স্মরণ করে এই তারকা বলেন, “সবার কাছে আমি তাদের প্রিয় তারকা, কিন্তু আব্রাহাম ও শেহজাদের কাছে তো তাদের বাবা। তাই তো অভিনয় ও অন্যান্য ব্যস্ততার ফাঁকে যেটুকু সময় পাই, ওদের দেওয়ার চেষ্টা করি। আমার জায়গা থেকে ওদের জন্য যা যা প্রয়োজন সবই করি, করেও যাব। আব্রাহাম ও শেহজাদ আমার ভালোবাসা, শক্তি ও প্রেরণা। যেহেতু এবার শেহজাদ তার মায়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে আসছে, আমিও আমার কাজে এখানে আছি, তাই বাবা-ছেলের একান্তে সময় কাটবে।” 

এর আগে বড় ছেলে আব্রাহাম খান জয়কে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ছুটি কাটান শাকিব খান। সেই সময়ে বাবা-ছেলের সঙ্গে ছিলেন অপু বিশ্বাসও। দুই বছর আগে শাকিব খান এ বিষয়ে বলেছিলেন, “আমার বড় সন্তান আব্রাহামকে নিয়ে আমেরিকায় সময় কাটিয়েছি। আব্রাহাম ও শেহজাদের জন্য সব সময় আমার ভালোবাসা আছে। আব্রাহামকে সুন্দর মেমোরি দেওয়ার চেষ্টা করেছি, আগামীতে শেহজাদও যাবে। তার প্রতিও আমার সমান ভালোবাসা থাকবে।” এবার সেই কথা রাখতে যাচ্ছেন ঢালিউড কিং শাকিব খান। 

 

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অপ ব শ ব স য ক তর ষ ট র শ হজ দ র দ র জন

এছাড়াও পড়ুন:

পরিবেশের ক্ষতি না করে সমন্বিত যোগাযোগব্যবস্থা তৈরির আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস প্রকৃতি, পরিবেশ ও নদীকে নেতিবাচক প্রভাব থেকে মুক্ত রেখে সড়ক, রেল, বিমান ও নৌপথের সম্মিলিত উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ‘সেন্ট্রাল ইন্টিগ্রেটেড মাল্টিমোডাল ট্রান্সপোর্ট সেক্টর মাস্টারপ্ল্যান অব বাংলাদেশ’–সংক্রান্ত প্রান্তিক মূল্যায়ন ও কৌশলগত পরিকল্পনাবিষয়ক আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও পদস্থ কর্মকর্তারা।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের যোগাযোগব্যবস্থা খুবই হযবরল অবস্থায় রয়েছে। এটাকে দ্রুত শৃঙ্খলার মধ্যে আনা না গেলে পুরো ব্যবস্থাটা অর্থনীতির জন্য গলার ফাঁসে পরিণত হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘পরিবেশের কোনো ক্ষতি না করেই আমাদের কাজটা করতে হবে। নদীর ওপর কোনো আঘাত করা যাবে না, পানিকে শান্ত রাখতে হবে, মনে রাখতে হবে পানি আমাদের জন্য বিরাট সম্পদ।’

বৈঠকে সড়ক ও জনপথ বিভাগ একটি প্রাথমিক কৌশলগত পরিকল্পনা উপস্থাপন করে, যা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা পারস্পরিক সমন্বয়ের ভিত্তিতে তৈরি করেন।

এই পরিকল্পনায় কীভাবে সারা দেশের সব ধরনের যোগাযোগব্যবস্থার সমন্বয়, প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে অল্পবিস্তর সংস্কার ও সংযোজনের মাধ্যমে পুরো যোগাযোগব্যবস্থাকে শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসা যায় তা দেখানো হয়। এতে বলা হয়, দেশে বর্তমানে থাকা রেলপথ, নৌপথ ও সড়কপথের যথাযথ ব্যবহার ও কিছু ক্ষেত্রে কিছুটা বাড়ানো গেলে এ ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি করা সম্ভব।

যোগাযোগ খাতের সব কটি ব্যবস্থাকে সমন্বয়ের মাধ্যমে পরিকল্পনা প্রণয়ন করায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই পরিকল্পনার ফলে প্রাথমিকভাবে একটি শক্তিশালী ধারণা পাওয়া গেল। এখন এটিকে বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, পুরো পরিকল্পনাটা করতে হবে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিকে মাথায় রেখে। অভ্যন্তরীণ পরিকল্পনার পাশাপাশি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক যোগাযোগব্যবস্থার ওপরও গুরুত্ব দিতে হবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যখন যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে নদীর কথা চিন্তা করব, তখন অবশ্যই আমাদের মাথায় রাখতে হবে—নদীগুলো আমাদের প্রাণ।’ পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, যেসব ক্ষেত্রে ছোট ছোট কিছু সড়ক নির্মাণ করে দিলেই পুরো অঞ্চলটাকে জাতীয় কানেক্টিভিটির মধ্যে নিয়ে আসা সম্ভব, সেসব ক্ষেত্রে দ্রুত পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে।

স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের কাজগুলোকে আরও পরিকল্পিতভাবে করার লক্ষ্যে একই বিভাগে একটি প্ল্যানার্স উইং গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয়।

প্রাথমিক পরিকল্পনার বিষয়ে আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন বলেন, যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি সামষ্টিক মডেল দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এমনভাবে কাজ করা হচ্ছে, যার মাধ্যমে যেন অর্থনৈতিক লাইফলাইনটা গড়ে ওঠে।

বিডা চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে চট্টগ্রামে আরও তিনটি নতুন বন্দর চালু হবে। এটাকে বিবেচনায় রেখে অবশ্যই এসব বন্দর থেকে সড়ক যোগাযোগ যেন সহজ ও কার্যকর হয়, সে বিষয়ে দ্রুততার সঙ্গে উদ্যোগ নিতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ