ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা মালিক ও চালকদের ডাকা ধর্মঘট। সোমবার (২৮ জুলাই) সকাল থেকে তারা গাড়ি চলাচল বন্ধ রেখে আন্দোলন করছেন। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।

গত শনিবার (২৬ জুলাই) জেলা সিএনজিচালিত অটোরিকশা পরিবহন মালিক সমিতির জরুরি বৈঠকে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়।

আরো পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অটোরিকশার চালকদের কর্মবিরতি, যাত্রীদের দুর্ভোগ

আরো পড়ুন:

জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে চলাচল উপযোগী হলো সখিপুর-ভালুকা সড়ক

সড়কে গর্ত, চলাচলে দুর্ভোগ

সড়কে ট্রাফিক পুলিশের লাগাতার হয়রানি, সিএনজি অটোরিকশা আটক এবং ছাড়ানোর জন্য মোটা অংকের টাকা দাবির প্রতিবাদে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয় বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

পথচারীরা জানান, আজ সকাল থেকে জেলার সিএনজিচালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ডগুলো থেকে কোনো অটোরিকশা চলছে না। চালক ও মালিকরা স্ট্যান্ডে বসে ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করছেন। জেলার বিভিন্ন স্থানে সড়কে অবরোধ সৃষ্টি করে যান চলাচলে বাধা দিচ্ছেন অটোরিকশাচালক ও মালিকরা। এ কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। উপায় না পেয়ে অনেকেই পায়ে হেঁটে গন্তব্যে ছুটছেন।  ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইকে গন্তব্যে যেতে অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।

জেলা সিএনজিচালিত অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হেফজুল করিম জানান, দীর্ঘদিন ধরে অটোরিকশার লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ রয়েছে। এ সুযোগে পুলিশ প্রতিনিয়ত গাড়ি আটকে হয়রানি করে। গাড়ি ছাড়ানোর জন্য মোটা অংকের টাকা দাবি করে ট্রাফিক পুলিশ। এ নিয়ে অভিযোগ জানিয়েও প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। এসব কারণে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।

গতকাল রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক বলেছিলেন, ‘‘ট্রাফিক পুলিশ যানজট নিরসনে কাজ করে যাচ্ছে। যাদের কাগজপত্র নেই বা রেজিস্ট্রেশন ছাড়া চলছে, তাদের গাড়ি আটক করা হচ্ছে। কাগজপত্র আনলে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। যাদের কাগজপত্র আছে, তারা নির্বিঘ্নে চলতে পারছেন।’’ 

তিনি আরো বলেন, ‘‘তারা চাচ্ছেন, তাদের কোনো গাড়ি যেন আমরা না ধরি। ট্রাফিক পুলিশ যেন কোনো ব্যবস্থা নিতে না পারে। এটা তো হয় না।’’ 

ঢাকা/মনিরুজ্জামান/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন ব র হ মণব

এছাড়াও পড়ুন:

পিএইচডি গবেষকদের জন্য বৃত্তি চালু করা হবে: জবি উপাচার্য

থিসিস শিক্ষার্থীদের গবেষণা সহায়তার পাশাপাশি পিএইচডি গবেষকদের জন্যও অনুরূপ বৃত্তি চালুর ঘোষণা দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম।

রবিবার (২ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের থিসিস শিক্ষার্থীদের মধ্যে গবেষণা সহায়তা হিসেবে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।

আরো পড়ুন:

সুদানে গণহত্যার প্রতিবাদে জাবি ও জবিতে মানববন্ধন

ইবিতে কুরআন ও হিজাববিরোধী মন্তব্যের প্রতিবাদ শিক্ষার্থীদের

অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একাডেমিক ও গবেষণামুখী শিক্ষার্থীদের জন্য শুভেচ্ছা ও দোয়ার নিদর্শনস্বরূপ কিছু করতে পারায় আমরা আনন্দিত। আমরা থিসিস শিক্ষার্থীদের গবেষণা সহায়তার পাশাপাশি খুব শিগগিরই পিএইচডি গবেষকদের জন্যও অনুরূপ বৃত্তি চালু করব।”

তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক একাডেমিক পরিবেশ উন্নয়ন ও গবেষণার পরিধি বাড়াতে প্রশাসন অব্যাহতভাবে কাজ করছে। গবেষণার সুযোগ বাড়াতে এবং শিক্ষার্থীদের আগ্রহ সৃষ্টিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা করবে।”

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন বলেন, “গবেষণার মানোন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের থিসিসে আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্যে এ ধরনের অনুদান প্রদান একটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ। অনুদানের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করবে।”

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. শেখ রফিকুল ইসলাম।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের আওতায় প্রতিটি থিসিস শিক্ষার্থী ১৪ হাজার ১২৪ টাকা করে অনুদান পাবেন। এ অর্থ শুধু গবেষণাসংক্রান্ত কাজে ব্যয়যোগ্য এবং ‘থিসিস শিক্ষার্থীদের বৃত্তি’ হিসেবে বিবেচিত হবে।

অনুষ্ঠানে প্রতিটি অনুষদ থেকে দুজন করে শিক্ষার্থী উপাচার্যের কাছ থেকে চেক গ্রহণ করেন। অবশিষ্ট শিক্ষার্থীরা আগামীকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তর থেকে পরিচয়পত্র বা প্রবেশপত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে চেক সংগ্রহ করতে পারবেন।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউট পরিচালক, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, প্রাধ্যক্ষ এবং বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ