রাজবাড়ীতে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত কৃষক আমজাদ খান (৬০) মারা গেছেন। গতকাল রোববার রাতে সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের মুচিদহ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।

নিহত আমজাদ খান ওই গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে। গত বুধবার তাঁকে কুপিয়ে জখম করেন প্রতিপক্ষের লোকজন। শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

পুলিশ জানায়, পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে বুধবার সন্ধ্যায় আমজাদ খানকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে প্রতিপক্ষ। পরদিন বৃহস্পতিবার বিকেলে আমজাদের ভাই আরিফুল আলম খান বাদী হয়ে ১৫ জনকে আসামি করে সদর থানায় একটি মামলা করেন। পুলিশ ওই রাতেই সোহেল মণ্ডল নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেলে বাড়ির সামনে স্থানীয় সোহেল, সবুজ ও তাঁদের সহযোগীদের সঙ্গে আমজাদ খান ও তাঁর সহযোগীদর কথা–কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে সন্ধ্যায় আমজাদ খান বাড়ি থেকে বের হয়ে রাস্তায় গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন।

আরিফুল আলম খান জানান, তাঁর ভাইকে (আমজাদ) উদ্ধার করে প্রথমে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে শুক্রবার ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁকে ফিরিয়ে আনা হয়। পরে তাঁকে ঢাকার আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার বিকেলে মারা যান।

রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান বলেন, নিহত আমজাদ খানের লাশ গতকাল সন্ধ্যায় বাড়িতে আনা হয়। রাতেই পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়। মামলাটি ৩০২ ধারা যুক্ত করে গতকাল প্রতিবেদন আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় সোহেল মণ্ডল নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আমজ দ খ ন অবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

কবরস্থানে নবজাতক রেখে যাওয়া সেই ব্যক্তি আটক

ছবি: সংগৃহীত

সম্পর্কিত নিবন্ধ