হেপাটাইটিস বা যকৃতে প্রদাহ বা সংক্রমণ যকৃতের সবচেয়ে পরিচিত সমস্যা। নানা ভাইরাস সংক্রমণে যকৃতে প্রদাহ হয়ে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে হেপাটাইটিস এ, বি, সি ও ই। এর মধ্যে কিছু প্রদাহ হয় স্বল্পমেয়াদি, যেমন হেপাটাইটিস এ এবং ই। আবার কোনো কোনো ভাইরাসে দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহ হয়, যা থেকে সিরোসিস, এমনকি লিভার ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। হেপাটাইটিস গোত্রের ভাইরাসের সঙ্গে কিছু জীবাণুও লিভারে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে।

কেন হয় হেপাটাইটিস

নানা কারণে হেপাটাইটিস হয়ে থাকে। এর মধ্যে জীবাণু, বিশেষ করে কিছু ভাইরাস এর জন্য দায়ী। হেপাটাইটিস এ এবং ই দূষিত পানির মাধ্যমে ছড়ায়। হেপাটাইটিস বি এবং সি ছড়ায় রক্তের মাধ্যমে। এ ছাড়া অ্যালকোহল এবং কিছু ওষুধের কারণেই হেপাটাইটিস হতে পারে। বর্তমানে হেপাটাইটিসের একটি বড় কারণ ফ্যাটি লিভার ডিজিজ, যাকে স্টিয়াটোহেপাটাইটিসও বলা হয়। সতর্ক ও সচেতন থাকলে বেশির ভাগ হেপাটাইটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব।

কীভাবে বাঁচবেন

বিশুদ্ধ পানি ও দূষণমুক্ত খাবার গ্রহণের মাধ্যমে হেপাটাইটিস এ এবং ই-এর সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। বাইরের খোলা ও অনিরাপদ খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।

হেপাটাইটিস বি এবং সি রক্তবাহিত হয়ে শরীরে প্রবেশ করে। তাই রক্তের প্রয়োজন হলে নিরাপদ রক্ত নিতে হবে। এ ছাড়া যেকোনো সার্জারি বা ইনভেসিভ প্রসিডিউর নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য চিকিৎসাকেন্দ্রে করাতে হবে। কারণ, এসবের মাধ্যমেও এ দুটি ভাইরাস ছড়াতে পারে। নিরাপদ যৌনাভ্যাসও জরুরি।

আরও পড়ুনদিনে কতবার প্রস্রাব হওয়া স্বাভাবিক২৬ জুলাই ২০২৫

হেপাটাইটিস বি-এর টিকা রয়েছে যা সুলভ মূল্যে পাওয়া যায়। তাই প্রত্যেকের উচিত এই টিকা গ্রহণ করা। এতে করে ঝুঁকি কমে। অ্যালকোহল সেবন যকৃতের ক্ষতি করে। এ ছাড়া না জেনে বুঝে ওষুধ খেলেও ক্ষতি হতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ খাবেন না।

ফ্যাটি লিভার আজকাল অনেক বেড়ে যাচ্ছে এবং হেপাটাইটিসের অন্যতম কারণ হয়ে উঠছে। ফ্যাটি লিভারের তেমন কার্যকর ওষুধ নেই। তাই সুস্থ জীবনযাপনই ভরসা। ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। করতে হবে নিয়মিত কায়িক শ্রম। সুষম পুষ্টিকর খাদ্যভ্যাস জরুরি।

আরও পড়ুনকিডনি ভালো রাখতে যে ৩টি খাবার খাবেন৪ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হ প ট ইট স এ হ প ট ইট স ব ন র পদ

এছাড়াও পড়ুন:

ইরান পারমাণবিক স্থাপনাগুলো আরো শক্তিশালী করে পুনর্নির্মাণ করবে

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান জানিয়েছেন, তেহরান তার পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে ‘আরো শক্তিশালী করে’ পুনর্নির্মাণ করবে। রবিবার সরকারি সংবাদমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।

ইরানের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, তার দেশ পারমাণবিক অস্ত্রের সন্ধান করছে না।

সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, জুন মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে স্থাপনাগুলোতে বোমা হামলা চালিয়েছিল সেগুলো পুনরায় চালু করার চেষ্টা করলে তেহরান ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে নতুন করে হামলার নির্দেশ দেবেন।

ইরানের প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে বলেন, “ভবন ও কারখানা ধ্বংস আমাদের জন্য কোনো সমস্যা তৈরি করবে না, আমরা আরো শক্তির সাথে পুনর্নির্মাণ করব।”

জুনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়েছিল। ওই সময় ওয়াশিংটন বলেছিল, স্থাপনাগুলো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির লক্ষ্যেএকটি কর্মসূচির অংশ ছিল। তবে তেহরান জানিয়েছিল, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণরূপে বেসামরিক উদ্দেশ্যে।

ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রমের প্রসঙ্গে পেজেশকিয়ান বলেছেন, “এগুলো জনগণের সমস্যা সমাধানের জন্য, রোগের জন্য, জনগণের স্বাস্থ্যের জন্য।”

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ