জ্যোতির্বিজ্ঞানবিষয়ক আয়োজন ‘এপেক্স অ্যাস্ট্রো-অলিম্পিয়াড’-এর ২০তম আসরের জাতীয় বাছাইয়ে ৩০ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। তাদের মধ্য থেকে ২৯ ও ৩০ জুলাই পাঁচজনকে চূড়ান্তভাবে বাছাই করা হবে। তারা আগামী সেপ্টেম্বর রাশিয়ায় অনুষ্ঠেয় ওপেন ওয়ার্ল্ড অ্যাস্ট্রোনমি অলিম্পিয়াডে অংশ নেবে।

আজ শনিবার সকালে রাজধানীর আফতাবনগরের ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জাতীয় বাছাই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে স্কুল ও কলেজের ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেয়। দিনব্যাপী পরীক্ষা শেষে বিকেলে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারপারসন অধ্যাপক মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, দেশের প্রায় ৫ কোটি মানুষ ১৫-৩০ বছরের তরুণ। তাঁদের বিজ্ঞান, কারিগরি ও প্রযুক্তিতে পারদর্শী করতে পারলে সসীম সম্পদ ও সীমিত এলাকা নিয়েও অসাধারণ অগ্রগতি সম্ভব।

আন্তর্জাতিক অ্যাস্ট্রোনমি অলিম্পিয়াডের চেয়ারম্যান মিখাইল গাব্রিলভ বলেন, মহাবিশ্ব ও প্রকৃতিকে জানার বেশ আকর্ষণীয় উপায় জ্যোতির্বিজ্ঞান। এখানকার সবাই ভবিষ্যতে বিজ্ঞানী হবে না, কিন্তু সবাই বিজ্ঞানের সমুদ্রে অনেক ভালো অভিজ্ঞতা লাভ করবে।

স্বাগত বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শামস রহমান বলেন, ‘শুধু মাটির নিচের ও ওপরের সম্পদ নিয়েই আমরা কাজ করি। ইদানীং ব্লু ইকোনমি (সুনীল অর্থনীতি) নিয়েও বাংলাদেশ কিছু কাজ করছে। কিন্তু মহাকাশে কী আছে, সে ব্যাপারে আমরা অনেকটাই পিছিয়ে। আমার বিশ্বাস, শুধু বিলাসিতা নয়, মানবজাতির জন্য সেই সম্পদ আহরণে যে জ্ঞান দরকার, নিজেদের স্বপ্নপূরণের জন্যই তাঁরা সেটা অর্জন করবে। আজকে উপস্থিত শিক্ষার্থীরাই ভবিষ্যতে এই পথে নেতৃত্ব দেবে।’

জাদুশিল্পী জুয়েল আইচ বলেন, বিজ্ঞানী হওয়া খুব বড় কথা নয়, বিজ্ঞানমনস্ক হওয়াই বড় কথা। প্রযুক্তির কিছু জিনিস শিখলে যে কেউ বিজ্ঞানী হতে পারে। কিন্তু বিজ্ঞানমনস্ক হতে হলে অনেক কিছু জানতে হবে, পড়তে হবে। বিশ্বকে বুঝতে হবে। দর্শন, সাহিত্য, সংস্কৃতিও বুঝতে হবে।

পুরস্কার বিজয়ী শিক্ষার্থীরা ফটোসেশনে অংশ নেয়। ঢাকা, ২৬ জুলাই.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

উৎসব ঘুরে প্রেক্ষাগৃহে ‘বাড়ির নাম শাহানা’

কৈশোর পেরোনোর আগেই শাহানাবাড়ির মেয়ে দীপার বিয়ে হয়ে যায়। স্বামীর নির্যাতনের জাল ছিঁড়ে নিজের মতো করে বাঁচতে চেয়েছেন তিনি। নব্বইয়ের দশকের পটভূমিতে দীপার বেঁচে থাকার লড়াইয়ের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বাড়ির নাম শাহানা।

সত্য কাহিনি অবলম্বনে নির্মিত বাড়ির নাম শাহানায় দীপা চরিত্রে অভিনয় করেছেন আনান সিদ্দিকা। ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে কমলা কালেক্টিভ ও গুপী বাঘা প্রোডাকশন্স লিমিটেড।

নির্মাণের বাইরে লীসা গাজী লেখক, নাট্যকর্মী হিসেবে পরিচিত

সম্পর্কিত নিবন্ধ