নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের প্রতিবাদ করায় মাদারীপুরের দুর্গম চরাঞ্চলের চারটি বাড়িতে হামলা হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ৭০-৮০ জন ব্যক্তি হামলা চালান। তারা বাড়িগুলো ভাঙচুর করার পাশাপাশি জিনিসপত্র লুট করেন এবং হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটান। 

গত শুক্রবার (২৫ জুলাই) রাতে ঝাউদি ইউনিয়নের হোগল পাতিয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। 

আরো পড়ুন:

সচিবালয়ে হামলার মামলায় গ্রেপ্তার ৪

ঝালকাঠিতে এনজিও কর্মীকে কুপিয়ে পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন

স্থানীয়দের অভিযোগ জানান, নদী এবং কাঁচা রাস্তা পাড় হয়ে হোগল পাতিয়া গ্রামে যেতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগে। প্রতিরাতে অন্তত ১০ লাখ টাকার বালু অবৈধভাবে নদী থেকে উত্তোলন করছেন ইউপি চেয়ারম্যান এবং কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সদর উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম আবুল। বালু উত্তোলনের কারণে আড়িয়াল খাঁ নদে সম্প্রতি ভাঙন দেখা দেয়। যে কারণে বালু উত্তোলনের প্রতিবাদ করেন গ্রামের বাসিন্দারা।

ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেনের নেতৃত্বে গত শুক্রবার রাতে শামিম আকন, মিরাজ আকনসহ ৭০ থেকে ৮০ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হোগল পাতিয়া গ্রামের বাসিন্দা আক্তার বেপারী, গিয়াস বেপারী ও জলিল বেপারীর পরিবারের চারটি বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করেন। তারা আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য অসংখ্য বোমার বিস্ফোরণ ঘটান।

ক্ষতিগ্রস্ত আক্তার বেপারী বলেন, “ওরা অতর্কিতে আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়। ঘরের দরজা-জানালা ভেঙে সব কিছু লুট করে নিয়ে গেছে। বোমা নিক্ষেপ করেছে। আমাদের কাছে কোনো নিরাপত্তা নেই, প্রশাসনের কাছে আমরা বিচার চাই।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চরের এক নারী জানান, ৭০-৮০ জন সন্ত্রাসী এসে প্রথমে বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। এরপর বাড়ির পুরুষ সদস্যরা পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন। হামলাকারীরা বাড়ি লুট ও ভাঙচুর করে। এরা প্রতিদিন নদী থেকে লাখ লাখ টাকার বালু অবৈধভাবে উত্তোলন করে বিক্রি করে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেনের বাড়িতে গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি। ফোনও বন্ধ রয়েছে।

মাদারীপুর সদর থানার ওসি আদিল হোসেন জানান, পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা/বেলাল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ