প্রয়াত বিএনপি নেতা মাহমুদের স্মরণে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির দোয়া
Published: 28th, July 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির প্রয়াত মাহমুদুর রহমানের স্মরণে দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির উদ্যোগে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ জুলাই) বাদ জোহর শহরের আমলাপাড়া আশরাফিয়া জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এসময়ে প্রয়াত মাহমুদুর রহমানের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত এবং বিএনপি'র চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা এবং বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সু- স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া পরিচালনা করা হয়।
দোয়া মাহফিল পূর্বে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড.
রাজপথে মিছিল করতে করতে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। আমরা একজন জাতীয়তাবাদের আদর্শের সৈনিককে হারিয়েছি। আমরা তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
দোয়া করবেন আল্লাহ যেন মাহমুদুর রহমানকে বেহেস্ত দান করেন আমিন। আমরা তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। নমহানগর বিএনপি সব সময় মাহমুদুর রহমানের পরিবারের পাশে আছে এবং থাকবে।
এসময়ে দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, যুগ্ম আহ্বায়ক ফহেত মোহাম্মদ রেজা রিপন, বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ডা. মজিবুর রহমান, বরকত উল্লাহ, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, বন্দর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক রানা, মহানগর বিএনপি নেতা আক্তার হোসেন, সাইফুল ইসলাম বাবু, হিরা সরদার, মাহবুবুর রহমান, আল আরিফ, শাহাবুদ্দিন , মাসুম মিয়া, মনির হোসেনসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে স্ত্রী ও শাশুড়ি হত্যার মামলায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে স্ত্রী ও শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যা মামলার রায়ে কাউসার ফকির (৩৩) নামের এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত দায়রা জজ (দ্বিতীয়) আদালতের বিচারক হুমায়রা তাসমিন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ কাইউম খান প্রথম আলোকে জানান, স্ত্রী ও শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যা মামলার রায়ে যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণা শেষে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কাউসার ফকির বরগুনা জেলার পাথরঘাটা এলাকার সারোয়ার ফকিরের ছেলে। কাউসার কাঁচপুর এলাকায় ভাড়ায় থাকতেন এবং কাঁচপুর বিসিক শিল্পনগরীর মার্করি ফ্যাশন লিমিটেডের কর্মচারী ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, কাউসার তাঁর স্ত্রী শারমিন আক্তার লাভলীকে (২০) নিয়ে কাঁচপুরে ভাড়া বাসায় থাকতেন। তাঁদের বাসায় বেড়াতে আসেন শাশুড়ি রাশিদা বেগম (৫৫) ও তাঁর ছেলে ইমদাদুল হক। ২০১৬ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি দুপুরের খাওয়া শেষে ইমদাদুল বাসা থেকে বের হয়ে কাঁচপুরে বেড়াতে যান। এ সময় কাউসার ও শারমিনের মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে রাশিদা বেগম মেয়ের পক্ষ নিয়ে প্রতিবাদ করায় সন্ধ্যা ৬টার দিকে কাউসার ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে স্ত্রী লাভলীকে দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। এ সময় শাশুড়ি রাশিদা বেগম প্রতিরোধের চেষ্টা করলে কাউসার তাঁকেও কোপাতে শুরু করেন। ঘটনাস্থলেই কাউসারের স্ত্রী ও শাশুড়ির মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় শ্যালক ইমদাদুল হক বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় হত্যা মামলা করেন। আদালত ওই মামলার রায়ে আজ কাউসার ফকিরকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন।