হবিগঞ্জের সাবেক ডিসি-এডিসিসহ ৪ কর্মকর্তাকে কারাদণ্ড, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
Published: 27th, July 2025 GMT
১৭ বছর আগে করা আদালত অবমাননার মামলায় হবিগঞ্জের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকসহ (এডিসি) চার সরকারি কর্মকর্তাকে এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। আজ রোববার বিকেলে হবিগঞ্জের জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ তারেক আজিজ এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ড পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন হবিগঞ্জের তৎকালীন ডিসি মো.
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি হবিগঞ্জ শহরের চৌধুরী বাজার এলাকায় একটি জমিতে উচ্ছেদ অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন। তখন জমির দখলকার আবদুল হামিদ জমির ওপর আদালতের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ডিক্রি আছে বলে দাবি করেন। কিন্তু প্রশাসন সেটি না মেনে উচ্ছেদ অভিযান চালায়। এতে সংক্ষুব্ধ হয়ে আবদুল হামিদ অভিযানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে ২০০৮ সালের ১০ আগস্ট হবিগঞ্জের তৎকালীন ডিসি আতাউর রহমান, এডিসি এ কে এম আমিনুল ইসলাম, বানিয়াচংয়ের ইউএনও নুরে আলম সিদ্দিকী, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সফিউল আলমসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা করেন।
ওই মামলায় আজ বিকেলে রায় হয়। জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ তারেক আজিজ অভিযুক্ত ৪ সরকারি কর্মকর্তাকে এক মাসের কারাদণ্ড দেন। তাঁরা অনুপস্থিত থাকায় তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। আদালতের পেশকার সাইফুল ইসলাম রায়ের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী সুদীপ কান্তি বিশ্বাস বলেন, ১৭ বছর আগে করা মামলার রায়ে আজ আদালত চারজনকে এক মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন। বাদীকে তাঁর জমি বুঝিয়ে দিতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আগামী ২১ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর মকর ত ল ইসল ম সহক র
এছাড়াও পড়ুন:
খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্তের আহ্বান সিপিজের
খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্ত করতে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার বৈশ্বিক সংগঠন কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। দোষীদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে বলে উল্লেখ করেছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার সিপিজের এক টুইটে এ আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ডিবিসি নিউজের প্রতিনিধি মিলন ত্রিপুরা ১৭ জুলাই একটি বিক্ষোভের সংবাদ সংগ্রহ করছিলেন। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে মারধর করেন ও ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ মুছে ফেলতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।