পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আগ্রহ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) আওতাধীন আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন। প্রতিষ্ঠানটির আসন্ন বোর্ড সভায় তালিকাভুক্তির প্রস্তাব তোলা হতে পারে বলে জানিয়েছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মুমিনুল ইসলাম।

ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনের মতো সরকারি কোম্পানিগুলো আইপিও বা সরাসরি তালিকাভুক্তির মাধ্যমে অথবা বন্ড ইস্যু করে তাদের প্রয়োজনীয় তহবিল পুঁজিবাজার থেকে সংগ্রহ করতে পারে, তাতে করে সরকারের উপর তহবিল যোগানের চাপ কমবে৷ পাশাপাশি কোম্পানিগুলোতে সাধারণ জনগণের অংশীদারিত্বের মাধ্যমে করপোরেট গভর্নেন্সের উন্নয়ন ঘটবে৷

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করার সরকারের প্রচেষ্টার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানিসহ বিপিডিবির আওতাধীন লাভজনক কোম্পানিগুলোকে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত করার লক্ষ্যে ডিএসইর চেয়ারম্যান মুমিনুল ইসলাম এবং বিপিডিবি’র চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল করিমের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

আরো পড়ুন:

পুঁজিবাজারে পতন দিয়ে সপ্তাহ শুরু, কমেছে লেনদেন

নিটল ইন্স্যুরেন্সের অর্ধবার্ষিকে মুনাফা বেড়েছে

রবিবার (২৭ জুলাই) ডিএসইর প্রকাশনা ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিপিডিবির সদস্য এ এন এম ওবাইদুল্লাহ, ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মাদ আসাদুর রহমান, আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেডের (এপিএসসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার সাইয়েদ আকরাম উল্লাহ, কোম্পানি সেক্রেটারি মোহাম্মদ আবুল মনসুর, আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাজেদা খাতুন।

বৈঠকে দেশের অর্থনীতি ও পুঁজিবাজারের সামগ্রিক অবস্থা এবং ডিএসইর আধুনিকায়নের বিভিন্ন গৃহীত পদক্ষেপ তুলে ধরেন। একইসঙ্গে গ্রিন চ্যানেল বা ফার্স্ট ট্র্যাকের মাধ্যমে দ্রুত আইপিও আনার উদ্যোগের বিষয়টিও ডিএসই চেয়ারম্যান অবহিত করেন।

ডিএসই চেয়ারম্যান মুমিনুল ইসলাম উল্লেখ করেন, পাওয়ার সেক্টরের কোম্পানিগুলো গ্রিন বন্ড ইস্যু করে আন্তর্জাতিক ফান্ড ম্যানেজার কোম্পানি থেকেও পুঁজিবাজারের মাধ্যমে ফান্ড সংগ্রহ করতে পারে, এতে করে বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও দেশের পুঁজিবাজারে আরো বেশি আকৃষ্ট হবে৷ ডিএসই এপিএসসিএল-কে তালিকাভুক্তিতে সকল প্রকার প্রযুক্তিগত ও প্রশাসনিক সহায়তা দিতে প্রস্তুত।

বিপিডিবির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল করিম আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির মাধ্যমে সরকারি কোম্পানি ফান্ড সংগ্রহ করতে পারলে সরকারের উপরে অর্থনৈতিক চাপ কমে আসবে এবং কোম্পানিগুলোতে সাধারণ জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হবে। বিপিডিবির চেয়ারম্যান ডিএসইর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

এই উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.

মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশনার বাস্তবায়নের একটি বড় পদক্ষেপ। তিনি ২০২৫ সালের মে মাসে পুঁজিবাজার নিয়ে অনুষ্ঠিত সরকারের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে রাষ্ট্রায়ত্ত এবং সরকারি অংশীদারিত্বে পরিচালিত ভালো কোম্পানিগুলোকে শেয়ারবাজারে আনার নির্দেশনা দেন।

ঢাকা/এনটি/বকুল 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবস থ সরক র র ড এসইর পর চ ল ড এসই

এছাড়াও পড়ুন:

পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ১১ হাজার ১০ কোটি টাকা

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (২৬ থেকে ৩০ অক্টোবর) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। তবে বিদায়ী সপ্তাহে উভয় পুঁজিবাজারে বাজার মূলধন বেশ কমেছে  ১১ হাজার ১০ কোটি ২০ লাখ টাকা।

শনিবার (১ নভেম্বর) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৭.৬৭ পয়েন্ট বা ০.৫৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১২২ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১০.৩৪ পয়েন্ট বা ০.৫২ শতাংশ কমে ১ হাজার ৯৮৭ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৫.৯২ পয়েন্ট বা ০.৫৪ শতাংশ কমে ১ হাজার ৮২ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) ৩৩.৭২ পয়েন্ট বা ৩.৩৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯৭৬ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৫৪৭ কোটি ১১ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৫ হাজার ৩৪৩ কোটি ৩ লাখ কোটি টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৫ হাজার ৭৯৫ কোটি ৯১ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ২৮৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ১৩৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১৪৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৭টির, দর কমেছে ১৭৯টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টির। তবে লেনদেন হয়নি ২১টির।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২৭.৩৩ পয়েন্ট বা ০.৮৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ২৮৬ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ০.৫৯ শতাংশ কমে ১২ হাজার ৬৫১ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ০.৭৭ শতাংশ কমে ৮ হাজার ৮১৩ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ০.৯৮ শতাংশ কমে ৮৯৮ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) ২.৮০ শতাংশ কমে ১ হাজার ৯৪৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৭০৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৩ হাজার ৯১৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা। টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৫ হাজার ২১৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৯৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৬৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৩০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩০৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১১৫টির, দর কমেছে ১৭০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির শেয়ার ও ইউনিট দর।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ডিএসইতে সাপ্তাহিক দাম বাড়ার শীর্ষে আনোয়ার গ্যালভানাইজিং
  • ডিএসইতে সাপ্তাহিক দাম কমার শীর্ষে প্রিমিয়ার লিজিং
  • ডিএসইতে সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে সিভিও ওরিয়ন ইনফিউশন
  • ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে ১ শতাংশ
  • পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ১১ হাজার ১০ কোটি টাকা