যে কারণে কেবল ভুঁড়ি কমানোর ব্যায়াম যথেষ্ট নয়
Published: 27th, July 2025 GMT
পেটের মেদ সহজে চোখে পড়ে। তবে দেহে যখন মেদ জমে, তা কেবল এই একটা জায়গাতেই জমে না। বরং দেহের বিভিন্ন অংশে জমা হতে থাকে। সবচেয়ে ক্ষতিকর হলো দেহের ভেতরকার অঙ্গপ্রত্যঙ্গের আশপাশে জমা হওয়া মেদ। এই মেদ বাইরে থেকে খুব একটা বোঝা যায় না, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি রোগের ঝুঁকি বাড়ে এর কারণেই। তাই এমন ব্যায়াম করা উচিত, যাতে এই মেদও কমানো যায়। এ ছাড়া কেবল ভুঁড়ি কমানোর ব্যায়ামগুলোর চর্চায় ভুঁড়িও কমে না খুব একটা। এ প্রসঙ্গে বলছিলেন রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেডের মেডিসিন বিভাগের অ্যাসোসিয়েট কনসালট্যান্ট ডা.
তাসনোভা মাহিন।
শরীরের যেকোনো জায়গার মেদ কমাতে হলে আপনাকে অবশ্যই বেশ খানিকটা ক্যালরি খরচ করতে হবে। কেবল নির্দিষ্ট স্থানের মেদ ঝরানোর ব্যায়াম করলে ততটা ক্যালরি পোড়াতে পারবেন না। মেদও কমবে না। বরং ওই নির্দিষ্ট ব্যায়ামে যেসব পেশি ব্যবহার করা হয়, কেবল সেগুলো কিছুটা শক্তিশালী হয়ে উঠবে। কিছুদিন ভুঁড়ি কমানোর ব্যায়াম করলে পেটের পেশিগুলো কিছুটা দৃঢ় হয়ে উঠবে। আপাতদৃষ্টে নিজেকে আগের চেয়ে ‘ফিট’ মনে করতে পারেন আপনি। তবে শুধু এই চর্চায় আদতে ভুঁড়ি কমে না। আর এই ব্যায়ামে পেশি যতটা সুগঠিত হতে পারত, মেদ রয়ে যাওয়ার কারণে পেশি ততটা সুগঠিত হয়ও না।
আরও পড়ুনমাছ ধরার জাহাজের প্রধান বাবুর্চি এখন কনটেন্ট ক্রিয়েটর, তাঁর ভিডিও হয়তো আপনিও দেখেছেন১৯ ঘণ্টা আগেযেভাবে ব্যায়াম করবেনভুঁড়ি কমানোর জন্য আপনি বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম করতে পারেন। সবদিক থেকে ‘ফিট’ থাকার জন্য কার্ডিও এক্সারসাইজ জরুরি। জগিং, দৌড়, দ্রুতগতির হাঁটা—ভুঁড়ি কমাতে কাজে লাগবে সবই। মেদ কমাতে সাইকেল চালানো, দড়িলাফ, ভার উত্তোলন আর সাঁতার কাটা দারুণ ব্যায়াম। এগুলো ছাড়াও পেটের মেদ কমানোর জন্য বিভিন্ন রকম ক্রাঞ্চ, প্ল্যাঙ্ক বা টুইস্টও করতে পারেন। ঘোরাতে পারেন হুলা হুপ। হাই ইনটেনসিটি ইন্টারভ্যাল এক্সারসাইজের চর্চা করতে পারেন, যেখানে দ্রুতগতির বা তীব্র ধরনের ব্যায়ামের মাঝের বিরতিতে হালকা গতিতে ব্যায়াম করতে হয়। তবে মনে রাখবেন, সব ব্যায়াম সবার জন্য উপযোগী নয়। আর সবার জন্যই যে সব ব্যায়াম আবশ্যক, তেমনটাও নয়। ব্যায়াম শুরু করার আগে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া ভালো। নিজে শুরু করতে গেলেও অবশ্যই হালকা ধরনের ব্যায়াম দিয়ে শুরু করুন। কিছু দিন পরপর দেহের প্রয়োজন বুঝে ব্যায়ামের তীব্রতা বাড়াতে পারবেন।
আরও পড়ুনহেডলাইটের আলোতে দেখি রেললাইনের ওপর হাতি১১ ঘণ্টা আগেখাবার খাবেন বুঝেশুনেযেকোনো মেদ কমাতে ক্যালরি গ্রহণ সীমিত রাখাও আবশ্যক। চিনি এড়িয়ে চলা খুব জরুরি। শর্করাজাতীয় যেকোনো খাবারই কমিয়ে দেওয়া প্রয়োজন। আঁশসমৃদ্ধ খাবার এবং আমিষ গ্রহণ করুন পর্যাপ্ত পরিমাণে। পানিও খাবেন ঠিকঠাক। ছোট ছোট এসব বিষয় খেয়াল রাখলে ভুঁড়ি কমানো সহজ হবে। কী খাবেন, কতটা খাবেন আর কী খাবেন না—এই বিষয়গুলো পুষ্টিবিদের কাছ থেকে জেনে নিতে পারেন। বিস্কুট, শিঙাড়া, পুরি প্রভৃতি ‘হালকা’ নাশতা যে আদতে হালকা নয়, সেটি মাথায় রাখুন।
আরও পড়ুনদিনে কতবার প্রস্রাব হওয়া স্বাভাবিক১৪ ঘণ্টা আগেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব য য় ম কর র জন য ম দ কম কম ন র
এছাড়াও পড়ুন:
হামাসকে অস্ত্রত্যাগে ও গাজার শাসন ছাড়তে সৌদি, কাতার, মিসরের আহ্বান
ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ বন্ধে এ ভূখণ্ডে হামাসের শাসনের অবসান ঘটানো এবং সংগঠনটিকে নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান জানিয়েছে কাতার, সৌদি আরব ও মিসরসহ একাধিক আরব দেশ।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকটের দ্বি–রাষ্ট্রীয় সমাধানের প্রস্তাব পুনরুজ্জীবিত করতে গতকাল মঙ্গলবার জাতিসংঘের উদ্যোগে নিউইয়র্কে সংস্থাটির সদর দপ্তরে একটি সম্মেলন আয়োজন করা হয়। সেখানেই গৃহীত সাত পৃষ্ঠার একটি ঘোষণাপত্রে এ আহ্বান জানানো হয়। ঘোষণাপত্রটিকে সমর্থন করেছে ১৭টি দেশ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আরব লিগ।
ঘোষণায় বলা হয়, ‘গাজায় যুদ্ধ বন্ধে হামাসকে অবশ্যই তার শাসন (এ উপত্যকায়) শেষ করতে হবে এবং আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ ও সমর্থনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে। এটি একটি সার্বভৌম ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ।’
ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, কানাডাসহ অন্যান্য পশ্চিমা দেশ এ ঘোষণায় স্বাক্ষর করে। এতে যুদ্ধ শেষে গাজায় স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে বিদেশি সেনা মোতায়েনের সম্ভাবনার কথাও বলা হয়। সম্মেলনে ইসরায়েল ও তার প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র অংশ নেয়নি।আগের দিন, জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি প্রতিনিধিদল ইসরায়েল ও হামাস উভয়কে গাজা ত্যাগ করার আহ্বান জানায়; যাতে সাগর উপকূলবর্তী এ অঞ্চলটি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পরিচালিত হতে পারে।
আরও পড়ুনগাজায় ত্রাণপ্রত্যাশী ৯৩ জনকে হত্যা ইসরায়েলি বাহিনীর, যুদ্ধের বর্বরতার নিন্দায় পোপ২১ জুলাই ২০২৫ঘোষণায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলারও নিন্দা জানানো হয়। তবে এ বিষয়ে এখনো জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ আনুষ্ঠানিকভাবে নিন্দা জানায়নি। সম্মেলনের সহআয়োজক ফ্রান্স ঘোষণাপত্রটিকে ‘ঐতিহাসিক ও নজিরবিহীন’ বলে উল্লেখ করেছে।
আরও পড়ুনগাজায় হামলার নিন্দা জানালেও ইসরায়েলের সঙ্গে কেন বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে এসব দেশ১৮ ঘণ্টা আগেফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাঁ-নোয়েল বারো বলেন, ‘প্রথমবারের মতো মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলো হামাসের নিন্দা জানিয়েছে, ৭ অক্টোবরের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে, হামাসকে নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি শাসন থেকে তাদের বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ও ভবিষ্যতে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ইচ্ছা স্পষ্টভাবে জানিয়েছে।’
প্রথমবারের মতো মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলো হামাসের নিন্দা জানিয়েছে, ৭ অক্টোবরের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে, হামাসকে নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি শাসন থেকে তাদের বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ও ভবিষ্যতে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ইচ্ছা স্পষ্টভাবে জানিয়েছে।জ্যাঁ-নোয়েল বারো, ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রীফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, কানাডাসহ অন্যান্য পশ্চিমা দেশ এ ঘোষণায় স্বাক্ষর করে। এতে যুদ্ধ শেষে গাজায় স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে বিদেশি সেনা মোতায়েনের সম্ভাবনার কথাও বলা হয়। সম্মেলনে ইসরায়েল ও তার প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র অংশ নেয়নি।
আরও পড়ুনগাজায় ‘এখনই যুদ্ধ থামাতে’ যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সসহ ২৮ দেশের আহ্বান২২ জুলাই ২০২৫আরও পড়ুনইসরায়েলের স্নাইপাররা এমনভাবে গুলি ছুড়ছিলেন, যেন পশু শিকার করছেন: গাজার বাসিন্দা২১ জুলাই ২০২৫