রাতের আকাশের সবচেয়ে উজ্জ্বল তারা হলো বেটেলজিউস। উজ্জ্বল এ তারাকে প্রচলিত বাংলায় ডাকা হয় আর্দ্রা নামে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ের জেমিনি নর্থ টেলিস্কোপ ব্যবহার করে আর্দ্রা তারাকে প্রদক্ষিণ করা ছোট একটি তারার খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, দৈত্যকার আর্দ্রা তারা ২০১৯ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে পাঁচ মাস নাটকীয়ভাবে ম্লান হয়ে গিয়েছিল। তখন ধারণা করা হয়েছিল, তারাটি শিগগিরই হয়তো কোনো সুপারনোভা বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়ে যাবে। নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, গ্রেট ডিমিং নামে পরিচিত সেই ঘটনার সময় নক্ষত্রের পৃষ্ঠ থেকে নির্গত উপাদানের কারণে তৈরি একটি ধুলার মেঘের কারণে আর্দ্রা তারার আলো ম্লান হয়েছিল।

দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটার্সে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, সঙ্গী তারার ভর আমাদের সূর্যের চেয়ে প্রায় ১ দশমিক ৫ গুণ বেশি। পৃথিবী সূর্য থেকে যত দূরে, তার চেয়ে ৪ গুণ দূরে আর্দ্রার সঙ্গী তারার অবস্থান। এ বিষয়ে জেমিনি অবজারভেটরি পরিচালনাকারী বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই আবিষ্কারের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো কোনো একটি অতিকায় তারাকে প্রদক্ষিণ করা অন্য তারা শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। আদ্রা সূর্যের চেয়ে ১০ হাজার গুণেরও বেশি উজ্জ্বল।

গবেষক দলের প্রধান নাসার বিজ্ঞানী স্টিভ হাওয়েল জানান, আর্দ্রার উজ্জ্বলতার কারণে প্রদক্ষিণ করা ছোট তারাটির ছবি তোলা যায় না। জেমিনি নর্থ টেলিস্কোপ স্পেকল ইমেজিং নামের একটি কৌশল ব্যবহার করে আকারে ছোট ও ম্লান তারাটিকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আর দ র

এছাড়াও পড়ুন:

বিনষ্ট করা বাবুই পাখির বাসা প্রতিস্থাপন 

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় বিনষ্ট করা ৩০টি বাবুই পাখির বাসা এবং ২০টি বাবুই পাখির ডিম প্রতিস্থাপন করেছে বন বিভাগ। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকালে উপজেলার উত্তর আমখোলা গ্রামের তাল গাছে এ সব বাসা প্রতিস্থাপন করা হয়। 

বুধবার (৩০ জুলাই) ওই গ্রামের কৃষক সিদ্দিক মোল্লা এ সব বাসা বিনষ্ট করেন। বাসা প্রতিস্থাপনের সময় গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান, পটুয়াখালী উপকূলীয় বন বিভাগের উপ বন সংরক্ষক সফিকুল ইসলাম ও এনিমেল লাভারস অফ পটুয়াখালীর সাপ ও বন্যপ্রাণী উদ্ধার কর্মী আসাদুল্লাহ হাসান মুসা উপস্থিত ছিলেন। 

আসাদুল্লাহ হাসান মুসা বলেন, ‘‘কৃষক সিদ্দিক মোল্লার ধানক্ষেতের পাশের তালগাছে বাবুই পাখি এসব বাসা বুনন করেছিল। কৃষক সিদ্দিক মোল্লা এ সব বাসা বিনষ্ট করেন। আমরা খবর শোনামাত্র বিষয়টি বন বিভাগকে অবহিত করি। পরে আজ বাসাগুলো প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।’’ 

আরো পড়ুন:

প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা

তালগাছ কেটে শতাধিক বাবুই পাখির ছানা হত্যায় ২ মামলা

পটুয়াখালী উপকূলীয় বন বিভাগের উপ বন সংরক্ষক সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘বাসাগুলো ওই কৃষকের ধানক্ষেত সংলগ্ন তালগাছে বুননের কারণে তিনি বিনষ্ট করেছেন। তার পরিবার হতদরিদ্র। তিনি আর বাবুই পাখির বাসা বিনষ্ট করবেন না মর্মে মুচলেখা দিলে তাকে ছেড়ে দেয়া হয় এবং বাসাগুলো প্রতিস্থাপন করা হয়।’’ 

গত মাসে ঝালকাঠিতে তালগাছ কেটে শতাধিক বাবুই পাখির বাসা ধ্বংস ও ছানা হত্যার ঘটনা নিয়ে সমলোচনা হয় এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
 

ঢাকা/ইমরান/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ